ব্লগিং কিভাবে শুরু করব? Blogging kivabe suru korbo

ব্লগ কাকে বলে এবং ব্লগিং কিভাবে শুরু করব? Blogging kivabe suru korbo

হ্যালো আমার প্রিয় দর্শক, আমি ব্লগিং সম্পর্কে এর আগে অনেক নিবন্ধনে আলোচনা করেছি। কিন্তু সেই নিবন্ধন গুলির মধ্যে ব্লগিং সম্পর্কে সম্পূর্ণ বিস্তারিত তথ্য না দিতে পারায়। আজকের এই নিবন্ধনটি আপনাদের জন্য শেয়ার করেছি।

কারণ এখনকার সময় এই ২০২৪ এর শেষের দিকে এবং 2025 এর আগমনে ব্লগিং এ অনেক পরিবর্তন ঘটেছে। যেগুলো আমাদেরকে ব্লগিং শুরু করার আগে জানা দরকার। সুতরাং আপনি যদি ব্লগিং শুরু করতে চান? তাহলে নিবন্ধনটি সম্পূর্ণ পড়ুন। আশা করি এটি আপনাকে ব্লগিং কাকে বলে এবং ব্লগিং শুরু করার সম্পর্কে জানতে অনেক সাহায্য করতে পারে।

তাই চলুন দেরি না করে জেনে নেই সেই সমস্ত টিপস গুলি।

ব্লগ কাকে বলে?

ব্লগিং হলো অনলাইনের মাধ্যমে নিজস্ব একটি ওয়েবসাইট বানিয়ে বা তৃতীয় পক্ষের বড় বড় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে। আপনার নিজের অভিজ্ঞতা টিকে কন্টেন্ট বা আর্টিকেলের মাধ্যমে দর্শকের কাছে তুলে ধরাকে বলা হয় ব্লগ। সেটা যে কোন বিষয় বা ক্যাটাগরির উপরে হতে পারে।

যেমন; উদাহরণস্বরূপ- আমি আপনাদের blogging সম্পর্কে ধারণা দিতে এই নিবন্ধনটি লিখে, আপনাদের সাহায্য করছি। আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এটিকে বলা হয় ব্লগিং বা ব্লগ। এই কাজের জন্য আপনি নিজস্ব ওয়েবসাইট না বানিয়েও Linkedin, মিডিয়াম, সাবস্টাক বা অন্য কোন তৃতীয় পক্ষের ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম কে ব্যবহার করতে পারেন। অন্যথায় আপনি এখানে কিক করে জেনে যেতে পারবেন ব্লগ বা ওয়েবসাইট মানে কি? সেই বিষয়ে।

ব্লগিং কিভাবে শুরু করব?

ব্লগিং শুরু করা খুবই সহজ ব্যাপার। এর জন্য, শুধুমাত্র আপনার কাছে একটি স্মার্টফোন, ল্যাপটপ, বা ট্যাবলেট থাকলেই, আপনি সেটির মাধ্যমে ব্লগিং শুরু করতে পারবেন।

এর জন্য সবার প্রথমে আপনাকে ব্লগিং কি, ও কিভাবে কাজ করে এই সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা নিতে হবে।

তারপর আপনার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে যে কোন একটি ক্যাটাগরী বা নিজের অভিজ্ঞতার উপরে, একটি ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে। সেটা হতে পারে:

  • টেকনোলজি
  • খবর বা বিনোদন
  • হেলথ বা স্বাস্থ্য
  • খাওয়া দাওয়া
  • ভ্রমণ
  • সৌন্দর্যতা বা বিউটি
  • এছাড়া আরো অন্যান্য বিষয়ের উপর হতে পারে।

সেজন্য আপনাকে একটি ডোমেইন নাম ও ওয়েব হোস্টিং ক্রয় করতে হবে। আপনি যে ক্যাটাগরির উপরে ব্লগিং শুরু করতে চান সেটিকে ম্যাচিং করে।

