নতুন ব্লগ ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর উপায় বা দ্বিগুণ দর্শক নিয়ে আসার ৭ টি নিয়ম
আপনি কি একজন ব্লগার আপনি একটি নতুন ব্লগ শুরু করেছেন আপনি যদি একজন ব্লগার হয়ে আপনার ব্লগের ভিজিটর নিয়ে চিন্তিত থাকেন তাহলে এই নিবন্ধনটি আপনার জন্য এটি সম্পূর্ণ পড়ুন।
কারণ ইতিমধ্যে আমরা অনেকেই নতুন ব্লগ ওয়েবসাইট শুরু করেছি এবং সেখানে নিয়মিত পোস্ট আপডেট দিয়ে থাকি কিন্তু সেই পোস্ট আপডেট দেওয়ার ফলেও আপনার ওয়েবসাইটে বা ব্লগে কোন ভিজিটর আসে না এবং তারা ব্যর্থ হয়ে বা বাধ্য হয়ে ব্লগিং করা ছেড়ে দেয়। এই অভিজ্ঞতাটি আমার নিজের সাথে হয়েছে।
তাই আপনি যেন এই অসুবিধা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। সেই জন্য এই নিবন্ধনের মাধ্যমে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। আপনার ব্লগ ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর উপায় সম্পর্কে যেগুলো আমি নিজে ব্যবহার করে আমার ব্লগ ওয়েবসাইটটিতে ভিজিটর বাড়িয়ে থাকি।
তাই চলুন দেরি না করে জেনে নিই ব্লগ ওয়েবসাইটে ভিজিটর কিভাবে বাড়ানো যায় বা বা দর্শক বাড়ানোর নিয়ম কি সেই বিষয়।
ব্লগ ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর উপায়
নতুন ব্লগ ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর জন্য অনেক ধরনের উভয় উপলব্ধ আছে। কিন্তু সেগুলো চেষ্টা করার আগে সবার প্রথমে আপনাকে আপনার ওয়েবসাইট টি গুগল সার্চ কনসোল, বিং সার্চ কনসাল, এবং গুগল এনালাইটিস এর সাথে সংযুক্ত করতে হবে। আপনার ওয়েবসাইটি যদি গুগলের সাথে সংযুক্ত না থাকে তাহলে আগে এগুলোর সাথে সংযুক্ত করুন। আর আপনি যদি না জানেন কিভাবে সংযুক্ত করতে হয় তাহলে এখানে ক্লিক করে এই নিবন্ধনটি পড়ুন।
তারপর ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর জন্য নিচের টিপসগুলো অনুসরণ করুন।
নিয়মিত পোস্ট আপডেট ও কি ওয়ার্ড রিসার্চ এর মাধ্যমে
সবার প্রথমে আপনার ব্লগে ওয়েবসাইটে নিয়মিত পোস্ট আপডেট দিতে হবে। আপনার ব্লগে বেশি পরিমাণে ভিজিটর নিয়ে আসার জন্য, এবং সেই পোস্টগুলো লেখার সময় সেগুলোকে সঠিকভাবে কিওয়ার্ড রিচার্জ করতে হবে।
তাই আপনি পারলে কিওয়ার্ড রিচার্জ টুলস যেমন Semrush, Ahrefs, Ubersugest ও আরো অন্য-অন্য কিওয়ার্ড রিচার্জ টুলস টুল কে ব্যাবহার করে আপনার ওয়েবসাইট এর জন্য সঠিক কিওয়ার্ড টি খুঁজে বার করে তার উপর নিবন্ধনটি লিখতে পারেন। আপনি চাইলে গুগল সার্চ বা গুগল কীওয়ার্ড প্লানার এর মধ্যেও ফ্রীতে কীওয়ার্ড রিচার্জ করতে পারেন আপনার ব্লগে জন্য।
