ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শুরু করব? Freelancing kivabe suru korbo
আমরা এর আগের নিবন্ধনের জেনেছি ফ্রিল্যান্সার কি ও কিভাবে কাজ করে? ও Freelancing থেকে কত টাকা ইনকাম করা যায় এই সমস্ত বিষয়। কিন্তু আজকে এই নিবন্ধনে আমরা জন্য। আপনি ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শুরু করতে পারবেন সেই বিষয়ে। তাই আপনি যদি এখনো ফ্রিল্যান্সিং না শুরু করে থাকেন। তাহলে এই নিবন্ধনটি সম্পন্ন পড়ুন। আর এখনই জেনে নিন আপনি কিভাবে খুব সহজেই ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে পারবেন সেই বিষয়ে।
কারণ আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার জন্য খুবই আগ্রহী আছে। কিন্তু তারা জানে না কিভাবে শুরু করব। তাই হয়তো তারা এখনো শুরু করতে পারেনি। তাই আপনিও যদি তাদের মধ্যে একজন হয়ে থাকেন তাহলে। এটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে কিছু না জেনে থাকেন তাহলে আগের নিবন্ধনটি পড়ুন। তারপরে এটি পড়ুন।
ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শুরু করব
ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার জন্য সবার প্রথমে আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে কিছু জ্ঞান অর্জন করতে হবে। তারপর আপনাকে সেই জ্ঞানের উপর ভিত্তি করে ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিতে হবে। তারপরে আপনার যে দক্ষতা টি থাকবে সেই দক্ষটিকে কাজে লাগিয়ে ফাইবার, আপওয়ার্ক ও ফ্রিল্যান্সিং ডট কম এর মত ফ্রিল্যান্সার ওয়েবসাইটগুলোতে যোগদান করে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে পারবেন।
তবে আপনি চাইলে ফাইবার, আপওয়ার্ক, ও ফ্রিল্যান্সার এই তিনটি প্ল্যাটফর্মের মধ্যে থেকে আপনার পছন্দের একটি প্ল্যাটফর্মকে নির্বাচন করে এখানে দেওয়া লিংকে ক্লিক করে ওই ওয়েবসাইটটিতে প্রবেশ করে আপনার একটি সেলার একাউন্ট তৈরি করুন।
এর জন্য আপনি ফাইবার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পরে “বিকম এ সেলার” অপশনটিতে ক্লিক করুন। তারপর আপনি google ইমেইল, অ্যাপেল আইডি, ও ফেসবুক আইডির মাধ্যমে সেখানে একটি একাউন্ট তৈরি করুন।
আপনার একাউন্টটি তৈরি হয়ে গেলে। আপনি সেই প্ল্যাটফর্মে আপনার প্রোফাইল ড্যাশবোর্ডে প্রবেশ করবেন। সেখানে আপনি যে কাজটি জানেন বা যে কাজের উপরে আপনার সব থেকে বেশি অভিজ্ঞতা আছে সেই কাজের উপরে একটি গিগ তৈরি করুন। তারপর আপনার সেই গিগ টিকে বেশি বেশি করে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলিতে শেয়ার করতে থাকুন। ফলে প্রথমের দিকে একটু তাড়াতাড়ি কাজ পেতে আপনার সুবিধা হবে।
তারপর আপনি যখন ভালো কাজ করবেন এবং আপনার কাস্টমারের দেওয়া রেটিং ভালো থাকবে। তখন আপনি আরো বেশি বেশি কাজ পাবেন, এবং বেশি বেশি ইনকাম করতে পারবেন। তবে এর জন্য আপনাকে প্রথম এক থেকে ৬ মাস ধৈর্য ধরে থাকতে হবে। তারপরে ধীরে ধীরে প্রতিনিয়ত আপনার কাজটি আসা শুরু হয়ে যাবে। তবে আপনি যদি নতুন হয়ে থাকেন তাহলে আপনি ফাইবার ডট কম থেকে শুরু করতে পারেন।
আপনি ফাইবার ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে একাউন্ট তৈরি করলে আপনাকে যে ড্যাশবোর্ডে নিয়ে যাবে সেটা দেখতে নিচের দেওয়া ছবির মত। সেখানে আপনি আপনার ফ্রিল্যান্সিং কাজের সমস্ত ইনফরমেশন ও তথ্য গুলি দেখতে পারবেন।
এছাড়া আপনি কতটা কাজ করেছেন এবং আপনার কত টাকা ইনকাম হয়েছে এটাও দেখতে পারবেন। এবং আপনি সেখানে উপলব্ধ মেনুগুলির মধ্য থেকে মাই বিজনেস অপশনটিতে ক্লিক করুন। তারপর সেখানে আপনি বিভিন্ন ধরনের কাজের গিগ তৈরি করে পাবলিশ করতে থাকুন। ফলে যার সেই কাজটি করানোর প্রয়োজন হবে সেই কাজের জন্য আপনার কাছে অর্ডার দেবে।
সেই অর্ডারটি দেখার জন্য আপনি “মাই বিজনেস” অপশনে ক্লিক করে “অর্ডার” বাটনটিতে ক্লিক করলে দেখতে পাবেন। এবং “এনালাইটিস” অপশনের মধ্যে আপনি আপনার একাউন্টের ওভারভিউ দেখতে পাবেন। সাথে আপনার ইনকাম করা টাকাটি আপনি সরাসরি আপনার ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে তুলে নিতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখব?
