সেরা তিনটি সুপার বেনিফিটস ব্যবসার আইডিয়া অল্প টাকায়
নতুন ব্যবসার আইডিয়া! করোনার পরবর্তী সময়ে পৃথিবীতে যে অবস্থা, দ্রব্যমূল্যের বা জিনিসপত্রের দাম দিন দিন যেভাবে বাড়ছে আমার মনে হয় না, আগামী দুই থেকে তিন বছর পর চাকরি করে আর সংসার চালানো সম্ভব হবে।
একদিকে কাপড়চোপড়ে চাহিদা অন্যদিকে জিনিসপত্র বা দ্রব্যমূলের এত দাম সাথে চিকিৎসার খরচ, শিক্ষার খরচ, ও পারিবারিক খরচ সবকিছু মিলিয়ে আগামী দুই থেকে তিন বছর পর ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার চাকরি দিয়ে এসব চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে না সুতরাং আমাদের চাকরি পাশাপাশি কোন একটা কাজ করতে হবে বা নিজেকে উদ্যোক্তা বা ব্যবসায়ী হতে হবে।
এখন কথা হল আমাদের মধ্যে অনেকেই ব্যবসা করতে চায় কিন্তু কি ব্যবসা করবো, কিভাবে শুরু করবো, কি ব্যবসা করবো, ব্যবসা করতে কত টাকা লাগবে? ব্যবসার টাকা কোথা থেকে জোগাড় করবো এসব প্রশ্ন মাথায় ঘুরপাক খেতে থাকে এবং এই প্রশ্নের বেড়াজালে পড়ে আমাদের ব্যবসা আর শুরু করা হয় না।
২০২৩-এ রিচার্জ এর মধ্যে জানা গেছে ১০০ জনের মধ্যে ৯০ জনে এই ব্যবসা শুরু করার আগেই এই প্রশ্ন ভেবে জায়গা থেকে পিছিয়ে পড়ে।
তাই এই আর্টিকেলের মাদ্ধমে আপনার সাথে এমন তিনটি সুপার বেনিফিটস ব্যবসার আইডিয়া দেব যেগুলি জানার পর আপনার মাথা থেকে এই সব প্রশ্ন গুলো দূর হয়ে যাবে।
তো চলুন দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক সুপার বেনিফিটস ব্যবসার আইডিয়া গুলি :
সুপার ব্যবসার আইডিয়া
আপনি যদি উদ্যোক্ত হবেন বা ব্যবসা করবেন বলে ভাবন তাহলে আপনি এখানে দেওয়া সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে। আপনি এই তিনটি ব্যবসা ছোট থেকে শুরু করে বড় করতে পারবেন। মাত্র ১০ হাজার টাকা দিয়ে এই ব্যবসা গুলো শুরু করা যাবে।
তবে এই ব্যবসা গুলোর বিশেষত্ব হচ্ছে এগুলোর চাহিদা কোনদিন কমবে না। যতই দিন যাবে এগুলোর চাহিদা বাড়তে থাকবে আগামী ১০০ থেকে ২০০ বছর এগুলো চাহিদা কমবে না।
১. ভেড়া বা গাড়লের ব্যবসা
মুরগি বা গাড়লের ব্যবসা সম্পর্কে বলার আগে একটা ইনফরমেশন দিই, ব্যবসা করার জন্য আপনাকে মোটামুটি ভাবে কিছু কিছু ব্যবসার ইতিহাস জানতে হবে।