তারপরে সেই কিওয়ার্ড গুলির উপর উপরে নিবন্ধন লিখে সেটিকে আপনার ওয়েবসাইটে পাবলিশ করুন। তবে আমি আপনাকে বলব আপনার ওয়েবসাইটটি যদি একদম নতুন হয়ে থাকে তাহলে আপনি প্রতিদিন একটি থেকে দুটি করে নিবন্ধন পাবলিশ করুন।
আর যদি সেটি পুরনো হয়ে থাকে তাহলে আপনি একটি করে নিবন্ধন পাবলিশ করতে পারেন। ফলে আপনার ওয়েবসাইটের যত বেশি পোস্ট বা আর্টিকেল থাকবে তত বেশি কিওয়ার্ডে আপনার ওয়েবসাইট রেঙ্ক (rank) করবে এবং তত বেশি দশক প্রবেশ করবে।
এছাড়া আপনার ওয়েবসাইটে বেশি পরিমাণে পোস্ট পাবলিশ করলে আপনার ওয়েবসাইটটিতে “গুগল ডিসকভার” সার্ভিসটা চালু হয়ে যেতে পারে। যার ফলে খুব সহজেই আপনার ওয়েবসাইটে গুগল সার্চ ছাড়াও গুগল ডিসকভার এর মাধ্যমে মিলিয়নেরেও বেশি পরিমাণে দর্শক ভিজিট করতে পারে।
ইউটিউবের মাধ্যমে
আপনি যদি একটি নতুন ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করে থাকেন তাহলে আপনি তার সাথে একটি নতুন ইউটিউব চ্যানেল ও তৈরি করে নিন, ওই সাথে ওয়েবসাইটের নামে।
তারপরে আপনার ব্লগে আপডেট করা বা পাবলিশ করা পোস্ট টপিকের উপরে আপনি ইউটিউবেও ভিডিও তৈরি করতে থাকুন। এবং সেই ভিডিও ডেসক্রিপশন বক্সে এবং ভিডিওতে আপনার ওয়েবসাইট টিকে মেনশন করুন এবং আপনার ভিডিওর ভিউয়ার দেরকে আপনার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার জন্য বলুন।
এর ফলে আপনার ওয়েবসাইটে ইউটিউব থেকে ডুফলো ব্যাকলিংক পাবে এবং Google এর কাছে আপনার ওয়েবসাইটটি থেকে সিগনাল যাবে। যে সিগন্যালের মাধ্যমে গুগল বুঝতে পারবে যে আপনার ওয়েবসাইট টি কোন বিষয়ের উপরে। ফলে গুগল আপনার ওয়েবসাইটটি সেই টপিকের উপরে রেংক করানো শুরু করে দেবে এবং আপনার ওয়েবসাইটটিতে গুগল সার্চ থেকে, সাথে ইউটিউব থেকে ভিজিটর প্রবেশ করবে।
এভাবে আপনি যত বেশি আপনার ওয়েবসিয়েট টি ইউটুবে প্রচার করতে থাকবেন আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটরের ধীরে ধীরে বাড়তে থাকবে সাথে আপনার ওয়েবসাইটটি জনপ্রিয় হয়ে যাবে।
- জানুন : বাংলা ব্লগ লিখে আয় বা ব্লগ লিখে আয় করার উপায়।
- আরো জানুন : অ্যামাজন থেকে ফ্রিতে ইনকাম কিভাবে করবেন।
বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে
যেকোনো নতুন ব্লগ ওয়েবসাইটে বেশি পরিমাণে ভিজিটর নিয়ে আসার জন্য বিজ্ঞাপন চালানো হলো একটি অন্যতম উপায়। যে উপায়ে আপনি ন্যূনতম টাকা খরচ করে আপনার ওয়েবসাইটে বেশি পরিমাণে দর্শক আনতে পারবেন।
