একটি ইমেইলে ২ টি বা তার বেশি ইউটিউব চ্যানেল কিভাবে খুলবো
আমরা সকলেই জানি একটি Gmail ব্যবহার করে একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে থাকি। এবং সেখানে নিয়মিত ভিডিও আপলোড করে। সেই ইউটিউব চ্যানেলটির মাধ্যমে অনলাইনে ইনকাম করতে পারি। কিন্তু অনেকের মনে একটা প্রশ্ন জাগে। সেটা হল আমরা কিভাবে একটি জিমেইল ব্যবহার করে ২-টি বা তথাধিক ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করতে পারি বা বিভিন্ন ভাষাতে ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করতে পারি সেই বিষয়ে।
তো আপনারও যদি একটি ইউটিউব চ্যানেল থাকে এবং সেই ইউটিউব চ্যানেলটিতে ঠিকঠাক ভাবে সফলতা না পেয়ে থাকেন বা অন্য কোন ক্যাটাগরিতে একটি নতুন ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করতে চান ওই একই জিমেইল একাউন্টটিতে। তাহলে এই নিবন্ধনটি সম্পূর্ণ পড়ুন। কারণ আমি এই নিবন্ধন এর মাধ্যমে আপনার সাথে শেয়ার করেছি। আপনি কিভাবে সহজে একটি জিমেইল একাউন্টের মাধ্যমে দুই বা তার বেশি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করতে পারবেন তার সম্বন্ধে।
যেটি সম্পূর্ণ পড়ার পরে আপনি খুব সহজেই একটি Gmail একাউন্টে ২ বা একাধিক ইউটুবে চ্যানেল তৈরি করতে পারবেন।
একটি ইমেইলে ২টির বেশি ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম
একটি জিমেইলে ২টি বা তার বেশি ইউটিউব চ্যানেল খোলার জন্য। সবার প্রথমে আপনি একটি নতুন ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করুন। যদি ইতিমধ্য আপনার একটি ইউটিউব চ্যানেল থেকে থাকে। তাহলে আপনি সেই চ্যানেলটিকে আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে গুগল ক্রোম ব্রাউজারে মাধ্যমে খুলুন। বা ডাইরেক্ট আপনার ইউটিউব স্টুডিও ড্যাশবোর্ডে প্রবেশ করুন।
তারপর এখানে দেওয়া লিংকে ক্লিক করে আপনার ইউটিউব সেটিং এর মধ্যে “একাউন্ট” অপশন এ প্রবেশ করুন। তারপর সেখানে দেওয়া “ইওর YouTube চ্যানেল” অপশন এর মধ্য থেকে “অ্যাড ওর ম্যানেজার ইউটিউব চ্যানেল” অপশনটিতে ক্লিক করুন।
পরবর্তী পেজে আপনি আপনার বর্তমান চ্যানেলটি দেখতে পাবেন। সাথে যোগ আইকন দিয়ে “ক্রিয়েট এ চ্যানেল” বাটন দেখতে পাবেন আপনি সেটিতে ক্লিক করুন।
আপনি “ক্রিয়েট এ চ্যানেল” বাটনটিতে ক্লিক করলে। আপনাকে পরবর্তী পেজে নিয়ে যাবে। সেখানে আপনি একটি ফাঁকা বক্স দেখতে পাবেন। সেখানে আপনি আপনার চ্যানেলটির যে নামটি রাখতে চান সেই নামটি লিখে “আই আন্ডারস্ট্যান্ড” বক্সটিতে ক্লিক করে ঠিকচিহ্ন করে দিন। তারপরে নিচে দেওয়া “ক্রিয়েট” বাটনটিতে ক্লিক করুন।