তখনকার সময় বাজার ছিল জমজমাট বেড়াচাঁপা বাজারেই মোটামুটি ভাবে দেশি মুরগি পাওয়া যেত, এবং তখনকার সব বাজারেই মোটামুটি ভাবে দেশি মুরগি পাওয়া যেত, এবং তখনকার সময়ে দামও ছিল হাতের নাগালে।
এছাড়া তখনকার সময়ে সবাই মোটামুটি ভাবে দুটো চারটি দেশি মুরগি লালন পালন করতো যার ফলে চাহিদার তুলনায় দেশে মুরগী ছিল পর্যাপ্ত। 1980 সালে যখন বিস্তার লাভ শুরু করে তখন মানুষ গ্রাম থেকে শহরে আসতে থাকে এবং শহরে বসবাস শুরু করে।
শহরে এসে মানুষ কর্মব্যস্ততার কারণে আর মুরগি লালন পালন করতে চায়না কিন্তু শহরের জনসংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পেতে থাকে আবার অন্যদিকে ভারত দেশের কিছু বছরের ব্যবধানে জনসংখ্যা হয়ে যায় দ্বিগুণ। এতে মানুষের মাংসের চাহিদা ও বৃদ্ধি পায় তখন শুধুমাত্র দেশি মুরগি দিয়ে মানুষের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হচ্ছিল না।
দেশি মুরগির চাহিদা বাড়ার কারণে দামও বৃদ্ধি পায় তখন দেশি মুরগির পাশাপাশি বিদেশ থেকে বয়লার মুরগী আসতে থাকে কিন্তু তখন বয়লার মুরগির চাহিদা ছিল কম এবং মানুষ বয়লার মুরগি খেতে চাইত না। কিন্তু এক পর্যায়ে গিয়ে দেখা যায় বাজার আর দেশি মুরগি পাওয়া যাচ্ছে না, যা পাওয়া যাচ্ছে তার দামও অনেক বেশি।
অন্যদিকে বয়লার মুরগির সরবরাহ ছিল মোটামুটি ভাবে ভালো এবং বাজারের সব সময় বয়লার মুরগি পাওয়া যেত এবং দামেও ছিল কম। যার ফলে ধীরে ধীরে মানুষ বয়লার মুরগি খেতে অভ্যস্ত হতে থাকে এবং রেস্টুরেন্টগুলোতেও বয়লার মুরগির চাহিদা বাড়তে থাকে দুই বছর দশ বছরে ব্যবধানে ২০১০ সালের দিকে পুরোপুরিভাবে দেশি মুরগির স্থান দখল করে নেয় এই বয়লার মুরগির।
এবং মানুষের মাংসের পুষ্টি চাহিদা 70% সরবরাহ করে বয়লার মুরগি এখন বর্তমানে আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে গরু এবং ছাগলের চেয়ে উৎপাদন ব্যবস্থা সেখানে দিন দিন খরচ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ছাগল এবং গরুর মাংসের দাম হচ্ছে আকাশ ছোঁওয়া গত পাঁচ বছরে ছাগল এবং গরুর দাম বেড়েছে অর্ধেকেরও বেশি যার ফলে ধারণা করা হচ্ছে ভবিষ্যতে গরু, ছাগলের যে মাংসের চাহিদা রয়েছে সেই মাংসের চাহিদার স্থান দখল করে নেবে গাড়ল নামক এক প্রজাতির ভেড়া। যেমন ভাবে দেশী মুরগীর স্থান দখল করে নিয়েছে বয়লার মুরগি।
এখন কথা গাড়লটা কি?