তবে এক্ষেত্রে আপনার বিজ্ঞাপন চালানোর জন্য কিছু জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। আপনার যদি বিজ্ঞাপন চালানোর জন্য কোন জ্ঞান না থেকে থাকে তাহলে এখানে দেওয়া এই লিংকে ক্লিক করে আপনি এই Ads কোর্সটি কিনতে পারেন এটি শুধুমাত্র ৫৪৯ টাকা পেয়ে যাবেন।
তারপরে আপনি বিজ্ঞাপন চালানোর উপর জ্ঞান বা অভিজ্ঞতা অর্জন করে আপনার নতুন ওয়েবসাইটের জন্য বিজ্ঞাপন চালাতে পারেন। গুগল অ্যাপস, ফেসবুক, LinkedIn এবং পিন্টারেস এবং টুইটারের মাধ্যমে। তারপর সেখান থেকে বিজ্ঞাপন এর মাদ্ধমে আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর নিয়ে আসতে পারবেন।
এছাড়া এই বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আপনি আপনার ব্লগ এর সম্বন্ধে টার্গেটের দর্শক বা ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইটে নিয়ে আসতে পারবেন। এবং তাদের কাছ থেকে আপনি ইমেল, ও ফোন নম্বর সংগ্রহ করে আপনার ওয়েবসাইটে দর্শক বাড়াতে পারে।
তবে আপনার ব্লগ ওয়েবসাইট টি যদি নতুন হয় এবং আপনি আপনার ব্লগে এফিলিয়েট মার্কেটিং, বিজ্ঞাপন মার্কেটিং বা কোনো সার্ভিস কে বিক্রয় না করে থাকেন তাহলে আপনার এখুনি বিজ্ঞাপন চালানোর প্রয়জন নেই। আপনি এগুলো চালু করার পর করতে পারেন। তবে আপনার যদি কোনো ব্যবসা সম্মন্ধ কোনো ওয়েবসাইট হয় তাহলে আপনি শুরু থেকেই বিজ্ঞাপন চালাতে পারেন আপনার ব্যবসাকে প্রচার করতে।
SEO বা সার্চ ইঞ্জিন অটোমাইজেশন করে
“SEO” বা সার্চ ইঞ্জিন অক্টোমাইজেশন। এর মাধ্যমে যেকোনো ব্লগ ওয়েবসাইটে বেশি পরিমাণে ফ্রিতে কোয়ালিটি ভিজিটর নিয়ে আশা সম্ভব। এ কথাটা আমি সবার প্রথমেই আপনাদের বলেছি। এই এসিওর মাধ্যমে আমি আমার ব্লগ ওয়েবসাইটটিতে প্রতিমাসে দুই থেকে আড়াই লাখ ভিজিটার নিয়ে আসি।
তাই আপনি যখনই আপনার ওয়েবসাইটে নতুন কোন পোস্ট আপলোড করবেন তখন সেই পোস্টটি অবশ্যই অন পেজ এসিও, অফ পেজে এসিও এবং ছবি এসিও করুন। সাথে নিবন্ধন টিতে আপনি আপনার নিবন্ধন সম্বন্ধে বিভিন্ন কিবোর্ড যুক্ত করুন।
ফলে আপনার ওয়েবসাইট টিতে যখন ৭০% থেকে ৮০% এর উপরে SEO থাকবে তখন আপনার ওয়েবসাইটটি ধীরে ধীরে গুগলে রেঙ্ক করা শুরু করবে। ফলে আপনার ওয়েবসাইটটিতে লেখা নিবন্ধনগুলো যে কীওয়ার্ডের উপরের লেখা বা যে বিষয়ে লেখা সেই বিষয়ে যখন কোনো দর্শক সার্চ করবে তখন আপনার ওয়েবসাইটটি গুগলে দেখতে পাবে। এবং সেখান থেকে তারা আপনার ওয়েবসাইটটিতে ক্লিক করে আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিট করবে এবং তারা এমন একটা ভিজিটর যারা নিজেরাই সেই বিষয়ে খোঁজ করছে এর ফলে আপনার ওয়েবসাইটের অথরিটি অনেক বেড়ে যাবে ফলে আপনার ব্লগে দর্শক আসার সম্ভনা অনেক বৃদ্ধি পাবে।
