ব্লগ পোস্ট করার জন্য কোনটি প্রয়োজন তার সম্পূর্ণ টিপস
আপনি কি একজন ব্লগার বা কনটেন রাইটার। আপনার নিজের ব্লগের জন্য বা কোন ক্লাইন্টের ব্লগ ওয়েবসাইটের জন্য কনটেন্ট লেখা শুরু করতে চান।
সেই কারণে ব্লগ পোস্ট করার জন্য কোনটি প্রয়োজন? এই বিষয়ে জানতে চান। তাহলে নিবন্ধনটি সম্পূর্ণ পড়ুন। আর জেনে নিন এই বিষয়ে সমস্ত তথ্য।
কারণ আমি একজন ব্লগার, সুতারং আমার ব্লগে এবং আমার ক্লাইন্টের ওয়েবসাইটে আমি বিগত ৭ বছর ধরে ব্লগ পোষ্ট লিখছি। তাই আমার জানা সমস্ত টিপস গুলো এই নিবন্ধনের মধ্যে আপনার সাথে সহজ ভাবে তুলে ধরেছি। যেটি অনুসরণ করে আপনি একটি খুব সুন্দর ব্লগ পোস্ট লিখতে পারবেন।
ব্লগ পোস্ট করার জন্য কোনটি প্রয়োজন
ব্লগ পোস্ট করার জন্য, আপনার একটি ব্লগ ওয়েবসাইট ও পোস্ট লেখার অভিজ্ঞতা থাকা দরকার। সাথে আপনি যেই বিষয়ে ব্লগ পোস্টটি লিখবেন সেই বিষয়ের উপরে সম্পূর্ণ জ্ঞান থাকাটা জরুরী বা প্রয়োজন।
এরপর সেই ব্লগ পোস্ট টিকে সুন্দরভাবে অপ্ট্টাইজ করার জন্য আরও কিছু জানার প্রয়োজন। যেমন; ব্লগের মেটা, মেটা ডেসক্রিপশন, এইজ ওয়ান ট্যাগ, ইউআরএল, কিওয়ার্ড ডেনসিটি, ছবির সাইজ, অলটেক্সট, মোবাইলে ব্লগ লোডিং স্পিড, বাউন্স রেট, এছাড়া আরো অনেক কিছু।
ব্লগ মেটা টাইটেল: আপনি যখন কোন একটি ব্লগ পোস্ট লিখবেন তখন সেই ব্লগ পোষ্টের মেটা টাইটেল বা ব্লগ পোষ্টের টাইটেল যেটি হবে। সেটি যেন ৫০ থেকে ৬০ অক্ষরের মধ্যে হয়।
ব্লগ মেটা ডেসক্রিপশন: যেকোনো ব্লগ পোষ্টের মেটা ডেসক্রিপশন হলো আপনার ব্লগ পোষ্টের সমস্ত তথ্য গুলো ১৫০ থেকে ১৬০ অক্ষরের মধ্যে বিস্তারিত করা। যেটি সেই ব্লগটিকে গুগলে কিংবা যেকোনো সার্চ ইঞ্জিনে রেংকিং করিয়ে, সেখান থেকে বেশি পরিমাণ দর্শকদের আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে সাহায্য করে।
এইচ ওয়ান (H1) ট্যাগ: এই ট্যাগটি হল ব্লগ পোষ্টের টাইটেল সুতরাং এটি ও ৫০ থেকে ৬০ অক্ষরের হবে। কিন্তু প্রতিটি ব্লগ পোস্টে শুধুমাত্র একবারই ব্যবহার হবে। যেদিকে আমরা ব্লগ পোস্ট টাইটেল বলে থাকি।
ইউআরএল স্লাগ: আপনি যে ব্লগ পোষ্টটি আপনার ব্লগে লিখবেন। সেটির যে ইউআরএল হবে সেটি যেন ১১০ থেকে ২০ অক্ষরের মধ্যে থাকে। যেমন; উদাহরণস্বরূপ এখানে দেওয়া লিঙ্কটি একবার দেখে নিন। (https://tarikulbangali.in/love-calculator/)
কীওয়ার্ডের ঘনত্ব: আপনি যে বিষয়ে ব্লগ পোস্টটি লিখছেন। সেই বিষয়ের মেন যে উদ্দেশ্য কীওয়ার্ডটি। সেটি পুরো ব্লগ পোস্টটির মধ্য এক থেকে দুই শতাংশ ব্যবহার করবেন। এর থেকে অতিরিক্ত ব্যবহার করতে যাবেন না। তাহলে আপনার ব্লগটি গুগল আপডেটে হিট হয়ে ডাউন হয়ে যেতে পারে।