গাড়ল হচ্ছে রাজশাহী অঞ্চলের একটি বেড়ার জাত দেখতে ভেড়ার মতো কিন্তু এগুলো আকারে কিছুটা বড়। এগুলা আসলে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নাগপুর অঞ্চলের ছোটনাগপুর জাতের ভেড়ার সঙ্গে দেশি ভেড়ার ক্রস বিট। এই ক্রস বিট এর নামকরণ করা হয়, কারণ আপনি ৫০ টি গাড়লের মাধ্যমে বছরের নয় লক্ষ টাকা আয় করতে পারবেন।
গাড়ল পালনের লস এর পরিমাণ প্রায় শূন্যের কাছে এবং এই গাড়ল পালনের খরচের সংখ্যা বা মূল্য গরু এবং ছাগলের থেকেও তিনগুণ কম। এদের পরিচর্যাও কম করতে হয়। রোগবালায়ও তেমন হয় না এবং এর মাংসের চাহিদা অনেক বেশি। আপনি চাইলে এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
তো চলুন জেনে নেয় যিনি এই গাড়লের ব্যাবসায় সফল লাভ করেছেন > তিনি বলছেন আমি মানুষের চাহিদা পূরণ করতে পারি না। যেমন আমার মাংসের প্রচুর চাহিদা আছে আমি তত পরিমান মানুষকে আমি মাংস দিতে পারি না, এবং এর মাংসের চাহিদা ভালো।
এছাড়া গাড়ল পালন করে আল্লাহ আমাকে অনেক সম্মানিত করছে। আমার জীবনের দশবার জন্ম হলোও হয়তো আমি এত সম্মানিত হতে পারতাম না যা আমি তিন বছরের মধ্যে করেছি। আমি আল্লাহর কাছে কোটি কোটি শুকরিয়া ও আমি বলবো যে আল্লাহ আমাকে শতভাগ সফল করছে এবং এর একদম খাদ্য খরচ খুবই কম এবং কোন ঝামেলা নাই। এর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুব ভালো জন্য খাওয়া সম্ভব।
আপনি একটা অথবা দুইটা গাড়ল কিনে শুরু করতে পারেন ভবিষ্যতের সফল হতে পারবেন। তবে এটা নিশ্চিত অন্যান্য ব্যবসা গুলোর মধ্যে লস হওয়ার সম্ভাবনা একটু বেশি থাকে সেই তুলনায় গাড়লের খামারে লস হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম। তো আপনি যদি গাড়ল নিয়ে ব্যবসা বা উদ্যোক্ত হওয়ার কথা ভাবেন তাহলে আপনি ছোট থেকে শুরু করতে পারেন। এছাড়া গারল কোথায় পাবেন কত সেই বিষয়ে জানতে এখানে দেওয়া নাম্বারে ফোন করতে পারেন। (শিগ্গিরী আপডেট করা হবে)
২. মডিফাই ব্যবসা :
দ্বিতীয় সুপার আইডিয়াটি হচ্ছে মডিফাই করুন অন্য ব্যবসাকে “মডিফাই দার ব্যবসা” বিষয়টা বোঝার আগে আপনাকে নিচ দেওয়া ছবিটি দেখুন।
ছবিটি দেখে আপনার কি মনে হস্ছে? আপনার মনে হতে পারে যে এখানে হয়তো ফ্রিতে কোন কিছু দেওয়া হচ্ছে কিন্তু না। এটা একটা চায়ের দোকানের সামনের অংশ। এখানে মানুষের এই উপচে পড়া ভিড় কিন্তু সাধারণত চায়ের দোকানে এতো ভিড় দেখা যায় না তাহলে এখানে এত ভিড় কেন এর কারণ হচ্ছে।
যিনি এই চা এর দোকানের মালিক তিনি প্রচলিত চায়ের আইডিয়া থেকে বের হয়ে ভিন্ন কিছু চা বানানোর চেষ্টা করছেন আর তাঁর এই চায়ের স্বাদ নেওয়ার জন্যই মানুষের এত ভিড়।
