অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করার সহজ উপায় জেনে নিন এখুনি
এখনকার সময়ে অনলাইনে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করার উপায়টি খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কিন্তু আমাদের মধ্যে অনেকে এমন আছেন যারা এফিলিয়েট মার্কেটিং কি সেই সম্পর্কে এখনো জানেন না। সেই কারণে তাদের জন্য এই নিবন্ধন টি লেখা।
সুতরাং, আপনি যদি অনলাইন থেকে ইনকাম করার বিষয় ভেবে থাকেন। কিন্তু আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং কি এই সম্পর্কে না জেনে থাকেন। তাহলে এখানে ক্লিক করে অ্যাফিলিয়ে মার্কেটিং সম্পর্কে জেনে নিন। আর আপনি যদি আগে থেকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে জেনে থাকেন তাহলে এই নিবন্ধনটি মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ পড়ুন। আর জেনে নিন আপনি কিভাবে আজকে থেকেই Affiliate মার্কেটিং শুরু করে ইনকাম করতে পারবেন সেই বিষয়ে।
তাই চলুন আমরা বেশি কথা না বলে জেনে নেই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করার উপায় গুলির বিষয়ে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করার উপায়
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করার জন্য সবার প্রথমে আপনার কাছে একটি ল্যাপটপ বা একটি ভাল মোবাইল থাকা দরকার, এবং সাথে সেটিতে ইন্টারনেট কানেকশন থাকা দরকার। আর এটি এখনকার প্রায়ই সকল মানুষের কাছেই উপলব্ধ আছে।
তাই আপনি সবার প্রথমে একটি ভালো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং নেটওয়ার্ক কে পছন্দ করুন। তবে আমি আপনাকে বলব শেয়ারএসেল, কিউলিংক, বা আনকারোর মত অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং প্ল্যাটফর্ম গুলিতে যোগদান করুন। কারন এগুলি নতুনদের জন্য খুব ভালো ও সহজ ব্যবহারকারী প্ল্যাটফর্ম।যেগুলি একশোর মধ্যে ৯০% অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার তাদের অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করে এই প্লাটফর্ম গুলো দিয়ে।
তাই আপনিও এই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং প্লাটফর্ম গুলিথেকে শুরু করতে পারেন। এর জন্য আপনি এখানে দেওয়া লিংকে ক্লিক করে Shareasale, কিউলিংক, বা আনকরো প্ল্যাটফর্মটিতে যোগদান করুন বা একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন।
আপনার একাউন্টে তৈরি হয়ে গেলে আপনি সেই অ্যাফিলিয়েট প্ল্যাটফর্ম টিতে প্রবেশ করুন। তারপর সেখান থেকে যেকোনো একটি পণ্যের অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে যোগদান করে সেই পণ্যটির লিংকটি কপি করে নিন।
তারপর সেই লিংকটি আপনি আপনার ব্লগ পোস্টের মধ্যে, Youtube ভিডিও ডেসক্রিপশনে, বা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে পোষ্টের সাথে শেয়ার করতে থাকুন। ফলে যখনই কোন দর্শক আপনার ওই লিংকটিতে ক্লিক করে ওই পণ্যটি ক্রয় করবে বা অ্যাপ্লিকেশনটি ইন্সটল করবে তখনই আপনি তার বদলে কিছু কমিশন উপার্জন করতে পারবেন। উদাহরণ স্বরূপ আমি আপনাকে দেখাবো “শেয়ারএসেল” প্লাটফর্ম টি ব্যবহার করে।