কারন, আপনি যদি আপনার ক্যাটাগরী ভিত্তিক বা ম্যাচিং করে ডোমিন নাম ক্রয় করেন। তাহলে সেটি আপনার Blogging ক্যারিয়ারে সফলতা আনতে সাহায্য করতে পারে।

এরপর আপনাকে সেই ডোমেন নেম ও হোস্টিং এর সাথে কানেক্ট করে একটি ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে। সেটি কিভাবে তৈরি করে জানতে এখানে ক্লিক করুন।

অন্যথায় আপনার কাছে যদি হোস্টিং ক্রয় করবার মত পর্যাপ্ত পরিমাণে টাকা না থেকে থাকে তাহলে আপনি ব্লগার প্ল্যাটফর্ম এর মাধ্যমে শুরু করতে পারেন। অন্যথায় আপনি এখানে ক্লিক করে সেরা পাঁচটি ব্লগিং প্লাটফর্ম এর মধ্য থেকে আপনার পছন্দনীয় ব্লগিং প্লাটফর্মে আপনার জন্য একটি ব্লগ তৈরি করতে পারেন।

ব্লগ ওয়েবসাইটটি তৈরি হয়ে গেলে সেটিকে সম্পূর্ণভাবে সেটিং করে নিতে হবে। তারপর আপনার সেই ব্লগে, ব্লগ সম্পর্কে একটি পেজ তৈরি করতে হবে। সাথে যোগাযোগ পেজ, প্রাইভেসি পেজ, ও ডিসক্লামার পেজ তৈরি করতে হবে। যে পেজগুলোর মধ্যে আপনি আপনার ব্লগ সম্পর্কে সমস্ত তথ্যগুলো দিয়ে রাখবেন। যেমন; ব্লগ সাইটটি কি করতে তৈরি করেছেন? আপনি দর্শকদের কাছ থেকে কি কি সংগ্রহ করেন? এবং দর্শকরা আপনার ব্লগ কেন পড়বে। এছাড়া আরো অনেক বিষয়ে, যেমন আমাদের এই ব্লগে দেওয়া আছে।

সমস্ত পেজ তৈরি করার পরে। আপনার ব্লগটিকে সুন্দর ভাবে ডিজাইন করে। সেখানে আপনি যে বিষয়ে কনটেন্ট বা নিবন্ধন পাবলিশ করবেন বলে তৈরি করেছেন। সেই বিষয়ে কিছু কিওয়ার্ডকে একত্রিত করে সংগ্রহ করে নিন।

তারপর সেই কিওয়ার্ড গুলোর উপরে, প্রতিনিয়ত একটি দুটি করে আর্টিকেল বা নিবন্ধন লিখে আপনার ব্লগে পাবলিশ করতে থাকুন।

ফলে যখনই আপনার ব্লগে দুই থেকে দশটি আর্টিকেল বা নিবন্ধন পাবলিশ, সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। তখনই আপনার ব্লগ সাইটটিকে Google সার্চ কনসোল, বিং সার্চল কনসোল, ও ডাক-ডাক-গো সার্চ কনসোল এর মত, সার্চ ইঞ্জিন প্ল্যাটফর্ম গুলিতে লিঙ্কআপ করে দিতে হবে।

ফলে আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগটি “গুগল, বিং, ও ডাক-ডাক-গো” তে সার্চ করা দর্শকদের কাছে প্রদর্শিত হতে থাকবে। সুতরাং যখনই সেটি দর্শকের কাছে প্রদর্শিত হবে। তারা সেই সার্চ রেজাল্টে থাকা আপনার ব্লগ পোষ্টের উপরে ক্লিক করে আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিট করবে। এবং আপনার দেওয়া তথ্যগুলো পড়বে।

যদি সেটি তাদের ভালো লাগে। তাহলে সেই দর্শক বারবার আপনার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করবে, এবং আপনার সাথে জড়িত হয়ে যাবে। সাথে বিভিন্ন নিবন্ধনে কমেন্ট করবে এবং বন্ধু বান্ধবদের সাথে শেয়ার করে, আপনার ব্লগকে আরো আগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে।

