পুরানো ল্যাপটপ কেনার সময় আমাদের কি কি দেখে কেনা উচিত
আমাদের সকলের যে কোনো অনলাইন কাজের জন্য ল্যাপটপ এর প্রয়জন হয়ে থাকে বা কম্পিউটার শেখার জন্য পুরাতন ল্যাপটপ কেনার চিন্তাকরে থাকি কারণ এটি ইলেকট্রিক চলে গেলে বা যেকোনো জাগায় নিয়ে গিয়ে ব্যাবহার করে পারি তাই আমরা সকলেই ল্যাপটপকে বেশি পছন্দ করে থাকি। কিন্তু এই ল্যাপটপ কেনার সময় আমাদের কিছু বিষয়ে ধারণা থাকতে হবে যেগুলি আমাদের জানা দরকার। একটি ভালো, দ্রুত এবং কার্যকরী প্রযুক্তি ডিভাইস পেতে চাইলে।
একটি সুবিধাজনক এবং ভাল মূল্যের পুরাতন ল্যাপটপ ক্রয় করার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আছে। যেগুলি আমি এই নিবন্ধন শেয়ার করেছি। আপনি পুরানো ল্যাপটপ ক্রয় করতে চাইলে এই পোস্ট-টি সম্পূর্ণ পড়ুন। তারপর পুরোনো ল্যাপটপ ক্রয় করতে যান আমি গ্যারেন্টি দিয়ে বলছি আপনি একটি ভালো ল্যাপটপ ক্রয় করতে পারবেন, বা আপনি লাভবান হবেন।
পুরানো ল্যাপটপ কেনার গাইড
তাই চলুন দেরি না করে জেনে নেই পুরানো ল্যাপটপ কেনার সম্পূর্ণ গাইড-টি।
১. ব্র্যান্ড এবং মডেল নির্বাচন:
প্রথমেই, আমাদের একটি উচ্চ মানের চেনা জানা ব্র্যান্ড এবং মডেল কে নির্বাচন করা গুরুত্বপূর্ণ। পরিচিত ব্র্যান্ডগুলি, যেমনঃ Dell, HP, Lenovo, Acer, Asus ইত্যাদি, একেবারে আপনি দক্ষ এবং দ্রুত ল্যাপটপ সরবরাহ করতে পারে। এমন কিছু মডেল নির্বাচনের সময়ে আপনি একটি প্রস্তুতকৃত লিস্ট তৈরি করতে পারেন, যেখানে আপনি আপনার প্রয়োজনীয় সুবিধাগুলি এবং বাজেট সীমা ও কি কাজ করবেন সেটি উল্লেখ করতে পারেন।
২. পোর্টেবিলিটি এবং ব্যবহারযোগ্যতা:
আপনি কি ল্যাপটপটি বাড়িতে না বাইরে ব্যবহার করতে চান, তা দেখে নিন। যদি আপনি এটি বাড়িতে ব্যবহার করতে চান, তাদের মধ্যে একটি ভাল ব্যাটারি লাইফ এবং লাইটওয়েট বা হালকা ওজনের সাথে হালকা ডিজাইন থাকা ল্যাপটপগুলো নিতে পারেন। আপনি যদি সাধারণ ও বিশেষজ্ঞদের সাথে কাজ করার জন্য ব্যবহার করতে ল্যাপটপ নিতে চান, তবে একটি দ্রুত প্রসেসিং ক্ষমতা এবং অধিক স্টোরেজ থাকবে সেরকম একটা ল্যাপটপ নিন।
৩. প্রসেসর এবং র্যাম:
ল্যাপটপের দ্রুততা এবং সার্ভিস এর জন্য প্রসেসর এবং র্যামের গুরুত্ব অনেক। সেই কারণে দ্রুততা এবং একাধিক কাজে কার্যক্ষমতার জন্য একটি ভাল প্রসেসর, ও উচ্চ প্রসেসিং শক্তি ধারণা সহ একটি ভালো র্যাম প্রয়োজন (যেটি এখন কার সময় চলছে DDR4)।
৪. স্টোরেজ এবং গ্রাফিক্স:
আপনার কাজের জন্য বড়ো ধরণের স্টোরেজ এবং গ্রাফিক্স কার্ড নিন, কারণ এই স্টোরেজ ও গ্রাফিক্স ক্যাপ্যাবিলিটির উপর ভিত্তিকরে আপনি বিভিন্ন কাজ করতে পারবেন। কারণ ভিডিও এডিটিং এর মতো কাজের জন্য বৃহত্তর ফাইলের প্রয়জন থাকতে পারে। তাই আপনি অনেক স্টোরেজ আছে বা গেমিং বা গ্রাফিক্স-ইনটেনসিভ কাজ করতে চান তাদের জন্য আপনি এমন একটি দ্রুত গ্রাফিক্স কার্ড অথবা অনবোর্ড গ্রাফিক্স এর সাথে থাকতে পারেন এমন একটি ল্যাপটপ কে নির্বাচন করুন। আর আপনি যদি আপনার স্কুলের কাজের জন্য বা ব্লোগ্গিং এর জন্য একটা ল্যাপটপ ক্রয়করতেচান তাহেল আপনার গ্রাফিক্স কার্ড নেওয়ার প্রয়জন নেই। সেখেত্তে আপনি কম স্টোরেজ এবং গ্রাফিক্স এর ল্যাপটপ কে নির্বাচন করতে পারেন।