এই কারণে সবার প্রথমে আমরা এখানে দেওয়া লিংকে ক্লিক করে শেয়ার-এ-সেল affiliate মার্কেটিং প্লাটফর্মটিতে যোগদান করুন বা একটাই একাউন্ট তৈরী করে নিন। তারপর আপনি আপনার সেরেশের অ্যাফিলিয়েট প্ল্যাটফর্মে ড্যাশবোর্ডে প্রবেশ করুন, যেটা দেখতে নিচে দেওয়া ছবির মত। তবে আপনার যদি আগে থেকেই একটি শেয়ার একাউন্ট থেকে থাকে তাহলে আপনি আপনার সেই একাউন্টটি লগইন করে নিন।
এখানে আমাদের সবার প্রথম কাজ হল আমাদের একটি ভালো অ্যাফিলিয়েট পণ্য নির্বাচন করা এবং সেটির অ্যাফিলিয়ে লিংক কপি করা। এই কারণে সবার প্রথমে আমরা ক্লিক করব উপরে দেওয়া “মার্চেন” মেনুটিতে ক্লিক করুন তারপর ক্লিক করব “সার্চ ফর মার্চেন্ট” বাটনটিতে।
তারপর আপনি “মার্চেন্ট” পেজটিতে প্রবেশ করলে আপনার সামনে নিচে দেওয়া ছবির মত একটি পেজ আসবে। সেখানে আপনি কোন ধরনের পণ্য প্রচার করতে চান সেটি নির্বাচন করতে পারেন। এছাড়া আপনি নিচে দেওয়া বিভিন্ন ধরনের কোম্পানি আছে। যেখানে আপনি জয়েন প্রোগ্রাম বাটনটিতে ক্লিক করে আপনি সেই পণ্যটির এফিলিয়েট প্রগ্রামে যোগদান করতে পারেন।
তবে আপনি যখন জয়েন প্রোগ্রাম বাটান টিতে ক্লিক করবেন। তখন আপনার সামনে একটি পপআপ পেজ আসবে। সেখানে আপনি প্রথমে “এগ্রিমেন্ট” বক্সে ক্লিক করে সেটিতে টিক মার্ক করে দিন। তারপরে নিচে দেওয়া বক্সে আপনি সেই অ্যাফিলিয়েট পণ্যটি কিভাবে প্রচার করবেন সেই সম্পর্কে বিস্তারিত লিখে উপরে দেওয়া “জয়েন দিস প্রোগ্রাম” বাটনটিতে ক্লিক করুন। আপনি এটাতে ক্লিক করলে আপনার রিকোয়েস্টটি সেই অ্যাফিলিয়েট পণ্যের কোম্পানির কাছে চলে যাবে। এবং তারা যদি আপনাকে একসেপ্ট বা গ্রহণ করে তাহলে আপনি সেই পণ্যের একটি এফিলিয়েট লিংক পেয়ে যাবেন। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে সেটি নিজে নিজেই গ্রহণ হয়ে যায় এবং তাদের অ্যাফিলিয়েট লিংক দিয়ে দেয়।
আপনার যোগদান করা অ্যাফিলিয়েট পণ্যটির অনুরোধ গ্রহণ করলে আপনি একটি ইমেইল পেয়ে যাবেন এবং সেই অ্যাফিলিয়েট পণ্যের লিংকটি পেয়ে যাবেন। তবে লিংকটি কপি করার জন্য পুনরায় আপনি আপনার শেয়ার-এ-সেল অ্যাফিলিয়েট একাউন্টের ড্যাশবোর্ডে হোম পেজে প্রবেশ করুন। তারপর পেজটি একটু নিচের দিকে নামিয়ে “ইওর টপ মার্চেন” অপশনটির মধ্যে আপনি যে অ্যাফিলিয়েট পণ্যটির প্রোগ্রামের যোগদান করেছেন সেগুলি সেগুলির তালিকা সেখানে দেখাবে। এবং তার পাশে “গেট লিংক” বলে একটি বাটন দেখতে পাবনা। আপনি সেটিতে ক্লিক করুন।
আপনি “গেট লিংক” বাটনে ক্লিক করলে আপনাকে পরবর্তী পেজে নিয়ে যাবে এবং সেখানে আপনি আপনার এফিলিয়েট লিংকটি পেয়ে যাবেন। আপনি শুধু “কপি মার্চেন্ট ডিফল্ট লিংক টু ক্লিপবোর্ড” বাটনে ক্লিক করে আপনার লিংকটি কপি করে নিন। তারপর সেটিকে আপনার ব্লগ পোষ্টের মধ্যে ইউটিউব ভিডিও ডেসক্রিপশনে বা সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের মাধ্যমে বেশি বেশি করে প্রচার করতে থাকুন।
যেমন, উদাহরণস্বরূপ; আপনি এখানে যে “শেয়া-এ-সেল” লেখাটি দেখতে পাচ্ছেন ওটি অন্য রঙের হয়ে আছে কারণ আমি একটিতে লিঙ্কে যুক্ত করে রেখেছি যে লিংকে ক্লিক করে আপনি শেয়াএসেল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে একটি অফিলিয়েট অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে পারবেন।