আর আপনার ব্লগ সম্পর্কে এই সমস্ত তথ্য, ও দর্শক আপনার ব্লগ সাইটটি কেমন ভাবে ব্যাবহার করছে এর বিস্তারিত বিষয় জানতে হবে। এর জন্য আপনাকে ব্যবহার করতে হবে Google এনালাইটিক্স। যেটির মাধ্যমে আপনি বুঝতে পারবেন আপনার কোন দর্শকটি কোন নিবন্ধনটি পড়ছে? এবং কোন নিবন্ধনে বেশি পরিমাণে দর্শক ভিজিট করছে। সাথে সেখানে কত সময় পর্যন্ত সময় ব্যায় করছে এছাড়া আরো অনেক কিছু।

“এই সমস্ত কিছু সহজে করবার জন্য। আপনার ওয়েবসাইটটি যদি ওয়ার্ডপ্রেস সাইটে হয়ে থাকে। তাহলে গুগল সাইট কিট প্লাগিনটি ইন্সটল করে সবকিছু জানতে পারবেন। অন্যথায় সাইটটি যদি অন্য কোন প্লাটফর্ম হয়ে থাকে। তাহলে আপনাকে ম্যানুয়ালি নিজে থেকে সবকিছু সেটিং করতে হবে বা কানেক্ট করতে হবে।”

এরপর আপনি যখন আপনার দর্শককে বুঝতে পেরে। দর্শকের আকর্ষণীয় কনটেন্ট বা নিবন্ধন পাবলিশ করে বেশি পরিমাণ দর্শক নিয়ে আসতে শুরু করবেন। তখন আপনার ব্লগে Google এডসেন্সঅ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে ইনকাম শুরু করতে পারবেন।

এইভাবে আপনি খুব সহজেই ব্লগিং শুরু করতে পারবেন। তবে একটি কথা মনে রাখবেন এই ২০২৪ এর শেষে ও ২০২৫ এর শুরুর দিকে blogging করাটি অনেক কঠিন হয়ে উঠেছে। কারণ এখন চলে এসেছে এ-আই বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট। যাকে আমরা (কৃত্রিম বুদ্ধিমতা বলে থাকি)। তাই আপনাকে ব্লগিং শুরু করার আগে সঠিক নিস বা ক্যাটাগরি নির্বাচন করে নিতে হবে। যে নিস, ক্যাটেগরির বা টপিক এর মধ্যে এ-আই এর রেজাল্ট খুব কম থাকে। তেমন একটি ক্যাটাগরিকে নির্বাচন করতে হবে। তবে ব্লগিং এ এগিয়ে যেতে পারবেন। তবে আপনি যদি সঠিকভাবে এআই ব্যবহার করা বুঝে নিতে পারেন। তাহলে আপনি AI কে কাজে লাগিয়ে সহজে ব্লগিংয়ে সফলতা আনতে পারবেন।

এছাড়া ব্লগ থেকে ইনকাম করার উপায় জানতে, এখানে দেওয়া লিংকে ক্লিক করুন।

শেষ কথা :

Bloggin কাকে বলে ও ব্লগিং কিভাবে শুরু করা যায়? আশা করি এই বিষয়ে আমি আপনাকে সম্পূর্ণ ধারণা দিতে পেরেছি। যদি পেরে থাকি এবং এই নিবন্ধনটি আপনাকে ব্লগিং শুরু করবার জন্য ন্যূনতম সাহায্য করে থাকে। তাহলে এটি বেশি বেশি করে শেয়ার করে দিন। আর আপনার যদি ব্লগিং সম্পর্কে কোন প্রশ্ন থেকে থাকে, তাহলে সেটি কমেন্ট বক্সে জানান। এরকম ধরনের আরো নতুন নতুন ব্লগিং টিপসঅনলাইন ইনকাম সম্পর্কে জানতে আমাদের ওয়েবসাইটে প্রতিনিয়ত ভিজিট করুন। সাথে টেলিগ্রাম চ্যানেলে যোগদান করে আমাদের পরিবারের সদস্য হয়ে যান।

আরো পোস্ট পড়ুন :-