তবে আমি আপনাকে চায়ের ব্যবসার কথা বলছি না। আবার করলেও মন্দ হয় না। কারণ উনি চায়ের ব্যবসা করে মাসে ১ থেকে ৩ লক্ষ টাকা ইনকাম করছেন। তবে আপনি লিগার চা বা দুধ চা বানিয়ে করতে পারবেন না। আপনাকে ইউনিক কিছু আইডিয়া বের করতে হবে চা বিক্রি করার জন্য, মানে প্রচলিত যে চায়ের ব্যবসা আছে সেটাকে মডিফাই করে নতুন আইডিয়াতে সাজাতে হবে।
সেটা কিভাবে সেটা হচ্ছে জানার জন্য আপনি রাজারহাট, খড়িবাড়িয়াতে দুই ভাই আশিক ও মাসুদের চায়ের দোকান করেন তিনি দুই ভাই আশিক ও মাসুদের চায়ের দোকানে যেতে পারেন।
তাদের দোকানের চায়ের প্রতি আগ্রহ সবার কারণ, তার দেশ-বিদেশের থেকে নানা রেসিপি জোগাড় করেন এবং বিভিন্ন ধরণের চা তৈরী করেন যেমন তাদের এখন চায়ের সংখ্যা বা চায়ের ধরণ দাঁড়িয়েছে ২১০ প্রকারে।
তার কাছে আছে অভিজ্ঞতা আর এই অভিজ্ঞতার মাধ্যমে এগুলা কানেকশন করছে প্রতিদিন তার চায়ের পাহাড়ি স্বাদ নিতে হাজির হন শত শত মানুষ। তবে অনেক শিক্ষিত ভাই এখানে হাসাহাসি করতে পারে কিন্তু আপনি ভেবে দেখুন চা বিক্রি করার বিষয়টাকে মডিফাই করতে পারেন এবং চা বিক্রি করার বিষয়টি যদি প্রফেশনাল প্রফেশনাল ভাব আনতে পারেন তাহলে টাকা ইনকাম এবং সম্মান দুটোই পাবেন।
আমি আপনাকে চা বিক্রি করার জন্য বলছি না আপনি প্রচলিত যে কোন ব্যবসাকে মডিফাই করে প্রফেশনাল ভাবে তুলে ধরার চেষ্টা চেষ্টা করুন আপনি সফল হতে পারবে। যেমন আমাদের সামনে উদহারণ ভারতের MBA chaiwala তিনিও কিন্তু ছোট একটা চা ঠেলা থেকে শুরু করে নিজেকে ব্র্যান্ড বানিয়েছে।
আপনি চাইলে ঝালমুড়ি বিক্রির বিষয়টাকে মডিফাই করে বিভিন্ন ধরনের ঝালমুড়ি বিক্রি করতে পারেন, গরুর মুরগির মাংস, ব্যবহার করে ঝালমুড়ির সাধের মাত্রা বৃদ্ধি করে। আইসক্রিম এর নানা ধরনের প্রচুর চাহিদা সমৃদ্ধ খাদ্যগুলো নিয়ে আপনি ব্যবসা করতে পারেন সে ক্ষেত্রে আপনাকে এগুলো মডিফাই করতে হবে এবং নতুন ইউনিক কিছু আইডিয়া বের করে সেগুলো ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি উদ্যোক্ত হয়ে আপনার নতুন ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
৩. অ্যাভোকাডো ব্যবসা বা চাষ
যাই হোক আমাদের তৃতীয় সুপার আইডিয়াটা হচ্ছে অ্যাভোকাডো চাষ করা শুরু করা। ভারতে এডভোকেডো চাষের তেমন বিস্তার লাভ করেনি বলে আমার ধারণা করা হয়। কিন্তু দূর ভবিষ্যতে এভোকাডো ফলের বাজার একটি বড় অংশ দখল করে নেবে একদিকে।
যেমন : ভারতদেশ এর প্রচুর চাহিদা তৈরি হচ্ছে অন্যদিকে বিদেশেও রপ্তানি করে ভালো টাকা আয় করা যাবে, কারণ বাইরের দেশগুলোতে অ্যাভোকাডো চাহিদা রয়েছে।
