বাচ্চা চুরি প্রতারণা থেকে সতর্ক থাকার উপায় (নিজস্ব অভিজ্ঞতার টিপস)
আমি অনেকবার অনেকের মুখে শুনেছি হসপিটাল, বা নার্সিংহোম থেকে বাচ্চা চুরি প্রতারণা হয়ে থাকে। কিন্তু আমি এ কথাটা বিশ্বাস করতাম না। কারণ আমি নিজে কখনো দেখিনি এবং কারো সাথে তেমন হতেও দেখিনি। কিন্তু বললে বিশ্বাস করবেন না এই এক সপ্তাহের ভিতরে আমার পরিবারের সাথে এমনই একটা বাচ্চা চুরি প্রতারণা বা ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু সেটা কোন হসপিটাল বা নার্সিংহোম থেকে না। ডাইরেক্ট বাড়ি থেকে ১৫ দিনের বাচ্চা চুরি হয়েছে ভালোবাসার ছন্দ বেশ করে।
হ্যাঁ, আপনি ঠিকই শুনছেন। আমার পরিবারের একজন সদস্য সবেমাত্র জন্ম নেওয়া ১৫ দিনের বাচ্চাটি চুরি হয়েছে। বাচ্চাটি সম্পর্কে আমার মামাতো ভাই হন, মানে বাচ্চাটি হলেন আমার মামার ছেলে।
কিভাবে বাচ্চাটি শুরু হয়েছে শুনলে আপনার মাথা তাক লেগে যেতে পারে। আপনি বিশ্বাস করবেন না যে এভাবে কখনো বাচ্চা চুরি হতে পারে। আমিও প্রথম শুনে আমি বিশ্বাস করছিলাম না। কিন্তু তারপরে আমার মামার কথার ভারে আমি বিশ্বাস করতে বাধ্য হয়েছি এবং তারপরে সেটা যাচাই করে দেখি সত্য।
তাই আমি বলতে চাই আমার ও আপনাদের পরিবারের সকলেরই ছোট বাচ্চা থাকে। কিন্তু তাদেরকে আমরা অনেক সময় তেমনভাবে যত্ন বা কেয়ার করে থাকি না। আর দুষ্কৃতীরা এটার সুযোগ নিয়ে অনেকেই আপনার সাথে বড় একটি বিশ্বাসঘাতকতা করে ফেলে। তাই আমিও আপনাদের বলব আপনার বাচ্চাকে কোন কোন দিক দিয়ে লক্ষ্য রাখলে আপনার বাচ্চা চুরি হওয়ার থেকে আপনি বাঁচাতে পারবেন। কারন আমি চাইনা এই জিনিসটা অন্য কারো পরিবারের সাথে হোক।
তাই চলুন বেশি না বলে জেনে নেই আমার ছোট্ট মামাতো ভাইটি কিভাবে চুরি হয়েছে এবং আপনি কিভাবে আপনার বাচ্চাটিকে দুস্কৃত দের চুরির হাত থেকে কিভাবে রক্ষা রাখতে পারবেন সেই বিষয়ে।
আমার পরিবারের সাথে বাচ্চা চুরির প্রতারণা
আমি অনেক সময় শুনেছি কোন হসপিটালে বা নার্সিংহোমে কিছু টাকার জন্য নার্স বা আইয়ারা কারো বাচ্চা অন্য কারোর কাছে টাকার জন্য বিক্রয় দিয়ে দেয়। কিন্তু সেক্ষেত্রে তার জন্মদাতা মা জানতে পারে না। কিন্তু আমাদের পরিবারের বাচ্চা চুরি হওয়ার ব্যাপারটা একদম অন্যরকম।
