কম্পিউটার সম্পর্কিত বিভিন্ন ফুল ফর্ম ও তাদের সংজ্ঞা – সহজ ভাষায় জানুন
আমরা সকলে জানি বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির উপর নির্ভর যুগে কম্পিউটার সম্পর্কে জানা অতি প্রয়োজনীয়। কারণ অনেক সময় আমরা কম্পিউটার এর বিভিন্ন শব্দ বা শর্ট ফর্ম দেখে বিভ্রান্ত হয়ে যাই—যেমন; CPU, RAM, ROM, USB ইত্যাদি।
তাই এই ব্লগে আমরা এমনই কিছু গুরুত্বপূর্ণ কম্পিউটার সম্পর্কিত ফুল ফর্ম এবং তাদের সংজ্ঞা সহজভাবে তুলে ধরেছি। যেগুলো জানবার পর আপনার কম্পিউটার সম্পর্কে অধিক পরিমান গেইন অর্জন হয়ে যাবে।
কম্পিউটার সম্পর্কিত বিভিন্ন ফুল ফর্ম এর সংজ্ঞা
কম্পিউটার সম্পর্কিত কিছু প্রয়োজনীয় ফর্ম এর সংজ্ঞা আমি নিচে তালিকাতে দিয়েছি সেগুলো আপনি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। যেমন:
🧠 ১. CPU – Central Processing Unit (সেন্টাল প্রসেসিং ইউনিট)
কম্পিউটারের ‘মস্তিষ্ক’ বলা হয় CPU কে। এটি সব ধরনের হিসাব-নিকাশ এবং নির্দেশনা প্রক্রিয়া সম্পাদন করে।
💾 ২. RAM – Random Access Memory (রেন্ডম এক্সেস মেমরি)
RAM হলো অস্থায়ী মেমোরি, যেখানে কম্পিউটার চালু থাকা অবস্থায় ডেটা সংরক্ষিত থাকে। এটি দ্রুত ডেটা অ্যাক্সেস নিশ্চিত করে।
📀 ৩. ROM – Read Only Memory (রিড অনলি মেমরি)
ROM একটি স্থায়ী মেমোরি যেখানে সিস্টেম বুট করার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য থাকে যা ব্যবহারকারী পরিবর্তন করতে পারে না।
🔌 ৪. USB – Universal Serial Bus (ইউনিভার্সাল সিরিয়াল বাস)
USB হচ্ছে এক ধরনের সংযোগ মাধ্যম, যার মাধ্যমে কম্পিউটারে পেনড্রাইভ, মাউস, কীবোর্ড ইত্যাদি সংযুক্ত করা হয়।
🌐 ৫. URL – Uniform Resource Locator (উনিফ্রম রিসোর্সেস লোকেটার)
URL হলো ইন্টারনেট ঠিকানা বা লিংক, যার মাধ্যমে আমরা ওয়েবসাইটে প্রবেশ করি।
🛜 ৬. IP – Internet Protocol (ইন্টারনেট প্রটোকল)
IP হলো একটি ইউনিক আইডেন্টিফায়ার, যার মাধ্যমে প্রতিটি ডিভাইস ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত হয়।
📁 ৭. HTML – HyperText Markup Language (হাইপার টেক্সট মার্কআপ ভাষা)
HTML হলো ওয়েবপেজ তৈরি করার জন্য ব্যবহৃত মূল ভাষা, যা ওয়েব কনটেন্টকে স্ট্রাকচার করে।

কম্পিউটারের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ফুল ফর্ম হলো
LAN -> Local Area Network (একটি নির্দিষ্ট স্থানে কম্পিউটার সংযোগ)
WAN -> Wide Area Network (দূরবর্তী স্থানে অবস্থিত নেটওয়ার্ক সংযোগ)
HTTP -> HyperText Transfer Protocol (ওয়েব ডেটা ট্রান্সফারের প্রোটোকল। যেটা ওয়েব পেজ লোড করার জন্য ব্যবহৃত হয় )
SSL -> Secure Sockets Layer ( সিকিউর সকেটস লেয়ার। যেটি ডেটা এনক্রিপশনের মাধ্যমে সিকিউরিটি প্রদান করে)
PDF -> Portable Document Format (নির্দিষ্ট ফরম্যাটের নথি)
JPEG -> Joint Photographic Experts Group (জয়েন্ট ফটোগ্রাফিক এক্সপার্টস গ্রুপ বা ইমেজ কমপ্রেশন)
BIOS -> Basic Input Output System (সিস্টেম চালুর সময় ব্যবহৃত প্রোগ্রাম)
CPU -> Central Processing Unit (কম্পিউটারের মূল প্রসেসর)
RAM -> Random Access Memory (অস্থায়ী ডেটা মেমোরি)
