৫০০০০ টাকা কোথায় ইনভেস্ট করলে আমার কোন কিছু ছাড়াই সর্বোচ্চ লাভ হবে
হ্যালো বন্ধু আপনি কি এমন কোনো উপায় খুঁজছেন। যেখানে আপনার টাকা ইনভেস্ট করে সর্বোচ্চ লাভ হবে। যদি খুজে থাকেন কিংবা একবার ইনভেস্ট করুন সারাজীবন ইনকামের উপায় খুঁজে বার করতে চান। তাহলে এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
কারণ এই আর্টিকেলের মধ্যে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। আপনি কিভাবে কোথাও পঞ্চাশ হাজার টাকা ইনভেস্ট করে কোন কিছু ছাড়াই সর্বোচ্চ লাভ করতে পারবেন সেই বিশেষ। কারণ এখানে দেওয়া এই উপায়টি ফলো করে আমার দুটি বন্ধু প্রতি মাসেই ৬০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা উপার্জন করছে।
তাই এই আর্টিকেলটি বিশেষ করে আমি আপনাদের সাহায্য বা উপকারে জন্য লিখেছি। সুতরাং আপনিও যদি আমার সেই দুটি বন্ধুর মত টাকা ইনভেস্ট করে ইনকাম করতে চান। তাহলে এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ে সেই ইনকাম করার বিষয়টি সম্পর্কে ভালোভাবে বুঝে নিন।
৫০০০০ টাকা কোথায় ইনভেস্ট করলে সর্বোচ্চ লাভ হবে
আমি জানি অনেকেই টাকা ইনভেস্ট করে টাকা ইনকাম করার চিন্তাভাবনা করে থাকে। কিন্তু ইতিমধ্যে অনেকেই হয়তো শেয়ার মার্কেট বা অন্য অন্য উপায়ে টাকা ইনভেস্ট করে। সেখান থেকে তার ইনভেস্ট করার টাকাটি তুলতে পারেনি। তাই আমি তাদের জন্য বলব অবশ্যই আপনি এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন আশা করি আপনাকে অনেক উপকার দেবে।
তাই আমরা সবার প্রথমে জেনে নেব কোথায় টাকা ইনভেস্ট করব, কিভাবে করব, এবং আপনি সেখান থেকে কিভাবে টাকা ইনকাম করতে পারবেন, সেই বিষয়ে। তারপরে আমরা সেই কাজটি শুরু করব। তাই চলুন দেরি না করে জেনে নেই সেই টিপসটি।
আমরা সকলেই জানি টাকা ইনভেস্ট করে টাকা ইনকাম করবার সবথেকে সহজ যে উপায় টি সেটি হলো শেয়ার মার্কেট। আপনি যদি এটি ভেবে থাকেন তাহলে আপনি ভুল ভাবছেন। কারণ বেশিরভাগ লোকেই শেয়ার মার্কেটে টাকা ইনভেস্ট করে তাদের টাকা গুলি হারিয়ে ফেলে বা ক্ষতি করে ফেলে।
কিন্তু আপনি হয়তো জানেন না এই শেয়ার মার্কেট ছাড়া এমনও অনেক উপায় আছে। যেখানে আপনি শেয়ার মার্কেট এর থেকে কম বুদ্ধি লাগিয়ে, সেখানে আপনার টাকা লাগিয়ে, সেখান থেকে আপনি অধিক পরিমাণ টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
তার মধ্য থেকে অন্যতম যে উপায়টি সেটি হল অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে। যে বিষয়ে আজকে আমরা এই আর্টিকেলে মাধ্যমে কথা বলব। সুতরাং আপনি যদি এফিলিয়েট মার্কেটিং শুনে এই নিবন্ধনটি পড়া বন্ধ করে দেওয়ার কথা ভেবে থাকেন। তাহলে আপনি ভুল করছেন। আপনি একবার এটি সম্পূর্ণ পড়ুন তারপর এখানে দেওয়া টিপসটি না ভালো লাগলে। কমেন্ট বক্সে আপনার যা ইচ্ছা তাই লিখে দিয়ে যাবেন।
তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
এবার কথা হল, আমাদের কাছে থাকা ৫০ হাজার টাকাটি কোথায় এবং কিভাবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ লাগিয়ে সেখান থেকে টাকাটি উপার্জন করব সেটি। এর জন্য সবার প্রথমে আমাদের একটি ভালো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং প্লাটফর্মে যোগদান করতে হবে। যেমন ক্লিক-ব্যাংক, ডিজি-স্টোর বা শেয়ার-এ-সেল প্ল্যাটফর্মটিতে যোগদান করুন।