কারণ আমার পরিবারে আমার মামার একটি ছেলে জন্ম নেয় গত ১৫ দিন আগে এবং সেই ছেলেটির “শরীর অসুস্থ” থাকাই সে নার্সিংহোমে ভর্তি থাকেন। এবং সেখানে একটি নার্স থাকেন। যিনি খুব সুন্দরভাবে সেই বাচ্চাটিকে খেয়াল বা দেখভাল করতেন। ফলে আমার মামার বউ মানে আমার মামিমার সাথে বোনের মত একটা খুব সুন্দর সম্পর্ক তৈরি হয়ে যায় ফলে তারা তাদের নিজেদের ফোন নাম্বারও নিয়ে রেখে দেয়।
এভাবে আমার মামাতো ভাইটি জন্ম নেওয়ার ১০ থেকে ১২ দিন বাদে একটু সুস্থ হয়ে গেলে নার্সিংহোম থেকে ডাক্তার থাকে ছুটি দিয়ে দেয়। যথারীতি আমার মামা সেই মতো তাদের বাড়ি নিয়ে আসে তার বাচ্চা ও স্ত্রীকে এবং পরিবারের একজন তাদের দেখভাল করেন। এরকম দুইদিন হয়ে গেলে একদিন সেই নার্সিংহোমের নার্সটি আমার মামার স্ত্রীর কাছে ফোন কল করেন। এবং জিজ্ঞেস করেন আপনার বাচ্চাটি কেমন আছে ফলে আমার মামি উত্তর দেন যে আমার বাচ্চাটি তেমনই আছে কিন্তু শরীরটা আরেকটু বেশি অসুস্থ হয়ে গিয়েছে।
তখন সেই নার্সটি বলেন ঠিক আছে তাহলে আমি যাব? পরিপেক্ষিতে আমার মামা বলেন ঠিক আছে আসো তাহলে। এসে একবার চেক করে যান। কারণ বড় সমস্যা হলো এটাই আমার মামা ছেলে মানে আমার মামাতো ভাইয়ের ওষুধ দিতে হতো নাকে ড্রপ দিয়ে তো সে ক্ষেত্রে ওষুধ দেওয়াটা একটু আমার মামাদের পক্ষে ডিফিকাল্ট ছিল তাই তারা তাকে আসতে বলেন।
ফলে কিছুক্ষণ বাদে নার্সটি আমার মামার বাড়িতে এসে হাজির হন। এবং ঠিক আগের হসপিটালের মতনই দেখাশোনা করছেন এবং আমার মামার বাড়িতে থাকছেন ও তার মাইনেও নিচ্ছেন। কিন্তু তাতেও কোন সমস্যা ছিল না। এরকম ভাবে দুইদিন যাবার পরে তৃতীয় দিন আমার মামাতো ভাইয়ের শরীরটা একটু বেশি অসুস্থ হওয়ায় তাকে আবার পুনরায় নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলে ডাক্তার দিয়ে চেকআপ করার জন্য।
সেই দিনটি হলো নার্সের তৃতীয় দিনে, এবং সেই ডাক্তার চেক এর সময় সেই নার্সটি তার যাবতীয় মেডিকেল ডকুমেন্টগুলো এক জায়গায় করে নেয়। এবং আমার মামার সাথে এসে বাচ্চাকে চেকআপ করিয়ে নেয় এবং চেকআপ করানোর পরে তারা আবার বাড়ি ফিরে যায়।
বাড়ি ফিরে রাত্রে খাওয়া দাওয়ার পরে সবাই যেমন শুয়ে পড়ে তেমনি সবাই শুয়ে পড়েছে। এবং বাচ্চার রুমে শুধুমাত্র নার্স এবং তার মা দুজনেই ছিল। কারণ বাচ্চার শরীর অসুস্থ থাকায় সেই ঘরে নার্স অন্য আর কাউকে থাকতে দেননি। তাই বাধ্য হয়ে সবাই যে যার নিজের রুমে গিয়ে শুয়ে পড়ে তখন বাজে রাত দশটা। এবং বাচ্চার মা ক্লান্ত থাকাই সেও খুব দ্রুত ঘুমি পড়েন তার বাচ্চাকে ঘুম পাড়িয়ে ফলে সে সুযোগ তা পেয়ে যায়।