একজন সফল ব্যক্তি অ্যাভোকাডো চাষের পর্যায়ে এত সাড়া পাইছে যে তার বাগানের ফলন যদি এসে এর থেকে ১০ গুণ বেশি হত তাহলেও হওয়ার আমি চাহিদা পূরণ করতে পারতাম না। আর পাইকাররা তো প্রতিদিনই ২০০ থেকে ৩০০, ৪০০, ৫০০ কেজি করে চাচ্ছে ব্যাপারীরা।
আপনাকে ১ বিঘা জমিতে অ্যাভোকাডো লাগাতে গেল ৩০ থেকে ৪০ টা দানা বা গাছ লাগবে এবং পুরো গাছটাকে লাগাতে এবং জমিটা তৈরি করতে 40 থেকে 50 হাজার টাকা খরচা হবে।
এছাড়া অ্যাভোকাডোতে কোন লস হওয়া সম্ভব নেই এবং বাইরের দেশেতে সবগুলো খাবারে তারা অ্যাভোকাডো ব্যবহার করে থাকে কারণ এটি একটি হাই প্রোটিন সমৃদ্ধ যুক্ত ফল।
তবে বাংলাদেশে আগে হাইব্রিড পেয়ারার চাহিদাও খুব কম ছিল তবে যখন থেকে হাইব্রিড পেয়ারার চাহিদা বাড়তি থাকে তখন থেকেই অ্যাভোকাডো চাষ শুরু হয়ে যায় এবং এভোকাডোর চাহিদাও বাড়তে থাকে এবং তার যোগানো বৃদ্ধি পায়।
সেই অনুযায়ী বলা যায় যখন অ্যাভোকাডো চাষ ও যোগান বৃদ্ধি পাবে তখন বাজারের মার্কেট ও বৃদ্ধি পাবে এবং লোক অ্যাভোকাডো ব্যবহার করা শিখে যাবে এবং তার চাহিদা বেড়ে যাবে তখন ফলের বাজারে অ্যাভোকাডো রাজত্ব করবে। তখন আপনি সেখান থেকে প্রচুর পরিমাণে ইনকাম করতে পারবে।
তাহলে আপনার যদি ভালো পরিমাণে একটি জমি থাকে এবং আপনার অগ্রহ থাকে তাহলে আপনি অবশ্যই একবার অ্যাভোকাডো চাষ করে দেখতে পারেন। আশা করি আপনি অনেক লাভজনক একটি ব্যবসা খুঁজে পাবেন। এবং নিজেকে উদ্যোক্তা হিসেবে দেখতে পেতে চাইলে আপনি এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন অদূর ভবিষ্যতে এই অ্যাভোকাডোর বহুৎ চাহিদা। তো আপনি চাইলে সেই চাহিদা পূরণের জন্য আপনি আজ থেকেই আপনার জমিতে এভোকাডো চাষ শুরু করতে পারেন।
উপসংহার :
আপনি এই তিনটি সুপার বেনিফিটস ব্যবসা নিয়ে ভাবতে পারেন ওদের ভবিষ্যতের সোনালী সম্ভাবনা রয়েছে। এই তিনটি ব্যবসা শুরু করার মাধ্যমে আপনি একজন উদ্যোক্তা হতে পারেন ও নিজেরও অর্থনৈতিক সমস্যা দূর করতে পারেন। এবং আপনি অন্যের একটি কাজের জায়গা করে দিতে পারবেন। আপনি যদি এই ব্যবসা করবেন বলে সিদ্ধান্ত নেন তাহলে আমার কথা শুনে ও বাজারের মার্কেট কে বিবেচনা করে শুরু করতে পারেন।
ব্যবসা সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন?
কিভাবে ব্যবসা শুরু করতে হয়?
ব্যবসা শুরু করার আগে আপনেকে ভাবতে হবে আপনি কি ব্যবসা আপনি করবেন। তারপর আপনাকে সেই ব্যাবসার জন্য প্রুস্তুতি নিতে হবে, যেমন আপনি ব্যবসা টি কোথায় ও কিভাবে করবে? আপনার কাছে লোক বা গ্রহক আসবে কিভাবে ও বাসাটি শুরু করতে টাকা পুঁজি লাগাতে হবে সব কিছু বিবেচনা করে শুরু করুন।
কিভাবে ব্যবসা করে?
