১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া: বিস্তারিত পরিকল্পনা
আমরা সকলে জানি কম পুঁজিতে ব্যবসা শুরু করা কঠিন মনে হতে পারে। কিন্তু আপনি সঠিক পরিকল্পনা ও কৌশল জানলে এটি করা সহজ।
তাই আমি এই পোস্টে আমরা জানা এমন ২৫টি ব্যবসার আইডিয়া শেয়ার করবো যা ১০ হাজার টাকার মধ্যে শুরু করা সম্ভব। সাথে প্রতিটি ব্যবসার জন্য প্রয়োজনীয় খরচ, বাজারজাতকরণ কৌশল, এবং সফল হওয়ার টিপস নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা ও করা হয়েছে।
আপনি জানতে চাইলে সেগুলো একবার দেখে নিন।
১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া
হ্যান্ডমেড জুয়েলারি বিক্রি
আপনি কিছু জুয়েলারি তৈরির সরঞ্জাম ক্রয় করে বাড়িতে নিজে হাতে জুয়েলারি প্রোডাক্ট তৈরী করে বিক্রি করতে পারেন। তারপর সেগুলো ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম এর মতো মার্কেটপ্লেস ব্যবহার করে প্রোডাক্টটি প্রচার করে বিক্রয় করতে পারেন। সাথে মার্কেটে গ্রোথের জন্য ট্রেন্ডি ডিজাইনর জুয়েলারি প্রোডাক্ট তৈরি করুন এবং সেগুলোর সুন্দর প্যাকেজিং ব্যবহার করে ডেলিভারি করুন বা বিক্রয় করুন।
ফ্রিল্যান্স কন্টেন্ট রাইটিং
আপনি বাড়ি বসে ফ্রিল্যান্স কন্টেন্ট রাইটিং কাজ করতে পারেন এটি করবার জন্য একটি ল্যাপটপ ও ইন্টারনেট কানেকশন হলেই চলবে। তারপর আমি সেই কাজ করবার জন্য আপওয়ার্ক, ফাইভার-এর মতো প্ল্যাটফর্ম এ যোগদান করে বিভিন্ন দেশ বিদেশের ক্লায়েন্ট এর কনটেন্ট লিখে ডলারে টাকা ইনকাম করতে পারেন।
এই কাজটি ভালো ভাবে করার জন্য নিজের আপওয়ার্ক, ফাইভারে তৈরি পোর্টফোলিও টিকেসুন্দর ও ক্লায়েন্টদের আকৃষ্ট হয় এমন ভাবে তৈরী করুন। সাথে আপনি তাদের ভালো পরিষেবা দিয়ে আপনার একটি সু-সম্পর্ক তৈরী করুন পরবর্তীতে আরো কাজ পাওয়ার জন্য।
ঘরে বসে কেক এবং বেকারি
আপনি যদি অল্প টাকাতে ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে আপনি বাড়ি বসে বেকারি ব্যবসা শুরু করেত পারেন কারণ এটি শুরু করতে খুব বেশি টাকার প্রয়জন হয় না। তাই আপনি এটি শুরু করতে পারেন তবে আপনার যদি ফুড তৈরী সম্পর্কে বিশেষ গেইন না থাকে তাহলে আপনি ইউটুবে বা অনলাইন কোর্স এর মাদ্ধমে শিখতে পারেন।
তারপর বিভিন্ন ফুড তৈরী করে প্রথমে কোনো একটা নিদির্ষ্ট এলাকাতে বিক্রয় শুরু করুন তারপর অনলাইন ফুড ডেলিভারি সার্ভিসে যোগাযোগ করে। অনলাইন এর মাধ্যমে ব্যবসা বাড়াতে শুরু করুন। আর বেশি পরিমাণ গ্রাহক পাওয়ার জন্য ক্রেতাদের বিশেষ ছাড় দিন এবং খাবারটি স্বাদে মনোযোগ দিয়ে তৈরী করুন।
গ্রাফিক্স ডিজাইন
