ক্রেডিট কার্ড কি? ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের নিয়ম ও সুবিধা গুলি জানুন
আমরা সকলেই কোন না কোন এক সময় কারো কাছ থেকে ক্রেডিট কার্ড সম্পর্কে শুনে থাকি। কিংবা কেউ বলে থাকে যে আমার কাছে ক্রেডিট কার্ড আছে তোর কাছে নেই। আমি ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে টাকা উপার্জন করি। এছাড়া আরো অন্যান্য বিষয় শুনে থাকি। এখন কথা হল আসলেই ক্রেডিট কার্ড কি? ক্রেডিট কার্ড এর ব্যবহার কি ও ক্রেডিট কার্ডের উপকারিতা কি আপনি কি জানেন? যদি না জানেন যে ক্রেডিট কার্ড কি ও ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার কি? তাহলে আপনি এই নিবন্ধনটি সম্পন্ন পড়ুন আর জেনে নিন এই ক্রেডিট কার্ড সম্পর্কে সমস্ত তথ্য গুলি।
কারণ ক্রেডিট কার্ড আগামী দিনের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি জিনিস। যেটি সমস্ত মানুষের অভাবের সময় সাহায্য করে থাকে। কারণ আপনার প্রয়জনের সময় আপনার ব্যাংক একাউন্টে টাকা না থাকা সত্বেও ক্রেডিট কার্ড থেকে তৎক্ষনিক টাকা তুলতে পারবে। যে টাকাটি নিজের টাকাটি প্রয়জনের সময় আপনার বন্ধু বা পরিবারের অন্য কারোর কাছ থেকে পাননি। সেই সময় এই ক্রেডিট কার্ডটি আপনাকে সাহায্য করবে।
তাই চলুন বেশি সময় নষ্ট না করে আমার নিবন্ধনটি সম্পূর্ণ পড়ে জেনে নিই Credit Card এর সম্পূর্ণ বিষয়টি।
ক্রেডিট কার্ড কি
ক্রেডিট কার্ড হলো একটি আর্থিক সুবিধা দেওয়ার একটি এটিএম কার্ড, যা একটি ব্যক্তি যেকোনো প্রতিষ্ঠানগুলিতে ওই এটিএম কার্ডটি ব্যবহার করে অফলাইন এবং অনলাইনের মাধ্যমে কেনাকাটা করতে পারে। সেই ব্যক্তির কাছে কোনো টাকা না থাকলেও সে ওই ক্রেডিট কার্ড দিয়ে সেটি ক্রয় করতে পারবে। কারণ এটি একটি লোনের মতো বলতে পারেন বা আপনি যে টাকাটি খরচ করবর্ন সেটি আমার যে কোম্পানির ক্রেডিট কার্ড সেই টাকাটি আপনাকে পেমেন্ট করতে হবে পতি মাসে কিছু % হিসাবে একটি নির্দিষ্ট মেয়াদের মধ্যে। আপনি সময়ের মধ্যে টাকাটি না দিতে পারলে আপনেকে কিছু % অতিরিক্ত সুদ দিতে হতে পারে।
তবে এটি ব্যবহারকারীকে সহজভাবে একাধিকবার লেনদেন করার সুযোগ দেয়, এবং অধিকাংশ ক্রেডিট কার্ড কোম্পানিগুলি নিজেদের সুরক্ষার জন্য একটি বিভিন্ন স্তরে ক্রেডিট কার্ড গুলি সরবরাহ করে। ফলে ব্যবহারকারীরা ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে অত্যাধুনিক মেশিন রিডিং সিস্টেম এবং ওয়েভ এউথেন্টিকেশন পদ্ধতির মাধ্যমে তাদের লেনদেনকে সুরক্ষিত রাখে।
ক্রেডিট কার্ড কত প্রকার
ক্রেডিট কার্ড সাধারণত বিভিন্ন প্রকারে পাওয়া যায়, এটি আপনার প্রয়জোনীয়তার এবং ব্যক্তিগত পছন্দের উপর নির্ভর করে। তবে কিছু ক্রেডিট কার্ড এর ধরণ বা উদহারণ আমি নিচে আপনার সাথে শেয়ার করেছি। যেমন ;
১. স্ট্যান্ডার্ড ক্রেডিট কার্ড: এটি সাধারণ একটি ক্রেডিট কার্ড, যেটিতে একটি নির্দিষ্ট পরিমান ক্রেডিট লাইন দিয়ে থাকে এবং ব্যবহারকারী এটি নিজের অভাবের সময় এটিতে কাজে লাগিয়ে মূল অর্থে পরিশোধ করতে পারেন। এটি প্রায়ই সর্বাধিক প্রচলিত এবং সাধারণভাবে ব্যবহৃত হয়।