তাই অবশ্যই আপনি আপনার ব্লগে নিয়মিত SEO তেও কাজ করতে থাকুন। কারণ এটি এমন একটা জিনিস যেটা ঠিক ভাবে করতে পারলে আপনার ওয়েবসাইটে সারাজীবন ফ্রীতে ভিজিটর পেতে পারেন।
তবে আপনার ওয়েবসাইটটি যদি ওয়ার্ডপ্রেস দ্বারা তৈরি হয়। তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনি Yoast SEO, বা Rank Math SEO প্লাগিনটি আপনার ওয়ার্ডপ্রেস সাইটে ইন্সটল করে আপনার ওয়েবসাইটে এসিও করার জন্য সাহায্য নিতে পারেন।
এছাড়া এখানে ক্লিক করে আপনি এই Rank Math SEO প্লাগিন গুলো কিভাবে কিভাবে কাজ করে? এবং কিভাবে ব্যবহার করতে হয় ?বা ওয়ার্ডপ্রেস সাইটে ইন্সটল করতে হয়? সেই ব্যাপারে জেনে নিতে পারেন।
এই কাজগুলো করার জন্য আপনাকে সবার প্রথমে এসিও কি? ও কিভাবে কাজ করে? এই বিষয়ে জানা দরকার। আর আপনার যদি না জানা থাকে তাহলে আপনি এই লিংকে ক্লিক করে জেনে নিতে পারেন যে একটি SEO বন্ধুত্ব পোস্ট বা নিবন্ধন ব্লগ সাইটে কিভাবে লেখে বা আপলোড করে সেই বিষয়ে।
সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে
আপনি আপনার ব্লগ ওয়েবসাইটে দর্শক বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মকে ব্যবহার করতে পারেন। যেমন; Facebook, Twitter, LinkedIn, পিন্টারেস্ট, হোয়াটসঅ্যাপ, ও টেলিগ্রাম এছাড়া আরো অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলি তে আপনি একটি একাউন্ট তৈরি করুন। এবং সেখানে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন আপডেট দিতে থাকুন বা আপনার ওয়েবসাইটে পাবলিশ করা পোস্টগুলোকে শেয়ার করতে থাকুন।
যেমন; ফেসবুকে একটি পেজ তৈরি করুন। আপনার ব্লগ ওয়েবসাইটের নামে এবং সেই পেজে আপনি নিয়মিত আপনার ব্লগে আপলোডকৃত পোস্টগুলো শেয়ার করতে থাকুন।
ঠিক একই ভাবে আপনি টুইটারে, ইনস্টাগ্রামে, LinkedIn-এ, Whatsapp গ্রুপ, টেলিগ্রাম গ্রুপ, প্রিন্টের এবং Quora এর মত সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলিতে কিছু সময় ব্যয় করে নতুন নতুন কনটেন্ট ও আপনার ওয়েবসাইটের পোস্টগুলো নিয়মিত শেয়ার করুন।
ফলে আপনার ব্লগ ওয়েবসাইটটিতে ফ্রিতে কিছু ব্যাকলিংক পেয়ে যাবে। এবং আপনার নিবন্ধনগুলো যদি ভালো হয় এবং দর্শকদের প্রয়োজনই হয় তাহলে তারা সেই শেয়ার করা লিংকে ক্লিক করে আপনার ওয়েবসাইটটিতে প্রবেশ করবে।
যখনই তারা আপনার ওয়েবসাইটটিতে প্রবেশ করে কিছুক্ষণ সময় ব্যায় করবে তখন গুগল এর কাছে একটা সিগনাল চলে যাবে। এবং গুগল থেকেই তখন অটোমেটিক আপনার ওয়েবসাইটটি রেঙ্ক করানো শুরু করবে এবং সেই পোস্টটি সোশ্যাল মিডিয়াতেও বেশি করে প্রচার হওয়া শুরু হয়ে যাবে।