আপনি যদি কম্পিউটারে বসে ফটো এডিটিং ও গ্রাফিক্স ডিজাইন এর মত কাজ জেনে থাকেন। তাহলে সেক্ষেত্রে আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন কাজটি করতে পারেন। এটার জন্য আপনাকে এডোব প্রিমিয়ার কিংবা ক্যান্ভার মত গ্রাফিক্স ডিজাইন এর একটি প্রিমিয়াম সাবস্ক্রাইপশন প্ল্যান ক্রয় করে।
বিভিন্ন ছোট ছোট ব্যবসার জন্য লোগো এবং ব্যানার তৈরি করে। সেগুলো মার্কেটের প্রচলিত মূল্যের তুলনায় স্বল্পমূল্যে বিক্রয় করে, আপনি ব্যবসাটি করতে পারেন।
প্রিন্ট অন ডিমান্ড পণ্য বিক্রি
আপনার যদি আগে থেকেই বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন কিংবা আঁকা আঁকির বিশেষ অভিজ্ঞতা থেকে থাকে। তাহলে আপনি প্রিন্ট এর ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
এর জন্য আপনি একটি ছোটখাটো ওয়েবসাইট তৈরি করে বা স্টোর তৈরি করে। সেখানে আপনার ক্রতার পছন্দ অনুযায়ী কাস্টম প্রিন্ট এর প্রোডাক্ট গুলি বিক্রয় করতে থাকুন। যেমন; চায়ের কাপ, ফুলদানি, গিফটের প্রোডাক্ট, এছাড়া আরো অন্যান্য বিভিন্ন প্রোডাক্টের উপরে প্রিন্ট করা।
পতি পিন্ট অনুযায়ী টাকা নির্ধারণ করে সেখান থেকে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবে।
টিউশনি করা
আপনি হয়তো ভাববেন টিউশনে করে কত টাকা ইনকাম করা সম্ভব। কিন্তু আপনি বিশ্বাস করবেন না এই টিউশানি করে অনেকে বড় বড় কোম্পানি তৈরি করেছেন। আমার জানাই এমনও অনেক ইউজার আছে।
এটির জন্য শুধুমাত্র আপনার শিক্ষা দক্ষতা দরকার। তারপর আপনি সেই দক্ষতাকে নিয়ে Youtube বা ফেসবুক ভিডিওর মাধ্যমে, কিংবা আপনার স্থানীয় এলাকায় প্রচারের মাধ্যমে করতে পরনে। কিছু সংখ্যক ছাত্রকে একত্রিত করে টিউশন পড়ানো শুরু করুন।
তবে এক্ষেত্রে আপনাকে প্রথমের দিকে একটু অল্প উপার্জন হবে। কিন্তু আপনি একবার সঠিক ভাবে দাঁড়িয়ে যেতে পারলে। প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তার জন্য আপনাকে প্রথমের দিকে ফ্রীতে করতে হবে কিছু দিন।
ফেসবুক পেজ ম্যানেজমেন্ট
এটি একটি সুবর্ণ বা সফলতা ব্যবসা হতে পারে। আপনি শুধুমাত্র একটি ল্যাপটপ ও কম্পিউটার এর মাধ্যমে। ফেসবুক কনটেন্ট তৈরি করার ক্রিয়েটরদের সাথে যোগাযোগ করে তাদের কাজগুলোকে আপনি নিয়ে নিতে পারেন।
যেমন; তাদের তৈরি করা রিলস, পোস্ট ও ভিডিওগুলো সঠিক নিয়মে পোস্টিং করা। এবং বেশি করে দর্শকদের কাছে পরিচিত করা।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
১০ হাজার টাকার মধ্যে ব্যবসা শুরু করতে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং ব্যবসাটি করতে পারেন। এটি করার জন্য আপনাকে মার্কেটিং কোর্স ও গাইডের প্রয়োজন হবে।
