এডসেন্স এর পিন ভেরিফিকেশন কিভাবে করব তার নিয়ম

এডসেন্স এর পিন ভেরিফিকেশন কিভাবে করব তার নিয়ম (AdSense Pin)

এডসেন্স এর পিন ভেরিফিকেশন করাটি খুব সহজ একটা ব্যাপার। কিন্তু নতুনদের জন্য একটু কঠিন। সেই কারণে তারা ভয় পেয়ে থাকে, এবং এডসেন্সের পিন ভেরিফিকেশন করার আগে কিভাবে করা যায় এই বিষয়ে জানতে ইচ্ছুক হয়ে থাকেন। তাই এই নিবন্ধনটি আমি বিশেষ করে তাদের জন্য লিখেছে।

সুতরাং আপনি যদি আমার মতন একজন নতুন ব্লগার হয়ে থাকেন। এবং আপনার এডসেন্সের পিন ভেরিফিকেশন কিভাবে করবেন সেই বিষয়ে জানতে ইচ্ছুক হয়ে থাকেন। তাহলে এই নিবন্ধনটি সম্পূর্ণ পড়ুন। কারণ এই নিবন্ধনের মধ্যে আমি এডসেন্সের ঠিকানা পিন ভেরিফিকেশন এর বিষয়ে সম্পূর্ণ তথ্য দিয়েছি। যেটি জানবার পরে আপনিও আপনার এডসেন্স পিনটি আপনার এডসেন্স একাউন্ট থেকে ভেরিফিকেশন করে নিতে পারবেন।

( তবে যারা না জানেন, এডসেন্স কি ও এডসেন্স অ্যাকাউন্ট কিভাবে খুলত হয়, তাহলে এখানে ক্লিক করে জেনে নিন।)

এডসেন্স এর পিন ভেরিফিকেশন কিভাবে করে

এডসেন্সের পিন ভেরিফিকেশন এর জন্য আপনার কাছে এডসেন্সের তরফ থেকে যে পিন চিঠিটি আসবে সেটিকে খুলুন। তারপর সেখানে দেখবেন ছয় সংখ্যার একটি কোড দেওয়া আছে। সেটাকে একবার দেখে নিন। যেটা দেখতে নিচে দেওয়া ছবির মত।

এডসেন্সের পিন চিঠি

তারপর আপনি আপনার এডসেন্স অ্যাকাউন্টটি ওপেন করুন বা খুলুন। এবং আপনি এডসেন্স এর ড্যাশবোর্ডে প্রবেশ করবার পরে আপনার স্কিনে ইনকাম রিপোর্ট দেখাবে। ঠিক তার নিচে “ভেরিফাই ইওর বিলিং address” বলে একটি অপশন থাকবে। যেটা দেখতে নিচের ছবির মত। সেখানে ভেরিফাই বলে একটি বাটন থাকবে সেই “ভেরিফাই” বাটনটিতে ক্লিক করুন।

এডসেন্সের পিন 1

তারপর পরবর্তী ভেরিফিকেশন চেক পেজের মধ্যে যে এড্রেস ভেরিফিকেশন অপশনটি আছে। সেই অপশন এর মধ্যে আপনার ৬ সংখ্যার ভেরিফিকেশন পিনটি লিখুন। তারপর “সাবমিট” বাটানে ক্লিক করুন।

তবে একটা কথা মনে রাখবেন অবশ্যই পিনটা দেখে ভালো করে দেখে লিখবেন। কারণ যদি তিনবারের বেশি পিনটি ব্যবহার করা হয়ে যায়। এবং সেটি সঠিক না হয়ে থাকে তাহলে আপনার এডসেন্স একাউন্টটি বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