এছাড়া সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানিগুলোও বেশি করে আপনার পোস্টটি প্রমোট করা শুরু করে দেবে। ফলে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে আপনি আনলিমিটেড ভিজিটর বা দর্শক আপনার ওয়েবসাইটে নিয়ে আসতে পারবেন একদম ফ্রীতে। আর আপনি চাইলে টাকা ব্যায় করে সোশ্যাল মিডিয়া বিজ্ঞাপন চালিয়েও ব্লগে ভিজিটর নিয়ে আসতে পারবেন।
ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে
ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর জন্য ইমেইল মার্কেটিং হল একটি জেনুইন উপায় যে উপায়ের মাধ্যমে আপনি খুব সহজে যে কোন ওয়েবসাইটে ভিজিটর পাঠাতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে আপনার কাছে আগে থেকে একটি ইমেইল লিস্ট (তালিকা) থাকা দরকার। আর যদি না থাকে তাহলে আপনি আপনার ব্লগ ওয়েবসাইটটিতে আশা দর্শকদের থেকে ইমেইল সংগ্রহ করতে থাকুন। বা ইমেইল বিক্রয় করা ওয়েবসাইট গুলি থেকে কিছু টাকা ব্যায় করে কিছু ইমেইল ক্রয় করে নিন।
আপনার ব্লগ ওয়েবসাইট থেকে ইমেইল সংগ্রহ করার জন্য আপনি Mailchimp, গেটরেসপন্স বা Livechat ইমেইল মার্কেটিং টুলকে ব্যবহার করতে পারেন। তারা আপনাকে ফ্রিতে ৫০০ email সংগ্রহ করার জন্য অফার প্রদান করেন।
আপনি তাদের ফ্রি সার্ভিসকে ব্যবহার করে আপনার ওয়েবসাইটে আসা দর্শকদের থেকে ইমেইল সংগ্রহ করে আপনি এই ইমেইল মার্কেটিং টুলের মাধ্যমে তাদের প্রতিদিন একটি করে ইমেইল পাঠাতে থাকুন। এটা করতে খুব বেশি হলে আপনার ১০ থেকে ১৫ মিনিট টাইম লাগবে। সেটা যদি আপনার কাছে একটি email থাকে কিংবা এক হাজারো ইমেল থাকে সেই ১০ থেকে ১৫ মিনিটে এর মধ্যে আপনি সবাইকে একসাথে ইমেইল পাঠাতে পারবেন।
তবে আপনি যে ইমেইল গুলো আপনার ভিজিটর বা দর্শকদের পাঠাবেন সে ইমেইলগুলো আপনার ব্লগ ওয়েবসাইট টপিক সম্বন্ধ ইমেইল পাঠাবেন। এবং সেই ইমেইলটিতে সেই পোস্ট বা নিবন্ধনটির লিংক দিয়ে দেবেন। ফলে দর্শকরা যেন আপনার ইমেইল পড়ে সেই লিংকে ক্লিক করে আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে পারে। তাহলে আপনার ওয়েবসাইটে দর্শক বৃদ্ধি হওয়া শুরু হয়ে যাবে। আর আপনি যদি লিংক না দিয়ে শুধু ইমেইল পাঠাতে থাকেন তাহলে আপনার ওয়েবসাইটে কোন দর্শক আসবে না।
এই ইমেইল মার্কেটিং পদ্ধতিতে আপনি আপনার ওয়েবসাইটের দর্শক নিয়ে আসতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে আপনি ১০০ টি ইমেইল পাঠালে সেখান থেকে খুব বেশি ৬০ জন হয়তো আপনার ইমেলটি পড়বে এবং তার থেকে ৪০ জনের মত দর্শক আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিট করবে। এটা আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বললাম। এই মাধ্যমটি সাধারণত বড় বড় কোম্পানি গুলো ব্যবহার করে থাকেন। যেমন; Amazon, Flipkart, Myntra, Snapdeal, Ajio ও আরো অন্যান।