ফ্রিল্যান্সিং শিখার জন্য আপনি আমাদের এই ব্লগ ওয়েবসাইটটিকে সাবস্ক্রাইব করে রাখতে পারেন। কিংবা আপনি ইউটিউবে Freelancing সম্পর্কিত কিছু ভিডিও দেখতে পারেন। এবং আপনার যদি ফ্রিল্যান্সিং থেকে ইনকাম করার প্রতি বিশেষ অগ্ৰহ থেকে থাকে এবং আপনি কোন এক বিষয়ে দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে আপনি ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে একটি কোর্স ক্রয় করে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিং কি হালাল?
অবশ্যই হালাল, কারণ আমি কারোর কাছ থেকে কোন চুরি করে কিংবা কাউকে ফাঁকি দিয়ে কোন টাকা ইনকাম করছি না। আমি শুধুমাত্র কাজের বিনিময়ে টাকা নেব। তাই আমি মনে করি এই কাজটি অবশ্যই হালাল। তাই আপনিও এই ফ্রিল্যান্সিং কাজটি আজ থেকে শুরু করে দিতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিং কি মোবাইলে করা যায়?
হ্যাঁ, মোবাইলে করা যায়। কিন্তু সে ক্ষেত্রে আপনাকে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। সেই কারণে আমি আপনাকে বলব আপনি একটি ১০-১৫ হাজার টাকার মধ্যে কম্পিউটার বা পুরনো ল্যাপটপ নিলেই সেটাতে আপনি ভালোভাবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে সহজ কাজ কোনটি?
আমার অভিজ্ঞতা অনুযায়ী আমি মনে করি ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে সহজ কাজ হল। যেকোন ফটোর ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ করে দেওয়া, লোগো বানানো, ফটো থেকে পিডিএফ ফাইল তৈরী করা। এছাড়া আরো অনেক সহজ কাজ আছে। কিন্তু আমার কাছে এগুলো সবথেকে সহজ বলে মনে হল। তাই আপনি যদি এছাড়া আরো সহজ কাজ খুঁজে থাকেন। তাহলে আপনি সরাসরি ফাইবার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন। তারপরে ওখানে যেসমস্ত কাজগুলো উপলব্ধ আছে তার মধ্যে থেকে আপনার সবথেকে বেশি সহজ যে কাজটি লাগে সেটিকে দেখে আপনার একটি একাউন্ট তৈরি করে ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে সহজ কাজ করে টাকা ইনকাম করুন।
নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সেরা মার্কেটপ্লেস কোনটি?
আমি মনে করি নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সেরা মার্কেট প্লেস হল ফাইবার ও আপওয়ার্ক কারণ এ দুটি ব্যবহার করা সহজ এবং এখানে তাড়াতাড়ি কাজও পাওয়া যায়।
ফ্রিল্যান্সিং শিখতে কত টাকা লাগে?
ফ্রিল্যান্সিং শিখতে কোনো টাকা লাগেনা। আপনি ইউটুব ভিডিও দেখে ও ব্লগ পোস্ট পড়ে খুব সহজে শুরু করতে পারবেন। আর আমি বিশেষজ্ঞ হতে চাইলে অল্প কিছু টাকা ব্যায় করে অনলাইন কোর্স ক্রয় করতে পারেন।
উপসংহার :
আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শুরু করব বা করতে হয়? এই সম্পর্কে। যদি বুঝতে পেরে থাকেন, কিংবা এই নিবন্ধনটি আপনার ভালো লেগে থাকে। তাহলে অবশ্যই এটি বেশি বেশি করে শেয়ার করে দিন। আর আপনার যদি কোন প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে সেটি কমেন্ট বক্সে জানান। আর এরকম ধরনের আরো নতুন নতুন অনলাইন টিপস ও অনলাইন ইনকাম সম্পর্কে জানতে আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলটিতে যোগদান করুন। সাথে আমাদের ব্লগ ওয়েবসাইটটিকে সাবস্ক্রাইব করে রাখুন। আর আর আপনি যদি একজন দক্ষ ফ্রিল্যান্সার হওয়ার জন্য চেষ্টা করে থাকেন তাহলে আপনি এখানে দেওয়া লিংকে ক্লিক করে এই অনলাইন কোর্সটি ক্রয় করতে পারেন।