তারপর সেখানে উপলব্ধ বিভিন্ন পণ্য গুলির মধ্য থেকে আপনার পছন্দনীয় এবং দর্শকদের প্রয়োজনীয়, সাথে এই পণ্যটি বিক্রি করলে বেশি পরিমাণে কমিশন পাওয়া যায়। এমন একটি এফিলিয়েট পণ্যকে নির্বাচন করুন।
তারপর সেই পণ্যটি নিয়ে গেট-রেসপন্স, AWeber বা ওয়ার্ডপ্রেস এর মত প্লাটফর্ম ব্যবহার করে সুন্দর একটি ল্যান্ডিং পেজ তৈরি করুন। যেন ওই লেন্ডিং পেজটি দেখে দর্শক আকর্ষিত হয়ে যায়। সাথে ওই ল্যান্ডিং পেজে বিভিন্ন জায়গায় আপনার অ্যাফিলিয়েট লিংকটি যুক্ত করে দিন। উদাহরণস্বরূপ; নিচে দেওয়া ছবিটির মত করে লেন্ডিং পেজটি তৈরি করুন।
তারপর আপনি সেই ল্যান্ডিং পেজের লিংকটি নিয়ে ফেসবুক অ্যাড বা গুগল অ্যাডস এর মাধ্যমে বিজ্ঞাপন চালাতে থাকুন। এবং সেই ল্যান্ডিং পেজটিতে আপনার দর্শকদেরকে পাঠাতে থাকুন।
ফলে আপনার ওই বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে যত পরিমান দর্শক আপনার ল্যান্ডিং পেজটিতে প্রবেশ করবে। তার মধ্য থেকে অনেকেই সেই পণ্যটি ক্রয় করার জন্য আপনার দেওয়া অ্যাফিলিয়েট লিংক বাটনে ক্লিক করে সেই পণ্যটি ক্রয় করবে। এবং আপনি তার বদলে কমিশন উপার্জন করতে থাকবেন।
উদাহরণস্বরূপ; আপনি যদি এই ল্যান্ডিং পেজ তৈরি এবং বিজ্ঞাপন চালানোর জন্য ১০০ টাকা খরচ করে থাকেন। তাহলে আপনি সেখান থেকে ১৫০-২০০ টাকা কিংবা তার অধিক ইনকাম করে নিতে পারবেন।
তবে একটা কথা মনে রাখবেন। এই পদ্ধতিতে ইনকামের জন্য আপনাকে সবার প্রথমে ওয়েবসাইট ল্যান্ডিং পেজ তৈরি এবং বিজ্ঞাপন চালানো সম্পর্কে ন্যূনতম জ্ঞান থাকা প্রয়োজন হবে। যদি না থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি এগুলোকে ইউটিউব ভিডিও দেখে শিখে নিতে পারেন। তারপরে এই কাজটি শুরু করবেন।
অন্যথায় আপনি যদি শুধু এই নিবন্ধনটি পড়ে ওই কাজটি শুরু করে দেওয়ার চিন্তাভাবনা করে দেন। তাহলে আপনার টাকাটি বেকার ব্যয় হয়ে যেতে পারে। এবং আপনি কোন টাকা লাভ বা উপার্জন নাও করতে পারেন।
সেই কারণে অবশ্যই আপনি সমস্ত জিনিস গুলো ভালোভাবে শিখে, তারপরে এই পদ্ধতিটি অবলম্বন করুন, অবশ্যই আপনি লাভবান হবেন। আরেকটি কথা মনে রাখবেন। আপনি যেন ভুল করেও সমস্ত টাকা একবারে বিজ্ঞাপন চালাতে লাগিয়ে দেবেন না। সবসময় চেষ্টা করবেন অল্প করে টাকা লাগিয়ে কিছু পরিমাণে রেজাল্ট পেলে তারপরে বেশি করে লাগানোর জন্য। তাহলে আপনি এই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ব্যবসাতে সফলতা অর্জন করতে পারবেন।
উপসংহার :
আমি আশা করি আপনার মনে থাকা প্রশ্নটির উত্তরটি সঠিকভাবে পেয়ে গিয়েছেন, বা আপনি ৫০০০০ টাকা কোথায় ইনভেস্ট করলে কোন কিছু ছাড়াই সর্বোচ্চ লাভ হবে। এই বিষয়ে ধারণা পেয়ে গিয়েছেন? যদি পেয়ে থাকেন এবং এই নিবন্ধনটি আপনাকে ন্যূনতম সাহায্য করে থাকে। তাহলে এটি বেশি বেশি করে শেয়ার করে দিন। আর এরকম ধরনের নতুন নতুন অনলাইন ইনকাম সম্পর্কে নিবন্ধন পেতে আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলটিতে যোগদান করুন সাথে এই ওয়েবসাইটটিকে সাবস্ক্রাইব করে রাখুন। আর এই বিষয়ে আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে সেটি কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিন। ধন্যবাদ।