২. রিওয়ার্ডস কার্ড: এই প্রকারের ক্রেডিট কার্ডে ব্যবহারকারীকে বিভিন্ন কেনাকাটার উপর উপার্জন করতে পারে এটি এবং এটিতে একটি স্পেসিফিক খরচের জন্য বোনাস, ক্যাশব্যাক, পয়েন্টস, বা অন্যান্য রিওয়ার্ডস প্রদান করে।
৩. জয়েন্ট ক্রেডিট কার্ড: এটি দুইটি বা তার বেশি ব্যক্তি ব্যাবহার করার ক্রেডিট কার্ড। এটি ব্যবহারে অনেক সুবিধা প্রদান করে, এটি সাধারণভাবে পরিবারের সদস্যদের একত্রিত করে অনুষ্ঠিত করা হয়।
৪. সেকিউরড ক্রেডিট কার্ড: এই প্রকারের কার্ডে ব্যবহারকারীকে সম্পূর্ণ নিরাপদ প্রদান করে থাকেন কিন্তু এই কার্ড গুলিয়ে মাসিক বা বার্ষিক কিছু টাকা ফি প্রদান করতে হয়, যেটি তার ক্রেডিট লাইনের মাধ্যমে জমা করে দেওয়া হয়।
৫. পার্সোনাল ক্রেডিট লাইন: এই প্রকারের ক্রেডিট কার্ড যেকোনো বিশেষ এক ব্যক্তিকে কিছু ক্রেডিট লাইন বিনিময়ে সুবিধা প্রদান করা হয়, এবং সাধারণভাবে সেটি বিশেষজ্ঞ পক্ষ দ্বারা প্রদান করা হয়।
ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা
ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের করার অনেক সুবিধা আছে কিন্তু আপনার সাথে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সুবিধাগুলি আপনার সাথে তুলে ধরেছি। যেমন ;
বিশেষ ক্রয়ের সুবিধা: মনে আপনি ক্রেডিট কার্ড দিয়ে বিশেষ আইটেমে বা পণ্য গুলি ক্রয় করার সুবিধা পেতে পারে, সাথে বোনাস, ক্যাশব্যাক, পয়েন্টস, এবং অন্যান্য রিওয়ার্ডস গুলি পেতে পারেন। যেটি ব্যাবহার করে আপনি পরবর্তী ক্রয়ে টাকা বাঁচাতে পারেন। টাকা বাঁচানোর কথা বলতে গিয়ে একটি কথা মনে পরে গেলো সেটি হলো আপনি যদি অনলাইন কেনাকাটায় টাকা বাঁচাতে চান তাহলে Couponmolla.com ওয়েবসাইট প্রবেশ করে সেই শপিং স্টোরের ডিসকাউন্ট কুপন কোড টি কপি করে ব্যাবহার করতে পারেন।
অসীম/আনলিমিটেড খরচের সুবিধা: ক্রেডিট কার্ড দিয়ে ক্রয় করলে আপনি যে আবশ্যক মেয়াদে থাকা পর্যন্ত আনলিমিটেড খরচ করতে পারবেন। এটি আপনার জীবনের বিভিন্ন অধ্যায়ে ব্যবহার করতে সুবিধা প্রদান করতে সহায়ক হতে পারে।
তৎক্ষণিক লোনের সুবিধা: ক্রেডিট কার্ডের বিশেষ আবশ্যকতা থাকলে, আপনি তার মাধ্যমে তৎক্ষণিক লোন নিতে পারবেন। এবং সেএটি আপনাকে ক্রেডিট কার্ড মেয়াদের মধ্যে পরিশোধ করার সুযোগ দেয় এবং লোন সময়ে সাহায্য করতে পারে।
সুরক্ষিত লেনদেন: ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করার সময়ে আপনি অধিক সুরক্ষিত থাকতে পারেন। এটি অনলাইন ক্রয়ের সময়ে আপনি বৈধ পরিচয় প্রদান করা হয়, যা আপনাকে বিভিন্ন ধরণের প্রতারণা থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে।
ক্রেডিট রেট উন্নত করতে: ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে প্রতিদিনের লেনদেনের মাধ্যমে আপনি আপনার ক্রেডিট রেট উন্নত করতে পারেন। সাথে সেটি দিয়ে আপনার মূল অর্থে সাহায্য করতে পারে এবং আপনি সেটি ভবিষ্যতের জন্য আরো বৃদ্ধি করতে পারেন।
ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের নিয়ম
ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করার জন্য কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম আছে। যে নিয়ম গুলো মানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অন্যথায় আপনার ক্রেডিট কার্ড যখন তখন বন্ধ হয়ে যেতে পারে বা বন্ধ করে দিতে পারে। তাই এখনই জেনে নিন কেডিট কার্ড ব্যবহার করার গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম কি কি।
- আপনার ক্রেডিট কার্ড টি কম ব্যবহার করুন বা শুধুমাত্র জরুরী, দরকারি জিনিসপত্র কেনাকাটায় ব্যবহার করার চেষ্টা করুন।
- সময়মত আপনার ক্রেডিট বিলটি পরিশোধ করুন বা মিটিয়ে দিন (এর জন্য আপনি অটোপে এনাবেল করে রাখতে পারেন ফলে আপনার ডিউ ডেট আসার আগেই আপনার পেমেন্টটি হয়ে যাবে। এবং আপনার কোন ক্রেডিট নষ্ট হবে না)।
- আপনার যে মিনিমাম ফ্রি পরিশোধ করার কথা তার থেকে বেশি পরিশোধ করুন।
- এটিএম থেকে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে টাকা তোলা বন্ধ করুন কারণ এটিএম থেকে টাকা তুললে তার জন্য অতিরিক্ত চার্জ নেওয়া হয়ে থাকে।
- আপনার ক্রেডিট কার্ডের joining free ও প্রতিবছরের রেনুয়াল ফি কত সেটা বিষয়ে ভালোভাবে যেন নিন।
এছাড়া আপনি আপনার মাসিক লেনদেনের টাকাটি নগদ করুন বা আপনি খরচা করুন। তবে সেটি একটি সীমা ধরে করুন এবং নিচে একটি রিসিভ তৈরি করুন। এবং সেই খরচ করা টাকাটি আপনার যে মাসিক লোন হিসেবে পরিশোধ করতে হয় সেটাকে সময়মতো পরিশোধ করুন। এছাড়া প্রতিনিয়ত বা প্রতিদিন অনলাইন বা অফলাইন স্টোর থেকে কেনাকাটা করতে সেটিকে ব্যবহার করুন। আর ফ্রি রিওয়ার্ড পয়েন্ট গুলোকে ও ক্যাশব্যাক গুলোকে একত্রিত করে জমা করতে থাকুন।
ক্ৰেডিট কার্ড দিয়ে নিয়ম মত আপনার বিল পরিশোধ করে আপনার ক্রেডিট রিপোর্ট এবং স্কোর গুলি বাড়াতে থাকুন পরবর্তী সময়ের জন্য। এবং আপনার ক্রেডিট কার্ড চুরি বা হারানো থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখুন। আর ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে আপনার প্রয়োজন মেটান।
ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা
ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা সবারই আছে। কিন্তু তার মধ্যে কিছু প্রয়োজনীয়তা আছে। যেগুলো আমাদেরকে জানা দরকার। যেমন; প্রথমত আপনার ক্রেডিট কার্ড এপ্লাই করার জন্য আপনার একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, আপনার প্যান কার্ড, আধার কার্ড, ও ভোটার কার্ডের প্রয়োজন হতে পারে। সাথে আপনি যদি ব্যবসা বা চাকরি যাই করে থাকেন না কেন। আপনাকে মাসিক কুড়ি থেকে পঁচিশ হাজার টাকার উপরে ইনকাম দেখাতে হবে।
এছাড়া আপনার ব্যাংকের ক্রেডিট স্কোর বা রেকর্ড কেমন সেটিও দেখাতে হবে। তারপরে একটি ক্রেডিট কার্ড পাওয়া যাবে। তবে যদি এই সমস্ত কিছুই আপনার কাছে থেকে থাকে এবং আপনার ব্যাংকের ক্রেডিট স্কোর ভালো থেকে থাকে। তাহলে অবশ্যই আপনি ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছেন। আপনি এখুনি এখানে ক্লিক করে জেনে নিন ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন কিভাবে করে।