যেগুলো আপনি ইউটিউব কিংবা বিভিন্ন অনলাইন কোর্স প্লাটফর্ম থেকে পেয়ে যাবেন।
তারপর সেগুলোর উপর ভিত্তি করে নিজের একটি ছোট ব্যবসার শুরু করুন। এবং মার্কেটে ট্রেনিং এ থাকা মার্কেটিং স্ট্রাটেজি ব্যবহার করে আপনার ব্যবসাকে বৃদ্ধি করুন। এবং সেখান থেকে অধিক পরিমাণ ইনকাম করুন।
Youtube ভিডিও কনটেন্ট তৈরি
অল্প টাকায় ব্যবসা শুরু করতে আপনি ইউটিউব ভিডিও কনটেন্ট তৈরি ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
তার জন্য একটা সেটআপ তৈরী করতে ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা মতো হবে।
তারপর সেখানে আপনি আপনার মতামত শেয়ার করে, ও বিভিন্ন ধরণের ভিডিও তৈরী করে সেগুলো ইউটিউবে আপলোড দিয়ে সেখান থেকে ইনকাম করতে পারেন।
অন্যথায় আপনি বিভিন্ন কোম্পানির প্রোডাক্টগুলো ভিডিওর মাধ্যমে তুলে ধরে দর্শকের কাছে বিক্রয় করিয়ে, সেখান থেকে কমিশন উপার্জন করে ইনকাম শুরু করতে পারেন।
মোবাইল রিচার্জ ব্যবসা
এটি শুরু করার জন্য প্রথমের দিকে অল্প পুঁজি ও একটি মোবাইল থাকলে আপনি এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারবেন।
এটি শুরু করার জন্য আপনি এলাকার পরিচিত লোকজনের রিচার্জ করে কাজটি শুরু করুন। এবং তাদেরকে দ্রুত সেবা দিন।
সাথে আপনি যে মোবাইল সিম কোম্পানির রিচার্জ এর ব্যবসা শুরু করবেন। তাদের সাথে কমিশন ব্যবস্থায় কাজ করুন, এবং আজ থেকে ইনকাম শুরু করে দিন।
কাস্টমাইজড গিফট আইটেম
এই কাস্টমাইজ গিফট আইটেম এর ব্যবসাটি শুরু করতে। আপনাকে শুধুমাত্র একটি পেন্টিং মেশিন ক্রয় করতে হবে। যেটির মূল্য মাত্র পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকা এবং সমস্ত মেটেরিয়ালস ধরে ১০ থেকে ১২০০০ টাকার মত খরচা হবে।
সেটি ক্রয় করে আপনি নিজের ব্যক্তিগত ও কাস্টমারের ব্যক্তিগত ডিজাইন দিয়ে বিভিন্ন কাস্টমাইজড গিফট আইটেম তৈরি করুন। এবং সেগুলোকে বিভিন্ন ইভেন্ট বা উৎসবে কেন্দ্রগুলিতে প্রমোশন করে ক্রোতার কাছে বিক্রয় বাড়াতে থাকুন।
অনলাইন কোর্স তৈরি
আপনার যদি কোন একটি বিষয়ে বিশেষ কোন জ্ঞান থেকে থাকে। এবং সেটি সকলের প্রয়োজন বলে আপনার মনে হয়ে থাকে। আপনি সেই বিষয়ে আপনার সম্পূর্ণ মতামত দিয়ে একটি কোর্স তৈরি করতে পারেন।
তারপর সেটিকে নিয়ে আপনি ইউডেমি বা স্কিলশেয়ার এর মত কোর্স প্লাটফর্মে আপলোড করে সেগুলো বিক্রয় করতে পারেন।। এবং আপনি এই কাজটি একবার করে সেখান থেকে সারা জীবন উপার্জন করতে পারবে।
ফটো এডিটিং সার্ভিস
আপনার যদি ফটো এডিটিং সম্পর্কে বিশেষ জ্ঞান থেকে থাকে। তাহলে আপনি যেকোনো একটি ভালো ফটো এডিটিং সফটওয়্যার এর প্রিমিয়াম পরিকল্পনা ক্রয় করে।
বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ক্লাইন্টদের সাথে যোগাযোগ করে তাদের তোলা ছবি ও ফটোগুলো এডিট করবার কন্টাক্ট নিন। এবং তাদের কাজকে আগিয়ে নিয়ে যেতে সুবিধা দিতে পারেন, এবং তাদের কাছ থেকে আপনার কাজ অনুযায়ী চার্জ নিতে পারেন। সেটি সম্পূর্ণ নির্ধারণ করবে আপনার কাজের অভিজ্ঞতা উপরে।
আর এটিতে সবথেকে বিশেষ যে ব্যাপারটি সেটি হল আপনি সঠিকভাবে কাজ করলে। একটি কাস্টমার এর কাছে থেকে অনেক লম্বা সময় পর্যন্ত কাজ পেতে পারেন।
আরো জানুন: – ছবি তুলে টাকা আয় করার সহজ উপায়.
পুরাতন বই বিক্রয় এর ব্যবসা
আপনি সীমিত টাকা লাগিয়ে ব্যবসা শুরু করতে চাইলে। পুরাতন বই বিক্রয়ের ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
এর জন্য আপনি আপনার স্থানীয় পড়ুয়াদের কাছ থেকে সমস্ত পুরাতন বই এর কালেকশন গুলো ক্রয় করে নিয়ে। নিজস্ব একটি স্টোর তৈরী করে বা অনলাইন মার্কেটপ্লেস এর মাধ্যমে বিক্রয় করতে পারেন।
যেমন; ফেসবুক মার্কেটপ্লেস বা সফিফাই মার্কেটপ্লেস ব্যবহার করতে পারেন। এবং সেগুলো আপনি সুলভ মূল্যে বিক্রয় করে প্রচুর টাকা উপার্জন করতে পারেন।
ফ্রিল্যান্স ভিডিও এডিটিং
আপনি এই কাজটি করার জন্য একটি ভালো ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার এর প্রিমিয়াম পরিকল্পনা ক্রয় করতে পারেন। তারপর আপনি ভালোভাবে ভিডিও এডিটিং শিখে বিভিন্ন ভিডিও কনটেন্ট ক্রিকেটারদের সাথে যোগাযোগ করে তাদের ভিডিও এডিটিং করার কাজ গুলো ধরতে পারেন।
প্রতিটি কাজের জন্য আপনি ২০০০ থেকে ৫০০০০০ টাকা পর্যন্ত পেতে পারেন।
এই কাজগুলোর ধরার জন্য আপনি বিভিন্ন ধরনের ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে আপনার নিজস্ব প্রোফাইল তৈরি করে, সেখান থেকে কাজ পেতে পারেন।
টিফিন সার্ভিস
আপনি যদি ভালো খাবার তৈরি করতে পেরে থাকেন। তাহলে আপনি টিফিন সার্ভিস এর ব্যবসাটি তৈরি করতে পারেন। এবং অফিস কর্মচারীদের টার্গেট করে এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন।
যেখানে; আপনি স্বাদযুক্ত ও পুষ্টিকর খাবার তৈরি করে তাদেরকে সরবরাহ করতে পারেন। এবং সেখান থেকে আপনি একটি মোটা অংকের টাকা ইনকাম করতে পারেন।
পোষা প্রাণীর খাবার সরবরাহ
অল্প পুজিতে ব্যবসা শুরু করতে আপনি পোষা প্রাণীর খাবার সার্ভারের ব্যবসা করতে পারেন।
যেমন; মাছ, মুরগি, পাখি, পায়রা, গরু, ছাগল, এছাড়া বিভিন্ন ধরনের পোষা প্রাণীর খাবার সরবরাহ করে একটি স্টক তৈরি করতে পারেন।
