ব্লগে আর্টিকেল লেখার নিয়ম বা কিভাবে আর্টিকেল লিখতে হয়

ব্লগে আর্টিকেল লেখার নিয়ম বা কিভাবে আর্টিকেল লিখতে হয়

আপনি যদি একজন আমার মতন নতুন ব্লগার হয়ে থাকেন, বা আপনি নিজের একটি ব্লগ ওয়েবসাইট চালিয়ে থাকেন। তাহলে অবশ্যই ব্লগে আর্টিকেল লেখার নিয়ম জানাটা অত্যন্ত জরুরি। কারণ এখনকার সময় প্রতিদিনেই প্রায় নতুন নতুন ব্লগার তারা তাদের ব্লগ তৈরি করছে। এবং সেখানে নতুন নতুন টপিকের উপরে তারা আর্টিকেল লিখে পাবলিশ করছেন। তাদের ব্লগ ওয়েবসাইটটিতে।

এবং অনেকেই নিজের একটি ৪-৫ জনের একটি টিম তৈরি করে সেই টিম নিয়ে কাজ করছে। ফলে আমরা যারা নতুন ব্লগার তাদেরকে ও পুরাতন ব্লগার দের হারিয়ে নিজের ব্লগটিকে গুগলে র‍্যাঙ্ক করানোর জন্য। আমাদের অবশ্যই ব্লগ আর্টিকেল লেখার নিয়ম জানা দরকার।

কারণ আমরা যদি সঠিক নিয়মে ব্লগ আর্টিকেল না লিখে থাকি। তাহলে সেক্ষেত্রে আমাদের ব্লগ ওয়েবসাইটটি আমরা কখনোই গুগলে রেঙ্ক করাতে পারবো না, এবং সেখান থেকে বেশি পরিমাণে অর্থ উপার্জন করতে পারব না। সেই কারণে আমাদের সঠিক নিয়মে ব্লগ আর্টিকেল লেখার নিয়মটি জানাও অত্যন্ত জরুরী।

একটি ব্লগার তখনই সাকসেসফুল হয়। যখন সেই ওয়েবসাইটটিতে বেশি পরিমাণে দর্শক আছে এবং সেখানে থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে টাকা আয় করতে পারে। এছাড়া দর্শকদের সাথে কানেকশন রাখতে পারে। তখন এই সেই ব্লগটি সফলতা পায়।

সুতরাং, চলুন আমরা দেরি না করে জেনে নিই। ব্লগে আর্টিকেল কিভাবে লেখে, ব্লগ আর্টিকেল কি ও আরো অন্যান্য বিষয়গুলি।

ব্লগ আর্টিকেল কি?

ব্লগ আর্টিকেল হল কোন একটি ব্লগ ওয়েবসাইটে উপলব্ধ যে পোস্ট টি বা নিবন্ধনটি থাকে তাকে বলা হয় ব্লগ আর্টিকেল। যে আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি কোন একটি টপিক বা বিষয়ের উপরে সম্পূর্ণ ধারণা পাওয়া যায়। যেমন; আপনি এই নিবন্ধনটি পড়ে, “ব্লগে আর্টিকেল কিভাবে লেখে” সেই বিষয়ে জানতে পারবেন। সুতরাং এটিও একটি ব্লগ আর্টিকেল।

আরেকটি বিষয় হলো সাধারণত ব্লগ আর্টিকেলগুলো হয় সাধারণত কিভাবে, কি করে, সেরা পণ্য ও অন্যান্য ধরনের টপিকের উপরে হয়ে থাকে। এবং এই কাজটি শুধুমাত্র এক থেকে দশজন করে থাকে। উদাহরণস্বরূপ, এই নিবন্ধন টি হলো একটি ব্লগ আর্টিকেল যেটা আমি নিজে লিখে আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি।