ক্রেডিট কার্ডের সুদের হার
ক্রেডিট কার্ডের সুদের হার সেই ব্যবহারকারীর ক্রেডিট ব্যালেন্সের উপর ভিত্তি করে ক্যালকুলেট হয় এবং সেটি আপনার অপরিশোধিত ব্যালেন্সের উপর ভিত্তি করে সুদের হার হিসেব করা হয়। উদহারণ ; এসবিআই প্রাইম ও এলিট কার্ডের জন্য ৩.৩৫৫ পতি মাসে এবং ৪০.২% বার্ষিক। এইচডিএফসি ব্যাঙ্করেগালিয়া ক্রেডিট কার্ড ও রেগালিয়া প্রথম ক্রেডিট কার্ড ৩.৪৯% প্রতিমাসে এবং ৪১.৮৮% পতি বছরে। এইচএসবিসি ভিসা প্লাটিনাম ক্রেডিট কার্ড ৩.৩% পতি মাসে এবং ৩৯.৬ পতি বছরে। আমেরিকান এক্সপ্রেস সদস্যপদপুরস্কার ও ক্রেডিট কার্ড ৩.৫% পতি মাসে এবং ৪২% পতি বছরে। আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক প্লাটিনাম চিপ ক্রেডিট কার্ড ৩.৪০% পতি মাসে এবং ৪০.৮% পতি বছরে হিসাবে ধরা হয়।
ক্রেডিট কার্ডের বাৎসরিক চার্জ
এটি সম্পূর্ণ সঠিক বলা অসম্ভব ব্যাপার। কারণ বর্তমান বাজারে বিভিন্ন ধরনের ক্রেডিট কার্ড উপলব্ধ আছে। এবং প্রতিটি ক্রেডিট কার্ডের জন্য আলাদা আলাদা বাৎসরিক চার্জ নির্ধারিত করা হয়। তবে কিছু কিছু ক্রেডিট কার্ড আছে যেগুলোতে বা কোন বাৎসরিক চার্জ নেই এবং অল্প ক্যাশ ব্যাক পাওয়া যায়। কিন্তু নরমাল যে ক্রেডিট কার্ডগুলো ব্যবহার হয়ে থাকে। সেগুলোর বাৎসরিক চার্জ ৫০০ টাকা থেকে শুরু হয়ে থাকে, এবং সেটি ৩৫০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। কিন্তু সেই ক্রেডিট কার্ডগুলোতে বেশি ক্যাশব্যাক ও রেওয়ার্ড পয়েন্ট পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
ক্রেডিট কার্ড থেকে টাকা তোলা
ক্রেডিট কার্ড থেকে টাকা তোলা খুব সহজ একটি ব্যাপার। ক্রেডিট কার্ড থেকে টাকা তুলতে সবার প্রথমে আপনি একটি এটিএম এর প্রবেশ করুন। তারপর সেই এটিএম মেশিনে আপনার কার্ডটি ঢোকান এবং সেখান থেকে উইথড্রল অপশনটি নির্বাচন করে আপনি কত টাকা তুলতে চান সেটি নির্বাচন করুন। তারপর আপনার পিনকোড-টি লিখুন এবং মেশিনে থাকা এন্টার বাটনে ক্লিক করুন। তারপর এটিএম থেকে আপনার নগদ ক্যাশ টাকাটি সংগ্রহ করে নিন। টাকাটি সংগ্রহ হয়ে গেলে এটিএম মেশিনা “Close/Cancel ” বাটনে ক্লিকে করে আপনার কার্ডটি বার করে নিন।
শেষ কথা:
ক্রেডিট কার্ড কি বা ক্রেডিট কার্ড থেকে কিভাবে টাকা তোলা যায় এবং ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার কি? এই সম্পর্কে আশা করি আপনাকে আমি সম্পূর্ণ ধারণা দিতে পেরেছি। যদি পেরে থাকি তাহলে অবশ্যই এটি বেশি করে শেয়ার করে দিন। আর এটি ভালো লাগলে বা এরকম ধরনের আরো নতুন নতুন তথ্য সম্পর্কে জানতে আমাদের টেলিগ্রামের চ্যানেলটিতে যোগদান করুন। সাথে এই ব্লগটিকে সাবস্ক্রাইব করে রাখুন। আর আপনার যদি ক্রেডিট কার্ড সম্পর্কে কোন প্রশ্ন থাকে বা কোন কিছু আপডেট করার প্রয়োজন হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই সেটি কমেন্ট বক্সে জানান আমরা খুব শিগগিরই আপনার প্রশ্নের উত্তর দেবো বা সেটি আপডেট করব। কারণ এই নিবন্ধনটি আমাদের নতুন লেখক লিখেছে কেমন হয়েছে সেটিও কমেন্ট বক্সে আমাদের জানান।