ROM -> Read Only Memory (স্থায়ী এবং শুধু-পাঠযোগ্য মেমোরি)
USB -> Universal Serial Bus (বহুল ব্যবহৃত সংযোগ মাধ্যম)
HTML -> HyperText Markup Language (ওয়েবপেজ তৈরির জন্য মার্কআপ ভাষা)
HTTP -> HyperText Transfer Protocol (ওয়েব ডেটা ট্রান্সফার প্রোটোকল)
HTTPS -> HyperText Transfer Protocol Secure (নিরাপদ ওয়েব প্রোটোকল বা সিকিউর কানেকশনের জন্য এনক্রিপশন)
IP -> Internet Protocol (অনন্য ঠিকানা যা ডিভাইস চিহ্নিত করে)
ISP -> Internet Service Provider (ইন্টারনেট সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান)
URL -> Uniform Resource Locator (ওয়েব ঠিকানা বা ওয়েবসাইট ঠিকানা)
DNS -> Domain Name System (ডোমেইনকে আইপিকে ওয়েব ঠিকানায় রূপান্তর করে)
LAN -> Local Area Network (লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক। যেটি একটি ছোট অঞ্চলের মধ্যে কম্পিউটার কানেক্ট করার জন্য ব্যবহার হয়)
WAN -> Wide Area Network (বিস্তৃত এলাকার নেটওয়ার্ক। এটি বড় ভৌগোলিক অঞ্চলের জন্য নেটওয়ার্ক, ইন্টারনেট একটি উদাহরণ)
Wi-Fi -> Wireless Fidelity (ওয়্যারলেস ফিডেলিটি। যেটি ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য ওয়্যারলেস কানেকশন)
GPS -> Global Positioning System (গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম। অবস্থান নির্ধারণের জন্য ব্যাবহার হয়)
SMS – Short Messaging Service (মোবাইলে টেক্সট মেসেজ)
MMS -> Multimedia Messaging Service (মাল্টিমিডিয়া মেসেজিং সার্ভিস যেটি ইমেজ ও ভিডিও সহ মেসেজ এর পদ্ধতি)
PAN -> Personal Area Network (ব্যক্তিগত ডিভাইস সংযুক্ত নেটওয়ার্ক)
MAN -> Metropolitan Area Network (শহরজুড়ে বিস্তৃত নেটওয়ার্ক)
OS -> Operating System (কম্পিউটার পরিচালনার সফটওয়্যার। যেমন; উইন্ডোজ, ম্যাকওএস, লিনাক্স)
GUI -> Graphical User Interface (চিত্রভিত্তিক ইউজার ইন্টারফেস। যেটি মাউস ও কীবোর্ডের মাধ্যমে ইন্টারঅ্যাকশন করে)
CLI -> Command Line Interface (টেক্সট ভিত্তিক ইউজার ইন্টারফেস)
BIOS -> Basic Input Output System (বেসিক ইনপুট/আউটপুট সিস্টেম। যেটি কম্পিউটার চালুর পূর্বে কাজ করে)
PDF -> Portable Document Format (প্রিন্টযোগ্য ডকুমেন্ট ফরম্যাট)
CAD -> Computer Aided Design (ডিজাইন তৈরিতে ব্যবহৃত সফটওয়্যার)
CAM -> Computer Aided Manufacturing (কম্পিউটার সহায়তায় উৎপাদন)
VGA -> Video Graphics Array (ভিডিও আউটপুট স্ট্যান্ডার্ড)
HDMI -> High Definition Multimedia Interface (হাই কোয়ালিটি ভিডিও বা অডিও সংযোগ)
SSD -> Solid State Drive (দ্রুতগতির স্টোরেজ ডিভাইস)
HDD -> Hard Disk Drive (প্রচলিত স্টোরেজ ডিভাইস)
CD -> Compact Disc (কমপ্যাক্ট ডিস্ক বা ডেটা স্টোরেজ মিডিয়াম)
DVD -> Digital Versatile Disc (ডিজিটাল ভার্সাটাইল ডিস্ক বা উচ্চ ক্ষমতার স্টোরেজ)
API -> Application Programming Interface (অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করার প্রোগ্রামিং ইন্টারফেস। যেটি একটি সফটওয়্যার কমিউনিকেশনের মাধ্যম)