ব্লগ আর্টিকেল লেখার নিয়ম

ব্লগে আর্টিকেল লেখার জন্য সবার প্রথমে আপনার ব্লগটি কোন টপিক এর উপরে শুরু করবেন সেটি নির্বাচন করুন। এবং সেই টপিক সম্বন্ধ কোন একটি বিষয়ের উপরে আর্টিকেল লেখার চেষ্টা করুন। যেমন; আমাদের এই ব্লগ ওয়েবসাইটটি শুধুমাত্র ব্লগিং, অনলাইন ইনকাম, ও বিভিন্ন ধরনের টেকনোলজি সম্পর্কে। সুতরাং এখানে আমরা সেই সমস্ত বিষয় সম্পর্কে বিভিন্ন আর্টিকেল আপনাদের সাথে শেয়ার করে থাকি। আপনিও ঠিক এরকম ভাবে কোন একটি বিষয়ের উপরে বিভিন্ন ধরনের নিবন্ধন লেখা শুরু করুন। তবে একটা কথা মনে রাখবেন আপনি যে আর্টিকেলটি লিখবেন সেটি যেন সর্বনিম্ন ৬০০ শব্দের বেশি হয়।

কারণ আপনি যদি একটি ব্লগে কখনো টেকনোলজি, কখনো জীবনযাপন বা কখনো পোশাক আশাক বা খবর সম্পর্কে নিবন্ধন লিখে থাকেন। তাহলে সেই ব্লগটি কখনোই গ্রোথ বা বৃদ্ধি করবে না। ফলে আপনি সেই ব্লগটিতে ব্যর্থ হয়ে যাবেন। সেই কারণে আমি আপনাকে সব সময় রেকমেড করব যে কোন একটি টপিক কে নির্বাচন করুন।

সেটা হতে পারে টেকনোলজির ক্ষেত্রে, কিংবা টেকনোলজির ভিতরে আরো অন্যান্য ছোট টেকনোলজির ক্ষেত্রে। যেমন ধরুন শুধুমাত্র একটি ব্লগ বানিয়ে শুধুমাত্র মোবাইল সম্পর্কে তথ্য দেওয়া হয়। ঠিক এরকমই একটি ব্লগ তৈরি করুন এবং সেখানে শুধুমাত্র সেই সম্পর্কেই নিবন্ধন বা আর্টিকেল লিখতে থাকুন।

এর জন্য সবার প্রথমে আপনি একটি আপনার ব্লগ পোষ্টের টাইটেল তৈরি করুন। যেমন; উদাহরণ স্বরূপ এই ব্লগ পোষ্টের যে টাইটেলটি আছে ঠিক ওরকম একটি টাইটেল তৈরি করুন।

তারপর সেই ব্লগ পোস্টের যে মেইন কিবোর্ড। সেই কিবোর্ডটি নিয়ে গুগলে সার্চ করুন। এবং সেই কীবোর্ড সম্বন্ধে যতগুলো প্রশ্ন আছে সেগুলোকে একত্রিত করে একটি তালিকা তৈরি করুন।

তারপর ব্লগ পোস্ট লেখা শুরু করার জন্য গুগল ডক্স বা মাইক্রোসফট ওয়ার্ড এর মত টুলগুলো ব্যবহার করে। আর্টিকেলটি লিখে নিতে পারেন। তবে আর্টিকেল কিভাবে লেখে এটি জানার জন্য নিচের দেওয়া টিপটি অনুসরণ করুন।

ব্লগে আর্টিকেল কিভাবে লিখতে হয়

ব্লগে আর্টিকেল লেখার জন্য, সবার প্রথমে আপনাকে সুন্দর ও দর্শকদের আকর্ষিত করার মতো একটি ব্লগ আর্টিকেল এর টাইটেল তৈরি করতে হবে।

আপনার টাইটেলটি তৈরি হয়ে গেলে। সেটি আপনার ব্লগ টাইটেলে লিখুন। তারপরে আপনি কোন বিষয়ের উপরে আর্টিকেলটি লিখছেন সেটির সম্পর্কে ১০০ থেকে ২00 শব্দের কিছুর সারসংক্ষেপ দিন।

পরবর্তীতে আপনার মেইন কিবোর্ড টি লিখে H2 হেডিং করুন। তারপরে আপনি যে বিষয়ে আর্টিকেলটি লিখছেন সেই বিষয়ের সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা বা টিপসগুলো লিখুন। সাথে পারলে আপনি সেই টিপস বা সেটি ব্যবহারের নিয়মের ছবিগুলো আপলোড করুন।