আপনি আপনার চ্যানেল নামটি লিখে “ক্রিয়েট” বাটনে ক্লিক করলে আপনার চ্যানেলটি তৈরি হয়ে যাবে। এবং আপনাকে আপনার চ্যানেলের ড্যাশবোর্ডে নিয়ে যাবে। সেখানে আপনি “Customize channel” অপশনটিতে ক্লিক করে আপনার নতুন ইউটিউব চ্যানেলের ষ্টুডিও ড্যাশবোর্ডে প্রবেশ করুন।
তারপর আপনি যখন আপনার নতুন ইউটিউব চ্যানেলের স্টুডিও ড্যাশবোর্ডে প্রবেশ করবেন। তখন আপনাকে একটি “ওয়েলকাম টু স্টুডিও” মেসেজ দেখাবে সেখানে দেওয়া “কন্টিনিউ” বাটনে ক্লিক করুন। তারপর আপনি আপনার চ্যানেল কাস্টমার অপশন এর মধ্যে গিয়ে আপনি আপনার চ্যানেলের সম্পর্কে কিছু তথ্য ও চ্যানেলের লোগো আপলোড করে চ্যানেলটিকে সুন্দর ও একটি প্রফেশনাল YouTube চ্যানেলের মত তৈরি করুন।
তারপর সেখানে নিয়মিত ভিডিও আপলোড দিয়ে সেই ভিডিওতে গুগল এড, স্পন্সার সিপ, ও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে ইনকাম করতে থাকুন।
একটি জিমেইলে ২ বা তার বেশি YouTube চ্যানেল তৈরি করলে কি কোনো অসুবিধা আছে?
না, একটি জিমেইলে আপনি ২টি বা তার বেশি ইউটিউব চ্যানেল করলে কোন অসুবিধা হবে না। তবে একটি অসুবিধে হতে পারে। সেটি হল যদি কোন ক্ষেত্রে আপনার ওই জিমেইল অ্যাকাউন্টটি তে থাকা এডসেন্স একাউন্ট-টি বন্ধ হয়ে যায়। তাহলে আপনি ওই জিমেইলটিতে থাকা কোন ইউটিউব চ্যানেল থেকে গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন না।
একটি ইমেইলে ২টির বেশি YouTube চ্যানেল খুললে উপকার কি?
আমার অভিজ্ঞতা অনুযায়ী একটি ইমেইলে দুটির বেশি YouTube চ্যানেল খুললে আপনাকে যে উপকারটি হবে। সেটা হল আপনার যে ইউটিউব চ্যানেলটিতে সব থেকে বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠবে। সেই ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিওগুলো ডাউনলোড করে। ভিডিও ভাষা পরিবর্তন করবার সফটওয়্যার এর মাধ্যমে আপনার তৈরী করা ভিডিও গুলি বিভিন্ন ভাষায় তৈরি করে। সেই ভাষাতে একটি করে YouTube চ্যানেল তৈরি করুন। এবং সেখানে আপলোড করতে থাকুন। ফলে একটি ভিডিও বানিয়ে বিভিন্ন উপায়ে ইনকাম করতে পারবেন।
উপসংহার :
আমি আশা করি আপনি সঠিকভাবে বুঝতে পেরেছেন। কিভাবে একটি জিমেইলে ২ টি বা তার বেশি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করা যায় সেই সমস্ত বিষয়ে। যদি এটি বুঝতে পেরে থাকেন এবং এটি আপনাকে নতুন ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করতে সাহায্য করে থাকে। তাহলে অবশ্যই নিবন্ধনটি বেশি বেশি করে শেয়ার করে দিন। আর এরকম ধরনের আরো নতুন নতুন ইউটিউব টিপস ও অনলাইন ইনকামের বিষয়ে জানতে, আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলটিতে যোগদান করুন। সাথে এই ব্লগ ওয়েবসাইটটিকে সাবস্ক্রাইব করে রাখুন। আর YouTube চ্যানেলে প্রথম ১০০০ সাবস্ক্রাইবার কিভাবে পাবেন এটি জানবার জন্য এখানে ক্লিক করুন।