পুশ নোটিফিকেশনের মাধ্যমে
আমরা হয়তো অনেকেই এই পুশ নোটিফিকেশনের ব্যাপারে জানি। কিন্তু পুশ নোটিফিকেশন কে সঠিক ভাবে আমরা ব্যবহার করতে পারি না। আপনি হয়তো জানেন না এই পুশ নোটিফিকেশনের মাধ্যমে কিছু কিছু ওয়েবসাইট আছে যেগুলো মাসে দুই থেকে আড়াই লাখ ভিজিটর শুধুমাত্র এই পুশ নোটিফিকেশনের মাধ্যমে নিয়ে আসে।
কারণ তারা তাদের ওয়েবসাইটটিতে সঠিকভাবে Push notification সিস্টেমটি লাগিয়ে রেখেছে। ফলে তাদের ব্লগ ওয়েবসাইটে যখনই কোন নতুন দর্শক আসে তাদের সবাইকে পুশ নোটিফিকেশনের মাধ্যমে সাবস্ক্রাইব করার জন্য জোর করে থাকেন।
ফলে যখনই ওই দর্শক-টি Push notification চালু করে দেয় তখনই তার একটি স্বাগতম (welcome) পুশ নোটিফিকেশন চলে যায় এবং ওয়েবসাইট মালিকের কাছে একটি বেশি দর্শকের লিস্ট তৈরি হয়ে যায়।
এভাবে তারা চার থেকে পাঁচ লাখ দশকে এক জায়গায় করে রেখেছে এই Push notification এর মাদ্ধমে। ফলে তারা যখন নতুন পোস্ট আপলোড করে সেই পোস্টটি কে তাদের পুশ নোটিফিকেশনের মাধ্যমে সকল ভিজিটর বা দর্শক দের সাথে শেয়ার করে দেয়। এবং তার সেটিতে ক্লিক করে ডাইরেক্ট সেই ব্লগ ওয়েবসাইট প্রবেশ করে থাকেন।
এই পুশ নোটিফিকেশন সিস্টেমটা পুরো ইউটিউব নোটিফিকেশন এর মত কাজ করে। তাই আপনি চাইলে আপনার blog সাইটে ভিজিটর বাড়াতে push notification লাগাতে পারেন এবং আপনার ব্লগ সাইটে দর্শক বাড়াতে পারেন এর মাধ্যমে। আর আপনি যদি না জানেন ব্লগ ওয়েবসাইটে পুশ নোটিফিকেশন কিভাবে যুক্ত করে তাহলে এখানে ক্লিক করে এই নিবন্ধনটি পড়ুন। আর জেনে নিন তার সম্পূর্ণ নিয়মটি।
শেষ কথা :
যেকোনো ব্লগ ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানো বা দর্শক বাড়ানোর জন্য এই ৮ টি নিয়ম আপনি ব্যবহার করতে পারেন। যেগুলো আমি নিজে ব্যবহার করে থাকি। তাই আশা করি আপনার এই নিবন্ধনটি খুব উপকার করবে। যদি আপনার এটি ভালো লেগে থাকে তাহলে এটি বেশি বেশি করে আপনার বন্ধু ও পরিবারের সাথে শেয়ার করে দিন। আর এরকম ধরনের নতুন নতুন ব্লগিং সম্পর্কে টিপস, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, ও অনলাইন ইনকাম, সম্পর্কে জানতে আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলটির সাথে যুক্ত থাকুন ও আমাদের ব্লগটি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন। আর মোবাইলে ফ্রি ব্লগ কিভাবে তৈরি করে জানতে এটি পড়ুন।