তারপরে আপনি যে বিষয়ে ব্লগ আর্টিকেলটি লিখবেন সেই বিষয়ের মেইন কিওয়ার্ড দিয়ে গুগলে সার্চ করুন। এবং সেই বিষয় সম্পর্কিত সমস্ত প্রশ্নগুলো একত্রিত করুন এবং সেই প্রশ্নের উত্তরগুলো লিখুন। এবং সেগুলোকে H3, বা H4 হেডিং দিয়ে এফ-এ-কিউ এর মধ্য অন্তর্ভুক্ত করুন।

পরবর্তীতে আপনার ব্লগ আর্টিকেলটির সম্পর্কে উপসংহার বা শেষকথা লিখে। সেই টপিকের বিষয়ে একটি ছোট্ট সারসংক্ষেপ দিন, বা দর্শকদের কাছে প্রশ্ন বলি জিজ্ঞেস করুন। এবং তাদের কোন প্রশ্ন থাকলে সেটিকে কমেন্ট বক্সে জানাতে বলুন বলুন। ঠিক এই আর্টিকেলের নিচে দেওয়া যে অংশটি আছে ওরকম করে লিখুন।

আপনার আর্টিকেল লেখাটি সম্পূর্ণ হয়ে গেলে। সেটিকে আপনি আপনার ব্লগার ব্লগ ওয়েবসাইটে বা ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইটে পোস্ট অপশন এর মধ্যে গিয়ে এড নিউ পোস্টে ক্লিক করে। আপনার লেখা আর্টিকেলটি কপি করে আপনার ব্লগে পেস্ট করে দিন। সাথে আপনার ওই আর্টিকেলটির কিছু লেখার মধ্যে অন্য আর্টিকেলের লিংক বা অ্যাফিলিয়েট লিংক কিংবা অন্য কোন ওয়েবসাইটের লিংক যুক্ত করুন।

তবে আপনি যে লিংক গুলো যুক্ত করবেন সেগুলো যদি কোন অ্যাফিলিয়েট বা অন্য ওয়েবসাইট এর লিংক হয়ে থাকে। তাহলে সেগুলোকে “নোফলো লিংক” হিসেবে নির্বাচন করে দেবেন। এবং আপনার ওয়েবসাইটের অন্য আর্টিকেলের লিংক গুলো এই আর্টিকেলটির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করলে সেখানে আপনি শুধু “ওপেন নিউ ট্যাব” অপশনটি নির্বাচন করবেন। সেগুলো যেন ‘নোফল কিংবা স্পন্সর ট্যাগটি’ নির্বাচন করবেন না এবং আপনার ওয়েবসাইটের লিংক একটি নিবন্ধনে, মিনিমাম ২টি থেকে ১০০টি পর্যন্ত লাগাতে পারেন। অন্যথায় প্রতিটি আর্টিকেলে আপনি সর্বনিম্ন একটি করে নোফলো লিংক ও অবশ্যই যুক্ত করবেন।

এই সমস্ত কাজগুলো সম্পন্ন হয়ে গেলে এবার আপনার যে কাজটি হবে সেটা হলো আপনার লেখা ওই আর্টিকেলটির ইউআরএল নির্বাচন করা বা ঠিক করা তারপরে সেটি কোন ক্যাটাগরির মধ্যে পড়ে সেই ক্যাটাগরি তৈরি করে সেই ক্যাটাগরিতে নির্বাচন করে দেওয়া, এবং সেই আর্টিকেল এর মেইন কিওয়ার্ড সম্বন্ধ আরো অন্যান্য কিওয়ার্ডগুলো কপি করে সেগুলোর ট্যাগের মধ্য যুক্ত করতে হবে। তারপরে আপনি আপনার ওই আর্টিকেলটির জন্য একটি সুন্দর ব্লগ ব্যানার তৈরি করে সেটিকে ফিচার ইমেজ অপশন এর মধ্যে আপলোড করে দিন ।এবং আর্টিকেলটি আপনার ব্লগে পাবলিশ করার জন্য “পাবলিশ” বাটনে ক্লিক করুন।

এইভাবে আপনি যেকোনো বিষয় বা টপিকের উপরে খুব সহজেই আপনার ব্লগের জন্য আর্টিকেল লিখতে পারেন, আর ব্লগ থেকে অধিক পরিমাণে আয় করতে পারেন।

ব্লগ আর্টিকেল কে বা কারা লিখতে পারবে?