ASCII -> American Standard Code for Information Interchange (অক্ষরের কোডিং স্ট্যান্ডার্ড)
WLAN -> Wireless Local Area Network (ওয়্যারলেস বা লেন কানেকশন “LAN”)
FTP -> File Transfer Protocol (ফাইল স্থানান্তরের জন্য ব্যবহৃত একটি পদ্ধতি। যেটা “আপলোড/ডাউনলোড এর জন্য ব্যাবহার হয়)
SMTP -> Simple Mail Transfer Protocol (ইমেইল পাঠানোর প্রোটোকল)
POP -> Post Office Protocol (ইমেইল গ্রহণের প্রোটোকল)
MAC -> Media Access Control (নেটওয়ার্ক ডিভাইসের ইউনিক ঠিকানা)
IPX -> Internetwork Packet Exchange (পুরনো নেটওয়ার্ক প্রোটোকল)
XML -> eXtensible Markup Language (তথ্য বর্ণনার, ডেটা সংরক্ষণ ও স্থানান্তরের জন্য ব্যবহৃত হয়)
JSON -> JavaScript Object Notation (হালকা ডেটা বিনিময় ফরম্যাট)
IoT -> Internet of Things (ইন্টারনেটে সংযুক্ত স্মার্ট ডিভাইস)
AI -> Artificial Intelligence (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। মানুষের মতো সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা সম্পন্ন মেশিন)
ML -> Machine Learning (AI-এর একটি শাখা, যেটি ডেটা থেকে শিখে কাজ করার পদ্ধতি)
DL -> Deep Learning (উন্নত পর্যায়ের মেশিন লার্নিং)
VR -> Virtual Reality (ভার্চুয়াল রিয়েলিটি। কম্পিউটার-জেনারেটেড পরিবেশ)
AR -> Augmented Reality ( অগমেন্টেড রিয়েলিটি। যেটি বাস্তব জগতের সাথে ডিজিটাল স্তর যুক্ত করে)
IDE -> Integrated Development Environment ( ইন্টিগ্রেটেড ডেভেলপমেন্ট এনভায়রনমেন্ট। যেটি কোডিংয়ের জন্য একটি টুলসেট, যেমন ভিজ্যুয়াল স্টুডিও)
GPU -> Graphics Processing Unit (গ্রাফিক্স রেন্ডার করার প্রসেসর)
QR -> Quick Response (স্ক্যানযোগ্য কোড)
OTP -> One Time Password (একবার ব্যবহৃত পাসওয়ার্ড)
SQL -> Structured Query Language (ডেটাবেজ ব্যবস্থাপনার ভাষা)
DBMS -> Database Management System (ডেটাবেজ পরিচালনা সফটওয়্যার)
DNS -> Domain Name System (ডোমেইন এবং IP সম্পর্কযুক্ত করে)
ERP -> Enterprise Resource Planning (ব্যবসায়িক ব্যবস্থাপনা সফটওয়্যার)
BCC – Blind Carbon Copy (ইমেইলের গোপন কপি পাঠানো)
CC -> Carbon Copy (ইমেইলের অনুলিপি প্রাপক)
OLED -> Organic Light Emitting Diode (উন্নত ডিসপ্লে প্রযুক্তি)
VPN -> Virtual Private Network (নিরাপদ ভার্চুয়াল ইন্টারনেট সংযোগ। যেটি ইন্টারনেটে সিকিউর কানেকশন এর স্থাপন)
CSS -> Cascading Style Sheets (ক্যাসকেডিং স্টাইল শীট। যেটি HTML এর স্টাইল নির্ধারণ করতে ব্যাবহার হয়)
PHP -> Hypertext Preprocessor ( হাইপারটেক্সট প্রেপ্রসেসর। ডাইনামিক ওয়েবসাইট তৈরির জন্য সার্ভার-সাইড ল্যাঙ্গুয়েজ)
উপসংহার:
কম্পিউটার জগতে প্রতিটি শর্ট ফর্মের পেছনে রয়েছে একটি বিশদ ব্যাখ্যা। যেটি শিক্ষার্থী, প্রযুক্তিপ্রেমী কিংবা চাকরি প্রস্তুতকারী যেখানেই হোন না কেন—এই ফুল ফর্ম গুলো জানা থাকলে আপনাকে আরও দক্ষ করে তুলবে।
👉 আপনি চাইলে এই তালিকাটি প্রিন্ট করে রাখতে পারেন, অথবা আমাদের ব্লগটি বুকমার্ক করে রাখুন। অথবা সাবস্ক্রিব করে রেখেদিন এরকম ধরণের আরো নতুন নতুন আপডেট পেতে। আর কোনো প্রশ্ন থাকলে নিচে কমেন্ট বক্সে জানান। ধন্যবাদ।