৫. কন্টিনজেন্সি এবং গ্যারান্টি:
ল্যাপটপ কেনার সময়ে কন্টিনজেন্সি এবং গ্যারান্টি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা আপনি মনে রাখতে হবে এবং আপনার ল্যাপটপকে নির্ভর যোগ্য হিসাবে চিহ্নত করেত পারে। তবে বেশিরভাগ ব্র্যান্ড এবং ডিলার সবসময় কিছু মাসের জন্য কন্টিনজেন্সি এবং এক বা দুই বছরের গ্যারান্টি সরবরাহ করে। এটি আপনার ল্যাপটপের জন্য সুরক্ষা ও মেন্টেনেন্স এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া আপনি যেখান থেকে ল্যাপটপ কিনবেন সেখানে যেন রিফান্ড পলেসি উপলদ্ধ থাকে, ফলে আপনি ল্যাপটপ কিনে বাড়ি আনার পর যদি কোনো সম্যসা বা অন্য কোনো ল্যাপটপ পছন্দ হয়ে থাকে তাহলে সেটি যেন নিতে পারি।
এরকম একটি পুরাতন ল্যাপটপ শপিং স্টোরে কলকাতা তে উপলদ্ধ আছে। যেখান থেকে আমি আমার টিমের কাজের জন্য ৪ টি ল্যাপটপ কিনেছি ছিলাম আজ থেকে ২ সপ্তাহ আগে এবং সেগুলি ভালোই চলছে। সেই পুরাতন ল্যাপটপ বিক্রয় দোকান বা ষ্টোর টির নাম ….।
এছাড়া আপনি পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে সেই ল্যাপটপটির সম্পর্কে ইন্টারনেট থেকে বিভিন্ন ভিডিও ও রিভিউ সাইট দেখে তার সম্পর্কে জেনে নিন। এবং সেই কোম্পানির বা সেই দোকানের কাস্টমার সার্ভিস বা সাপোর্ট পরিষেবা কেমন সেটি দর্শকদের কাছ থেকে একৃত ভাবে জেনে নিন। তারপর ল্যাপটপটি আগের পুরোনো মডেল না ল্যাপটপটি রিফারবিশ মডেল সেটি একবার দেখে নিন । তারপরে যদি সম্ভব হয়ে থাকে আপনি সেই ল্যাপটপ কোম্পানির ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে ল্যাপটপ দোকান থেকে আপনার ল্যাপটপে ইএমআই (IMEI) আইডিটি নিয়ে তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে পেস্ট করে দেখে নিন ল্যাপটপটি অরিজিনাল না কপি ভার্সন সেটি।
এছাড়া আরও বিভিন্ন উপায় আছে কিন্তু মূলত যেগুলো প্রয়োজনীয় সেগুলো আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। আশা করি এটা ভালো লেগেছে যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে এটি বেশি বেশি করে শেয়ার করে দিন। আর এরকম ধরনের আরো নতুন নতুন টিপস এন্ড ট্রিক পেতে আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলটিতে যোগদান করুন।
তবে আপনি যদি একজন ছাত্র/ছাত্রী হন। তাহলে আপনার কাজের জন্য আপনি বর্তমানে 4gb DDR4, ও ২৫৬ জিবি এসএসডি স্টোরে ও আই ফাইভ ৭ বা ৮ জেনারেশন এর প্রসেসর এর ল্যাপটপ নিতে পারেন। আর আপনি যদি একজন প্রফেশনাল হয়ে থাকেন এবং আপনার কাজের জন্য ল্যাপটপ প্রয়োজন হয়ে থাকে। তাহলে আপনি ১৬ জিবি রেম বা ১২ জিবি রেম এর আই সেভেন ১১ জেনারেশন বা টুয়েলভ জেনারেশন প্রসেসের ও ১ টিবি বা ২ টিবি হার্ডডিস্ক/স্ট্রোজেস এর ল্যাপটপ নিতে পারেন। এছাড়া ব্যাটারি ও স্কিন সাইজটা আপনার কাজের উপরে নির্ভর করে আপনি একটা ল্যাপটপ ক্রয় করতে পারেন। এটা আমার পার্সোনাল একটি রেকমেন্ডেশন বা টিপস।
সেকেন্ড হ্যান্ড ল্যাপটপ কেনার সময় কি কি চেক করবেন তার ভিডিও
পুরানো ল্যাপটপ কেনার নিয়ম কি?