এরপর যখন রাত 11 টার বেশি বেজে গেছে এবং সবাই যখন ঘুমিয়ে গেছে তখন সে নার্স জেগেছিল কারণ সে আগের থেকেই প্লান করে রেখেছিল এবং বাইরের গেটের চাবি কোথায় থাকে যেটি জেনে রেখে ছিল । ফলে সবাই যখন ঘুমিয়ে গেছে তখন সে প্রথম বাচ্চা ও তার সমস্ত মেডিকেল ডকুমেন্টগুলো নিয়ে গেটের চাবি যেখান থেকে সেখান থেকে গেটের চাবিটা নিয়ে গেট খুলে পালিয়ে ১০ মিনিটের রাস্তা অতিক্রম করে মেন রোডে মার্কেটে ওঠেন।
তারপর সেখানে একটাই মোটরসাইকেল গ্যারেজ থাকায় একটা ১৪ বছরের ছেলে তার মোটরসাইকেল গ্যারেজটি বন্ধ করার জন্য সমস্ত মোটরসাইকেল গুলো বাইরে থেকে ভিতরে ঢুকাচ্ছিল। তখন সেই নার্স অসভ্য মহিলাটি সেই ছেলেটির কাছে এসে কান্না করেন আর বলেন আমার স্বামী আমাকে মেরে তাড়িয়ে দিয়েছে। আমি বাবার বাড়ি যাবে আমাকে দয়া করে একটু বাদুড়িয়া পর্যন্ত ছেড়ে দিয়েআছেন আমি আপনাকে টাকা দেব। কিন্তু ছেলেটি যেতে রাজি হচ্ছিল না। অতঃপর কিছুক্ষণ বাদে ছেলেটি বলেন ঠিক আছে আমি বাদুড়িয়া পর্যন্ত যেতে পারবো না, আমি যদুরহাটি পর্যন্ত যেতে পারবো। সে বলে ঠিক আছে আমাকে ওই পর্যন্তই ছেড়ে দেন।
তারপর ছেলেটি তার বাইকে করে সেই বাচ্চা চুরি করা মহিলাটিকে যদুরহাটি ছেড়ে দিয়ে আসেন। অতঃপর কিছুক্ষণ বাদে আমার মামা বাথরুমে যাওয়ার জন্য ঘুম থেকে ওঠেন এবং ঘুম থেকে উঠে দেখেন বাচ্চার ঘরের দোর খোলা এবং মেনগেটের দরোজা টিও খোলা। তখন আমার মামার মনে একটা সন্দেহ জাগে এবং তখনই সে বাচ্চার রুমের দিকে ধাবিত হয়ে দেখে বাচ্চা এবং নার্স দুজনাই কেউ নেই।
তখন আমার মামা পাগল হয়ে চেঁচামেচি করতে থাকে। ফলে পার্শ্ববর্তী থাকা লোকজন এবং পরিবারের লোকজন সবাই ঘুম থেকে উঠে যায়। এবং উঠে এই খবর জানতে পেরে সকলেই খোঁজাখুঁজি আরম্ভ করে এবং তারা সেই মেনরোড মোড়ের মার্কেটে চলে আসে। এবং সেখানে এদিক-ওদিক খোঁজাখুঁজি শুরু করে এবং চেঁচামেচি করতে থাকে। ততক্ষণে ওই বাইকে করে ছেড়ে দিয়ে আসা ছেলেটি খাওয়া দাওয়া করে তার ঘরে দুতলার উপরে শুয়ে পড়েছিল।
সেতখন ওই চেঁচামেচির শব্দ শুনে দুতলা থেকে নিচে নেমে আসে এবং সে এই ব্যাপারে শুনে সে তো হতম ভম্ব হয়ে বলেন। আমি তো এক্ষুনি তাকে যদুরাটি ছেড়ে দিয়ে আসলাম। এবং তখনই সে একটি ডিএন ১৮ শ্যামবাজার থেকে বাদুড়িয়া আসা বাসে উঠে চলে গেছে।