এবং সেগুলো আপনি নিজস্ব একটি স্টোর তৈরি করে সেখানে বিক্রয় করতে পারেন, কিংবা অনলাইন এর মাধ্যমে বিক্রয় করতে পারেন। তবে সেখান থেকে বেশি পরিমাণে ইনকাম করবার জন্য আপনার গুণমান বজায় রাখুন।
ড্রপ শিপিং ব্যবসা
এই ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনার একটি হোস্টিং ও ডোমিন এর প্রয়োজন হবে। তারপর সেটিকে একত্রিত করে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করুন। এর জন্য আপনাকে সর্বনিম্ন ১০০০ থেকে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচা হতে পারে, এক বছরের জন্য।
তারপর সেখানে আপনি আলিবাবা বা আলী এক্সপ্রেস থেকে বিভিন্ন পণ্য অল্প মূল্যে ক্রয় করে। সেগুলোকে আপনার স্টোরে বেশি মূল্যে বিক্রয় করতে পারেন। তবে তার জন্য আপনাকে কাস্টমার সার্ভিস এ ফোকাস করা অত্যন্ত জরুরি।
প্লান্ট এবং নার্সারির ব্যবসা
১০ হাজার টাকার মধ্যে ব্যবসা শুরু করার জন্য। আপনি বাড়ি থেকেই বিভিন্ন ধরনের প্লান্ট কিংবা নার্সারির ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
এর জন্য আপনি আপনার নিকটবর্তী কোন নার্সারি সাথে যোগাযোগ করে। সেখান থেকে plant ক্রয় করে ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। অনলাইনের মাধ্যমে বা নিজস্ব স্টোর তৈরি করে।
তবে এই ব্যবসায় সফলতার জন্য, আপনি ঘরের ভিতরে লাগানো যায় এরকম ধরনের প্লান্টের ব্যবসা শুরু করলে ভাল হবে বলে আমি মনে করি।
লোকাল কুরিয়ার সার্ভিস
আপনি এই কাজটি করার জন্য একটি সাইকেল বা মোটরসাইকেল এর ব্যবহার করে করতে পারেন। দূরত্ব পরিষেবা দিয়ে এই ব্যবসাটিকে বিশ্বস্তময় ও সময়নিষ্ঠ হিসেবে প্রতিষ্ঠান তৈরি করতে পারে।
এর জন্য আপনি আপনার স্থানীয় এলাকাতে যত দোকান বা স্টোর গুলো আছে, তাদের সাথে যোগাযোগ করে তাদের প্রোডাক্টগুলো কুরিয়ার সার্ভিস দেওয়ার কন্টাক্ট নিতে পারেন। এখানে আপনার কোন ইনভেস্টমেন্ট ছাড়াই ইনকাম করা শুরু করতে পারবেন।
কাস্টমাইজড টি শার্ট ডিজাইন
আপনি একটি ছোটখাটো ব্যবসা শুরু করার জন্য এই কাস্টমাইজড টি-শার্ট ডিজাইন ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। এর জন্য আপনি নিজস্ব একটি অনলাইন ও অফলাইন স্টোর খুলুন।
তারপর আপনার কাস্টমারের চাহিদা অনুযায়ী তাদের টি-শার্ট গুলির উপরে ব্যক্তিগত ডিজাইন করতে থাকুন। এবং প্রতিটি ডিজাইনের উপরে একটি আলাদা আলাদা চার্জ রেখে দিন। যাতে দর্শকদেরকে বেশি বেশি আকৃষ্ট করতে সাহায্য করে।
ব্যবসাটি একটু বড় হয়ে গেলে আপনি নিজের টি শার্ট তৈরি করে সেটির উপরের ডিজাইন দিয়ে আপনার নিজস্ব অনলাইন স্টোর, বিভিন্ন দোকান, কিংবা শপিংমলে সেটি বিক্রয় করতে পারেন।