পুরানো ল্যাপটপ কেনার আগে আপনাকে ওই ল্যাপটপ টিতে কত জিবি র্যাম ও স্ট্রোজেস আছে এবং ওই স্ট্রোজেস টি নরমাল না SSD সেটি দেখুন। এছাড়া আপনি প্রতিটি কীওয়ার্ড এ ক্লিক করে দেখুন কীওয়ার্ড ঠিকঠাক ভাবে কাজ করছে কি না। তারপর দেখুন ল্যাপটপ টিতে কোনো গ্রাফিক্স কার্ড আছে কি না সাথে স্ক্রিনে কোনো দাগ আছে কি না, USB পোর্ট গুলো কাজ করছে কিনা, এবং ব্যাটারি চার্জ ধরে রাখার ক্ষমতা কতক্ষন, আপনাকে যে চার্জার টি দেবে ডেটা ওই ল্যাপটপের অরজিনাল কি না, যারা একদম শেষে ল্যাপটপে যে সফ্টওয়ার টি ইনস্টল করা কাছে সেটি খুক ভাবে কাজ করছে কি না সাথে তার কোনো বিল বা ওয়ারেন্টি আছে কি না। সেগুলি জেনে তারপর সেই ল্যাপটপ টি কিনুন।
পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে করণীয়?
প্রথম ল্যাপটপ কেনার আগে আপনি দেখুন ল্যাপটপটি একবারও হাতে থেকে পড়েছিল পড়েছিল কিনা। তার ব্যাটারি চার্জ ক্ষমতা কেমন এবং ল্যাপটপটিতে কোন দাগ আছে কিনা। এবং তার কিবোর্ড গুলো ঠিকভাবে কাজ করছে কিনা। এছাড়া আরো অনেক কিছু। যেগুলো আমি উপরে বলেছি। আর সম্ভব হলে আপনি যেখান থেকে পুরনো ল্যাপটপটি কিনবেন সেখান থেকে ল্যাপটপটি ভালোভাবে চেক করে নিন, এবং দেখুন তাতে কোন অসুবিধা আছে কিনা বা তার কোন পার্স পরিবর্তন করার চেঞ্জ করা আছে কিনা সেটি দেখুন। তারপরে ল্যাপটপটি ক্রয় করুন।
পুরাতন ল্যাপটপের দাম কত?
পুরাতন ল্যাপটপ সাধারণত ৭০০০ টাকা থেকে পাওয়া যায়। তবে একটু ভালো ল্যাপটপ নিতে গেলে দশ-এগারো হাজার টাকা পড়ে যাবে। যে ল্যাপটপ গুলো একটি ছাত্র বা নতুন কম্পিউটার শেখার জন্য খুব সুন্দর বা উপযোগী হবে বলে আমি মনে করি। আর আপনি যদি প্রফেশনাল কাজের জন্য কোন ল্যাপটপ খুঁজে থাকেন তাহলে আপনি পুরনো ম্যাকবুক বা কোন হাই কনফিগারেশনের ল্যাপটপ নিতে পারেন। যেগুলোর দাম মোটামুটি ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকার উপরে আছে সেই ল্যাপটপগুলো ক্রয় করতে পারেন।
একটি ল্যাপটপ কতদিন ব্যবহার করা যায়?
আপনি যদি একটি নতুন ল্যাপটপ কিনে নিজের অল্প স্বল্প কাজে ব্যাবহার করে থাকেন তাহলে আপনি ৬-৮ বছর ব্যাবহার করতে পারবে আর যদি বেশি কাজ করে থাকেন থলে ৫-৬ বছর চলবে। তবে একটি ল্যাপটপ কতদিন ব্যবহার করা যাবে সেটি সম্পূর্ণ নির্ভর করে সেটি ব্যাবহার এর উপর। আপনি একটা আনুমানিক বল্লাম আমার অভিজ্ঞতা থেকে।
আগের দর্শকের অভিজ্ঞতা:
আমার এক বন্ধু একটি পুরাতন ল্যাপটপ কিনতে চাচ্ছিলেন এবং তার জন্য উপরোক্ত টিপস গুলি অনুসরণ করেছিলেন। সেই কারণে সে খুব সন্তুষ্ট এবং তার ক্রয় করা পুরাতন ল্যাপটপটি তার চাকরিতে অনেক সহায়ক হয়েছে বলে জানিয়েছে। সুতরাং, আপনি যদি একটি পুরানো ল্যাপটপ কিনতে চান, তাহলে উপরোক্ত পরামর্শগুলি মনে রাখতে পারেন এবং নিজের প্রয়োজনীয়তা এবং বাজেটের মধ্যে সঠিক একটি পুরাতন ল্যাপটপ কেনার সিদ্ধান্ত বা সাহায্য নিতে পারে।