এই কথা শুনে সবাই পাগলের মত হয়ে যে যার মোটরসাইকেল নিয়ে শুরু করে দিল বাদুড়িয়ার দিকে রওনা। কিন্তু ততক্ষণে আর কোথায়? ততক্ষণে তো বাস বাদুড়িয়া পৌঁছে কুড়ি মিনিটের বেশি হয়ে গেছে। এই খবরটা জানা গেল বাস স্ট্যাটাস এর কাছে ফোন করে। ফলে আমাদের আর কিছু করার না থাকায় আমরা কিছু জন লোক বাদুড়িয়া থানায় গিয়ে একটি ডাইরি, বা অ্যাপ্লিকেশন করি। এবং কিছু জন এদিক ওদিকে খুঁজতে বার হয়ে যায়। কিন্তু আমরা খুঁজতে বার হয়েও ব্যর্থ হয়ে যায়। কারণ ততক্ষণে তারা বাচ্চা নিয়ে অনেক দূরে পৌঁছে গিয়েছিল।
এরপর কার্যকরী হয় আমাদের থানায় দেওয়া অ্যাপ্লিকেশনটি। বাদুড়িয়া থানা এপ্লিকেশন লেখানোর পরে তারা সঙ্গে সঙ্গে তাদের কাজ করা শুরু করে দেয় এবং তারা ২৪ ঘন্টার ভেতরে বাচ্চাটি নদীয়া জেলা থেকে উদ্ধার করেন। সাথে সেই দুস্কৃত চোর নার্স মহিলাটিকে, ও সাথে দুটি ছেলেকেউ যারা এই কাজের সাথে যুক্ত ছিল।
বাচ্চাটি বাদুড়িয়া থানায় উদ্ধার হওয়ার পর তাকে বারাসাত কোটে নিয়ে যাওয়া হয়। এবং সেখান থেকে কিছু জিজ্ঞাসবাদ করার পরে এবং সব ঠিক প্রমাণপত্র পাওয়ার পরে বাচ্চাটি আমাদের হাতে তুলে দেন। এবং তাদের তিনজন দুষ্কৃতকে কোট থেকে সাজা প্রদান করেন। এবং এও জানা গেছে যে এই দুষ্কৃত নার্স মহিলাটি এর আগেও অনেকের বাচ্চা বিক্রয় করেছেন টাকার লোভে।
তাই আমি আপনাকে বলব সব সময় আপনি আপনার বাচ্চাকে সাবধানে এবং সচেতন ভাবে রাখুন। কারণ এখনকার সময় এই বাচ্চা চুরি ঘটনাটি বেশিরভাগ জায়গায় ঘটছে এবং প্রায় সময় বিভিন্ন নিউজ চ্যানেলে দেখা যাচ্ছে।
জানুন : ফ্লিপকার্ট বিগ বিলিয়ন দিনের অফার (পান ৯০% পর্যন্ত ছাড়)।
বাচ্চা চুরি থেকে সুরক্ষিতের রাখার টিপস
আপনার বাচ্চাকে চুরি থেকে সুরক্ষিত রাখার জন্য সব সময় আপনার বাচ্চাকে লক্ষ্য রাখুন এবং আপনার বাচ্চাকে যদি ইস্কুলে পাঠান বা অন্য কোথাও পাঠান পারলে আপনি সাথে যান বা অন্য আপনার পরিচিত কাউকে পাঠান।
দ্বিতীয়, আপনার বাচ্চাকে বলে দেবেন অপরিচিত কেউ যদি কোন ধরনের খাবার দেন তাহলে যেন সে সেই খাবারটি গ্রহণ না করে বা না খেয়ে ফেলে।
তৃতীয়, আপনার বাচ্চাকে এটাও বলে দেবেন সে যেন অন্যের বা অপরিচিত কারো দেওয়া কোন ধরনের কোন কাপড় বা কোন বডি পারফিউম এর মত স্প্রে না ব্যবহার করে।
চতুর্থ, খাবারের লোভ দেখিয়ে বা বাইকে ঘোরানোর লোভ দেখিয়ে আপনার বাচ্চাকে আকর্ষিত করে তার দিকে টানলে সে যেন সেখান থেকে দূরে কোথাও সুরক্ষিত জাগায় চলে যায়।