ব্যবসা করার জন্য বিভিন্ন উপায় আছে যেমন আপনি একটি দোকান খুলতে পারেন সেটা যেকোনো ধরণের হতে পারে, আপনি গ্রামের ফেরিওয়ালা বা ট্রেনের চা ওয়ালার মতো আপনি কিভাবে বাসাটি করবেন সেটি প্রথম ঠিক করুন। আপনি যদি কোনো দোকান বা স্টোরে খুলতে চান তার জন্য আপনি একটি সঠিক লোকেশন বা জায়গা খুঁজুন তারপর সেখানে দেখুন আপনার দোকানের মতো কটি দোকান আছে? যদি বেশি না থাকে তাহলে সেখানে অল্প একটা দিয়ে একটি দোকান ভাড়া নিয়ে আপনার দোকানের কিছু মালপাত্র তুলুন। আর যদি আপনি ফেরিওয়ালা হতে চান তাহলে আপনি একটি সাইকেল, মোটরসাইকেল বা ঠেলা গাড়ি নিয়ে, অল্প কিছু মাল নিন তারপর সেটা ঘুরে ঘুরে বেচতে থাকুন। তবে এই দুটো ব্যাবসাই আপনাকে মাল বা পণ্য কে অন্য কথা থেকে কিনতে হবে বা নিজের থেকে তৈরী করতে হবে।
ব্যবসার টাকা কোথা থেকে জোগাড় করবো?
ব্যবসার টাকা জোগাড় করার জন্য আপনি কোথাও থেকে লং নিতে পারেন, বন্ধু বা পরিবার থেকে সাহায্য নিতে পারেন, নিজে রোজগার থেকে অল্প অল্প করে এক সাইডে ব্যাবসার জন্য টাকা জমান, এছাড়া আরো অনেক ভাবে আপনি টাকা জোগাড় করতে পারবে।
ব্যবসা কিভাবে উন্নতি করা যায়?
ব্যবসা উন্নতি করার জন্য বিভিন্ন উপায় আছে, যেমন : প্রথমে আপনার গ্ৰাহক এর সাথে ব্যাবহার ভালো রাখতে হবে, আপনার দোকান ও আপনাকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে, গ্ৰাহককে সবসময় ভালো জিনিস দেওয়ার চেষ্টা করুন, আপনার যদি কোনো দোকান বা স্টোরে হয় তাহলে তার সামনে সাইকেল বা গাড়ি রাখার জায়গা রাখুন, অন্যদের তুলোনায় আপনার দামটা একটু কম রাখুন, অনলাইন ওয়েবসাইট বা ইউটুবে প্রচার করুন, তারপর আপনার দোকান বা স্টোরে কে এমন ভাবে সাজিয়ে রাখুন যেন কাস্টমার একটি মাল নিতে এসে দুটি বা তিনটি নিয়ে যায়, একদম শেষে কাস্টমারকে একটা উপহার কার্ড বা ডিসওউন্ট কুপন দিন যেটি পরবর্তী কেনাকাটা বা শপিংয়ের জন্য কিছু ছাড় পাবে এর ফলে আপনার কাস্টমার আপনার কাছে দ্বিতীয়বার আসতে বদ্ধ হবে। এই টিপস গুলো ফলো করে আপনি আপনার ব্যবসাকে উন্নতি করতে পারবেন এছাড়া আপনার ব্যাবসার জন্য ওয়েবসাইট বানাতে আমাদের সাথে যোগযোগ করুন।
আশাকরি এই তিনটি সুপার বেনিফিটস ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে ইনফরমেশন আর্টিকেলটি ভালো লেগেছে? যদি তোমার এই আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আর্টিকেলটি তোমার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন আর এরকম ধরনের আরো নতুন নতুন আর্টিকেল পেতে অবশ্যই ব্লগটি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন বা আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে যোগদান করুন।