এডসেন্সের পিন ভেরিফিকেশন

আপনি সাবমিট বাটনে ক্লিক করলে আপনার পিনটি সাবমিট হয়ে যাবে। তারপর আপনি দু থেকে তিন মিনিট অপেক্ষা করে আপনার এডসেন্স একাউন্টটি একবার রিফ্রেশ করুন। আপনি আপনার এডসেন্স একাউন্টে রিফ্রেশ করলে দেখবেন যে পিন ভেরিফিকেশন অপশনটি ছিল সেটি আর নেই। তখন বুজবেন আপনার অ্যাকাউন্টটি সাকসেসফুলি ভেরিফাই হয়ে গিয়েছে। আর যদি তাৎক্ষণিক ভেরিফাই না হয়ে থাকে তাহলে চিন্তার কোন কারণ নেই ২৪ ঘন্টা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। তার মধ্যে আপনার একাউন্টটি ভেরিফিকেশন হয়ে যাবে।

সংক্ষেপে: এডসেন্সের পিন ভেরিফিকেশন করার জন্য সর্বপ্রথমে আপনার এডসেন্স একাউন্টে ওপেন করুন। তারপর এডসেন্স ড্যাসবোর্ডে প্রবেশ করে পিন ভেরিফিকেশন অপশনের মধ্যে “ভেরিফাই” বাটনটিতে ক্লিক করুন। তারপর এড্রেস বা ঠিকানা ভেরিফিকেশন অপসন এর মধ্যে আপনার পিনটি লিখে সাবমিট বাটনে ক্লিক করুন।

গুগল এডসেন্সের পিন কখন পাওয়া যায়?

আপনি যদি এটি গুগল এডসেন্স একাউন্ট তৈরি করে থাকেন এবং সেই গুগল এডসেন্স একাউন্টে ১০ ডলার ইনকাম সম্পন্ন হয়ে যায়। তখন আপনি google এডসেন্সের পিনটি পাবেন।

গুগল এডসেন্সের পিন পাওয়ার জন্য কি করতে হবে?

Google এডসেন্সের পিন পাওয়ার জন্য সবার প্রথমে আপনাকে একটি ব্লগ ওয়েবসাইট, ইউটিউব চ্যানেল, বা অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করতে হবে। তারপর একটি google এডসেন্স একাউন্ট তৈরি করে আপনার সেই প্ল্যাটফর্মে গুগল এডসেন্সে এর বিজ্ঞাপন চালিয়ে এডসেন্স একাউন্টে ১০ ডলার ইনকাম করতে হবে। এবং তার আগে আপনার নাম, ঠিকানা ও অন্য সমস্ত তথ্য সাথে আপ্নে পেনকার্ড টির ছবি ও নম্বর উপলোড করে Identity Verification টি সম্পূর্ণ করে রাখতে হবে। তারপরে আপনি google এডসেন্স পিনটি পাবেন।

গুগল এডসেন্সের পিন কত দিন বাদে আসে?

গুগল এডসেন্সের পিনটি সাধারণত গুগল কোম্পানি থেকে ছেড়ে দেওয়ার পর ১৪ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে চলে আসে। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে সেটি আরও বেশি সময় নিতে পারে হতে পারে ৩০ থেকে ৫০ দিন পর্যন্ত।

এডসেন্স পিন কতবার আবেদন করা যায়?

এডসেন্স পিন সাধারণত ৩ বার পর্যন্ত আবেদন করা যায়। তিন বার এর বেশি করা যাবে না।

উপসংহার :

আপনি কিভাবে সহজেই আপনার গুগল এডসেন্স এর পিন ভেরিফিকেশন করবেন। সেই বিষয়ে আশাকরি আমি আপনাকে সম্পূর্ণ ধারণা দিতে পেরেছি। যদি পেরে থাকি তাহলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে আপনার মতামত জানান। আর এটি ভালো লাগলে বেশি বেশি করে শেয়ার করে দিন। এবং এরকম ধরনের আরো নতুন নতুন অনলাইন টিপস পেতে আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলটিতে যোগদান করুন এবং এই তরিকুল বাঙালি ব্লগ টিকে সাবস্ক্রাইব করুন।

আরো পোস্ট পড়ুন :-