পঞ্চম নম্বর, অনেক সময় আমরা আমাদের বাচ্চাদের একা একা স্কুলে পাঠায় কিন্তু আপনি কি জানেন অনেকেই এমন আছে যে সেই বাচ্চাকে রাস্তা থেকে ধরে তাদের গাড়িতে করে তুলে নিয়ে চলে যায়। এরকম ঘটনা ঘটেছে আমাদের পার্শ্ববর্তী এলাকাতে। তাই সেই জন্য সবসময় সে যেনো তার বন্ধু-বান্ধবের দের সাথে একসাথে স্কুল যায়, বা পারলে আপনি গিয়ে স্কুলে নামিয়ে দিয়ে আসবেন এবং ছুটির সময় গিয়ে সময় নিয়ে আসবেন।
ষষ্ঠ নম্বর, অপরিচিত কাউকে বাড়িতে আনলে তার থেকে আপনার বাচ্চাকে একটু দূরে সরিয়ে রাখবেন এবং এরকম ধরনের চোর নার্স বাড়িতে আনলে সতর্ক হয়ে থাকবে। তবে এটা সবসময়ই নয় কারণ সবাই একই রকম নয়। কিন্তু নিজের সর্তকতায় সব থেকেতে বড় জিনিস বলে আমি মনে করি। তাই আপনাকেও বলছি সতর্ক থাকার জন্য।
সপ্তম নম্বর, রাস্তার ধারে বাড়ি থাকলে অবশ্যই আপনি আপনার কাছ থেকে সব সময় আপনার বাচ্চাকে নজর বা লক্ষ্যে রাখবেন। কারণ অনেক সময় আমরা আমাদের বাচ্চাকে ছেড়ে দিয়ে অন্য কোন কাজে ব্যস্ত হয়ে যায়। আর তখনই সেই সুযোগনেই দুষ্কৃতীরা। তারা সেই বাচ্চাকে কোন একটা পারফিউম মেরে বা তার মুখ চেপে ধরে গাড়িতে উঠে নিয়ে চলে যায়। এই ঘটনাটি ঘটেছে কিছুদিন আগে কলকাতার একটি জায়গাতে। যেটি সিসিটিভি ক্যামেরা তে ধরা পড়েছে। তাই রাস্তার ধারে বাড়ি থাকলেও আপনার ঘরের মধ্যে খেলার জন্য এটি ভালো জায়গা করে দিন। যাতে তারা বাইরে বেশি না বার হতে চাই।
উপসংহার :
আমার জানা বা অন্যের মুখ থেকে শোনা বাচ্চা চুরি প্রতারণা বা ঘটনাগুলি থেকে আমার উপলব্ধি করা জ্ঞানের উপর আমি কিছু টিপস আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। যদি এটি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই এটি বেশি বেশি করে শেয়ার করে দিন। আর আপনি এই ধরনের চোর নার্স বা প্রতারকদের জন্য কি বলতে চান সেটি অবশ্যই নিচে কমেন্ট বক্সে জানান। (আর একটা বিষয়, আমার এই বাচ্চা চুরির বিষয়টি আপনাদের সাথে শেয়ার করবার কোন উদ্দেশ্য ছিল না। কিন্তু আমি দেখলাম আমি যদি না করি তাহলে আমার মত অন্য কারোর পরিবারের সাথেও এরকম হতে পারে। তাই তারাও যেন তাদের বাচ্চাকে দুষ্কৃতীর দলের হাত থেকে বাঁচিয়ে রাখতে পারে সেই জন্য এই নিবন্ধনটি লিখেছি)। সম্পূর্ণ পড়ার জন্য ধন্যবাদ।