অনলাইন অ্যাডভার্টাইজমেন্ট
এই ব্যবসাটি করার জন্য আপনাকে google ও ফেসবুক অ্যাড সম্পর্কে ন্যূনতম জ্ঞান থাকা প্রয়োজন।
আপনার যদি সেটি থেকে থাকে তাহলে আপনি একটি ল্যাপটপ বা কম্পিউটারের মাধ্যমে গুগল এডস বা ফেসবুক এড্স এর মাধ্যমে। বিভিন্ন কোম্পানি প্রোডাক্টকে প্রচার করে। তাদের প্রোডাক্টকে বিক্রয় বাড়াতে ও বেশি পরিমাণ গ্রাহকের কাছে পৌছাতে সাহায্য করতে পারেন। এবং তাদের ROI হিসেবে আপনি একটি কমিশন নিতে পারেন।
এই ব্যবসাটি শুরুর জন্য, আপনার প্রয়োজন হবে একটি ল্যাপটপ ও ইন্টারনেট কানেকশন, সাথে নিজের বিজ্ঞাপন চালানোর দক্ষতা।
ইভেন্ট প্ল্যানিং
এই ব্যবসাটি শুরু করতে আপনাকে সর্বোচ্চ পাঁচ থেকে সাত হাজার টাকার প্রয়োজন হবে। এবং সেই টাকা দিয়ে আপনি বিভিন্ন ধরনের ইভেন্ট প্ল্যানিংয়ের কন্টাক্ট নিতে পারেন।
যেমন; বিবাহ বার্ষিকী, অ্যানিভার্সারি, জন্মদিন, অন্নপ্রাশন ও এছাড়া আরো অন্যান্য ইভেন্টগুলোর কন্টাক্ট নিয়ে, সেই কাজগুলোকে স্বল্প মূল্যে করিয়ে দিতে পারেন।
তবে এই ব্যবসাটি করার জন্য আপনাকে সর্বনিম্ন দুই থেকে তিনটি লোকের প্রয়োজন হবে। কারণ একার দ্বারা এই কাজটি করা অসম্ভব ব্যাপার।
ফোন কভার ডিজাইন বিক্রি
আমরা সকলেই জানি এখনকার সময় আমরা সকলেই, বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন ফোনের কভার ব্যবহার করতে ভালবাসি। তাই আপনি যদি এই ফোন কভার ডিজাইন এর ব্যবসা শুরু করেন। তাহলে আপনার সুদূর ও উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ দেখা যেতে পারে।
তাই আপনি একটি ফোন কভার ডিজাইন এর মেশিন ক্রয় করে. তার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন ডিজাইনের কভার তৈরি করে। সেগুলোকে বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটপ্লেসের মাধ্যমে বা নিজস্ব স্টোর তৈরি করে সেখানে বিক্রয় করে অধিক পরিমাণ টাকা উপার্জন করতে পারেন।
উপসংহার:
এখানে দেওয়া ১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে নিম্নলিখিত ও সংক্ষিপ্ত টিপস গুলো, আশা করি আপনার পছন্দের একটি ব্যবসাকে নির্বাচন করতে সহায়ক হয়েছে। যদি হয়ে থাকে, এবং নিবন্ধনটি ভালো লেগে থাকে তাহলে এটি বেশি বেশি করে শেয়ার করে, অন্যদেরকেও জানবার সুযোগ করে দিন।
আপনার কোন প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে সেটি কমেন্ট বক্সে জানান। আর আপনি যদি এরকম ধরনের আরো নতুন নতুন টিপস সম্পর্কে নিবন্ধন পেতে চান। তাহলে আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলটিতে যোগদান করুন, সাথে ওয়েবসাইটটিকে সাবস্ক্রাইব করে আমাদের সাথে জুড়ে থাকুন।