ছবির সাইজ: আপনি আপনার ব্লগ পোস্টে যে ছবিগুলি ব্যবহার করবেন। পোস্ট থামাবেল জন্য কিংবা পোস্টের মধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গুলি দেখাবার জন্য। সেগুলোর সাইজ যেন ১০০ কেবির নিচে থাকে। এবং সেই ছবির “আল্ট টেক্সট” গুলি যেন ১২০ থেকে ১৩০ অক্ষরের মধ্যে থাকে।
ব্লগ পোস্টের বিস্তারিত আলোচনা: যে বিষয়ে ব্লগ পোস্টটি লিখছেন সেই বিষয়ে সম্পূর্ণ তথ্যটি শেয়ার করবেন। তার জন্য ব্লগ পোস্টটি যদি ২০০ শব্দের হয় সেটি করবেন। এবং সেটি যদি দুই হাজার শব্দেরও হয় সেটাও করবেন। কিন্তু ওই ব্লগ পোস্টটি পড়ার পরে যেন, সেই দর্শকটির সেই বিষয়ে জানতে আর কোন ওয়েবসাইটে না যেতে হয়। এমনভাবে লিখুন।
মোবাইলে লোডিং এর সময়: আপনার ব্লগটি যেন মোবাইল ব্যবহারকারী দর্শকদের মোবাইলে দ্রুত লোডিং হয়। আপনার ব্লগে ভিজিট করতে তিন থেকে চার সেকেন্ডের বেশি সময় যেন না লাগে। সাথে কনটেন্ট গুলো লোড হতে যেন ১০০ মিলি সেকেন্ডের কম সময় লাগে।
বাউন্স রেট: আপনি যে কনটেন্টটি লিখবেন সেটির বিষয়ে আগে থেকে ভালো করে রিসার্চ করে দেখে নিন। যে কত শতাংশ দর্শক সেই কনটেন্টটি একচুয়ালি অনুসন্ধান করছে। এবং তারা অন্যান্য ব্লগ ওয়েবসাইটে ভিজিট করছে কি না। সাথে কনটেন্টটি দর্শকদের কতটি প্রয়োজনীয়।
তারপর সেই বিষয়ে কনটেন্ট লিখে ব্লগে পাবলিশ করুন, এবং সেটিকে গুগল সার্চ ইঞ্জিন র্যাংকিং এ নিয়ে এসে। সেখান থেকে পঞ্চাশ শতাংশ পর্যন্ত বাউন্স রেট পাওয়ার চেষ্টা করুন। সেই ব্লগ টিকে আগে নিয়ে যেতে এবং বেশি পরিমাণ দর্শক আপনার ব্লগ ওয়েবসাইটে ভিজিট করাতে।
এল সি পি: আপনি আপনার ব্লগের যে জন্য যে ওয়েব হোস্টিংটি নির্বাচন করেছেন তার যে (LCP) “লিংক কন্ট্রোল প্রটোকল” পদ্ধতিটি আছে। সেটির লোডিং স্পিড ক্ষমতা কেমন সেটি দেখে ক্রয় করুন। সেটি যেন ২. ৫ সেকেন্ডের বেশি সময় না নেয়।
আপনি এই সমস্ত বিষয়গুলো মাথায় রেখে একটি সুন্দর ব্লগ পোস্ট লিখতে পারবেন খুব সহজভাবে। তাহলে সেটি থেকে দ্রুত ফলাফল পেতে পারেন।
আরো জানুন : – ব্লগ লিখে আয় করার উপায় কি?
উপসংহার:
আমি আশা করি এখানে দেওয়া ব্লগ পোস্ট করার জন্য কোনটি প্রয়োজন। তার সমস্ত টিপস গুলি আপনি পেয়ে গিয়েছেন। এবং নিবন্ধনটি আপনার নতুন বিষয় জানতে সাহায্য করেছে। যদি এই নিবন্ধনটি আপনাকে ন্যূনতম সাহায্য করে থাকে। তাহলে এটি বেশি বেশি করে শেয়ার করে অন্যদের জানার সুযোগ করে দিন। আর এরকম ধরনের ব্লগিং এর সম্পর্কে আরো জানতে আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলটিতে যোগদান করে, ওয়েব-সাইটটিকে সাবস্ক্রাইব করে রাখুন।