তবে একটা কথা মনে রাখবেন। আপনি শেয়ার-এ-সেল অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামটিতে যোগদান করতে হলে আপনাকে অবশ্যই একটি ইউটিউব চ্যানেল ফেসবুক পেজ ব্লক বা অন্য কোন সোশ্যাল মিডিয়া যেকোনো একটি পেজের লিংক এর প্রয়োজন হবে। সেই কারণে আগে থেকেই আপনি একটি ইউটিউব চ্যানেল বা ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করে রাখতে পারে।
আর আপনি যদি এত ঝঞ্ঝাট না করতে চান, বা না বুঝতে পেরে থাকেন। তাহলে আপনি কিউলিংক বা অনকরো প্ল্যাটফর্মটিতে যোগদান করে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করুন। কারন এখানে আপনি খুব সহজেই যে কোন অ্যাফিলিয়েট পণ্যের অ্যাফিলিয়েট লিংক পেয়ে যাবেন। তবে এখানে শেয়ারের সেল এর মত অধিক পরিমাণে ইনকাম করতে পারবেন না।
শেষকথা :
আশা করি আপনি ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন “অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করার উপায়” সম্পর্কে। যদি বুঝতে পেরে থাকেন? কিংবা এটি আপনার ভালো লেগে থাকে। তাহলে এটি বেশি বেশি করে শেয়ার করে দিন। আর এরকম ধরনের আরো নতুন নতুন অনলাইন ইনকামের টিপস, ব্লগিং টিপস ও ইউটিউব করে ইনকাম করবার টিপস গুলির সম্পর্কে জানতে আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলটিতে যোগদান করুন ,এবং এই ওয়েবসাইটটিকে সাবস্ক্রাইব করে রাখুন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে কত টাকা আয় করা যায়?
এটা বলা অসম্ভব ব্যাপার। কারণ আপনি যেহেতু নতুন সেই কারণে আপনি কেমন ভাবে কাজ করবেন বা কতটা করতে পারবেন তার ওপরে নির্ভর করে। তবে আপনার যদি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে নূন্যতম জ্ঞান থাকে তাহলে আপনি মাসে খুব সহজেই ১০০ থেকে ৩০০ ডলার ইনকাম করে নিতে পারবেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে ইনকাম করতে কতদিন সময় লাগে?
এটিও বলা অসম্ভব ব্যাপার। কারণ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে ইনকাম শুরু হতে কোন সময় লাগে না। আপনি যদি সঠিকভাবে পন্যটি প্রচার করেন তাহলে আপনি যেদিন থেকেই শুরু করবেন সেদিন থেকেই আপনার ইনকাম শুরু হয়ে যাবে। শুধু আপনাকে সেই লিংকের দ্বারা পণ্যটি বিক্রয় করানো বা অ্যাপ্লিকেশনটি ইন্সটল করানো দরকার। সেটি করতে পারলেই আপনার ইনকাম হবে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কি কি প্রয়োজন?
আমি আগেই বলেছি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য শুধু মাত্র আপনার কাছে একটি ভালো মোবাইল ফোন, ট্যাবলেট, ল্যাপটপ বা কম্পিউটার। সাথে ইন্টারনেট কানেকশন হলে আপনি বিনামূল্যে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে পারবেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করার টাকাটি কিভাবে পাবো?
আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে যে টাকাটি ইনকাম করবেন সে টাকাটি আপনি সরাসরি আপনার ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে, চেকের মাধ্যমে, এবং পেপাল একাউন্টের মাধ্যমে তুলে নিতে পারবেন। তবে আপনি যদি আমার মত শেয়ারেএসেল অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং প্লাটফর্মটি ব্যবহার করেন তাহলে আপনি সেখান থেকে সরাসরি আপনার ব্যাংকে একাউন্টে আপনার উপার্জন করা টাকাটি তুলে নিতে পারবেন।