ব্লগ আর্টিকেল সবাই লিখতে পারে। তবে তার জন্য তাকে কোন একটি বিষয়ের উপরে নির্দিষ্ট বা পর্যাপ্ত পরিমাণে জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। এবং আপনি যে বিষয়ে আর্টিকেলটি লিখবেন সেই বিষয়ে সম্পূর্ণ ধারণা দেওয়াটা অত্যন্ত জরুরী। আপনি যদি সেটি দিতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনিও ব্লগ আর্টিকেল লিখতে পারবেন।

ব্লগ আর্টিকেল কত শব্দের লিখতে হয়?

এটা সঠিক বলাটাই অসম্ভব ব্যাপার। কারণ কোনো একটা বিষয়ের উপরে ভিত্তি করে একটি ব্লগ আর্টিকেল লেখা হয়। এবং সেই আর্টিকেলে আপনি যে বিষয়ে ধারণাটি দেবেন সেই ধারণাটি যতক্ষণ না সম্পূর্ণ হবে ততক্ষণ পর্যন্ত আপনার লিখতে হবে। সেটা হতে পারে ১০০ শব্দেরও বা এক ১০০০০ শব্দের হতে পারে। তবে সাধারণত ব্লগ আর্টিকেল লেখা শুরু হয় ৩০০ শব্দের থেকে। কিন্তু আপনি যদি ৬০০ শব্দের উপরে বেশি লেখেন। তাহলে সেই আর্টিকেলটি অন্য আর্টিকেলের থেকে একটু ভালো ও উন্নত হয়। তবে ৬০০ শব্দ করতে গিয়ে যেন উল্টোপাল্টা কোন কিছু যুক্ত করবেন না। সবসময়ই মনে রাখবেন দর্শক যেন সহজেই সেই বিষয়টি বিষয় বুঝতে পারে এমন আর্টিকেল লিখুন।

অন্যের জন্য ব্লগ আর্টিকেল লিখে কি আয় করা সম্ভব?

অবশ্যই আপনি যদি আর্টিকেল লেখার সম্পর্কে জেনে থাকেন। তাহলে আপনি ফাইবার ও ফ্রিল্যান্সার ডটকম এর মত ফ্রিল্যান্সার ওয়েবসাইটগুলিতে যোগদান করে সেখানে অন্যের জন্য আর্টিকেল লিখে নিজে আয় করতে পারেন। আর নিজস্ব যদি একটি ব্লগ ওয়েবসাইট থেকে থাকে এবং সেটিতে আপনি নিয়মিত আর্টিকেল লিখে থাকেন। এবং সেই আর্টিকেল আয় করার অন্য উপায় খুঁজে থাকেন। তাহলে এখুনি এখানে ক্লিক করে সেই বিষয় সম্পর্কে জেনে নিন।

উপসংহার :

আশা করি আপনি ব্লগে আর্টিকেল লেখার নিয়মআর্টিকেল কিভাবে লিখতে হয়। এই বিষয়ে আমি আপনাকে সম্পূর্ণ ধারণা দিতে পেরেছি। যদি পেরে থাকি কিংবা এই নিবন্ধনটি ভালো লেগে থাকে। তাহলে এটি বেশি বেশি করে শেয়ার করে দিন। আর এরকম ধরনের আরো নতুন নতুন ব্লোগ্গিং টিপসঅনলাইন ইনকাম সম্পর্কে জানতে আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলটিতে যোগদান করুন। সাথে এই ওয়েবসাইটটিকে সাবস্ক্রাইব করে রাখুন। আর আপনার যদি ব্লগ আর্টিকেল লেখার নিয়ম এর বিষয়ে কোনো অসুবিধা বা প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে আপনি কমেন্ট বক্সে জানান। আমরা আপনার প্রশ্নের উত্তর দেবো। ধন্যবাদ।

আরো পোস্ট পড়ুন :-