অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি? এটি কিভাবে শুরু করবো এবং এর সুবিধা কী
আপনি কি একজন ছাত্র, শিক্ষক, ব্লগার, ইউটুবার আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে জানতে ইচ্ছুক। তাহলে আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং কি? What is affiliate marketing? অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো? এখন থেকে কত টাকা ইনকাম করা সম্ভব, এর সুবিধা অসুবিধা, এছাড়া আরো অন্যান্য বিষয় জানতে আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ুন।
এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমি আপনাকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা দেব এবং আপনার ভিতর জমে থাকা সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দেব, দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক। যেমন :
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি এর বৈশিষ্ট্য
সহজ কথায় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হল একটি ব্যবসা যে ব্যবসাতে আপনার নিজস্ব কোন প্রোডাক্ট বা পণ্য বা পরিষেবার প্রয়োজন হয় না কিন্তু আপনি অন্য কোন কোম্পানি বা ব্র্যান্ডের প্রোডাক্ট বা পণ্যকে প্রচার করে টাকা ইনকাম করতে পারবে একটি পারসেন্টেজ হিসেবে। এটি খুব সহজ একে বলা হয় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। আরো সহজ কথায় বলতে গেলে অন্যের পণ্য বা পরিষেবা কে ব্লগ ইউটিউব, সোশ্যাল মিডিয়া ও ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে বিক্রয় করে কমিশন ইনকাম করাকে বলা হয় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হল এমন এক ধরনের মার্কেটিং যেখানে একটি ব্যবসা অন্য একটি ব্যাবসার অ্যাফিলিয়েটর বিপণন প্রচেষ্টার দ্বারা আনা প্রতিটি গ্রাহক বা দর্শক দের জন্য এক বা একাধিক অ্যাফিলিয়েট পণ্য কে বিক্রয় করার জন্য কিছু টাকা পুরস্কৃত করে।
এটি সাধারণত তাদের পণ্যের সাথে জড়িত এমন ধরণের ওয়েবসাইট, সোশ্যাল মিডিয়া, ইমেল বিপণন, বা অর্থপ্রদানের বিজ্ঞাপনের মতো বিভিন্ন চ্যানেলের মাধ্যমে ব্যবসার পণ্য বা পরিষেবার প্রচার করে এমন অ্যাফিলিয়েটকে জড়িত করে এই কাজটি করা হয়।
যখন আপনার একজন ব্লগ, ইউটুব, বা সোশ্যাল মিডিয়ার গ্রাহক বা দর্শক আপনার অ্যাফিলিয়েটের ট্র্যাকিং লিঙ্কে ক্লিক করেন এবং সেখান থেকে একটি পণ্য ক্রয় করেন। তখন সেই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার একটি শতাংশ বা % হারের উপর ভিত্তি করে একটি কমিশন উপার্জন করে, (সেটি ২ থেকে ৭০% পর্যন্ত হতে পারে)।
অ্যাফিলিয়েটের কমিশন সাধারণত বিক্রয় হওয়া পণ্যে মূল্যের একটি শতাংশ, যদিও এটি প্রতি বিক্রয় বা প্রতি রেজিস্টেশনের উপর ভিত্তি করে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণও হতে পারে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হল ব্যবসার বিক্রয় বাড়ানোর একটি জনপ্রিয় উপায় এবং অ্যাফিলিয়েটরা তাদের বিশ্বাস করে এমন পণ্য এবং পরিষেবার প্রচার করে প্যাসিভ ইনকাম করার জন্য।
এটি উভয় পক্ষের জন্যই একটি জয়-জয় পরিস্থিতি কারণ যে কোম্পানির প্রোডাক্ট বা সার্ভিস তার ব্যবসাটি প্রসারিত করতে এবং পারে জন অ্যাফিলিয়েট অর্থ উপার্জন করতে পারে, সে নিজস্ব পণ্য বা পরিষেবা তৈরি না করেই।
যেমন; ধরুন আমি এই ব্লগে তোমাদের সাহায্যের জন্য কিছু লিংক দিয়ে থাকি যদি তুমি ওই লিংকে ক্লিক করে সেই পণ্য বা সার্ভিস টি ক্রয় করো তাহলে আমি কিছু পার্সেন্টেজে হিসাবে টাকা পাবো ওই কোম্পানির তরফ থেকে কিন্তু আপনাকে ওই প্রোডাক্ট টি কিনতে একটি টাকা ও বেশি দিতে হবেনা, এই ভাবে আমি যত বেশি প্রোডাক্ট টি সেল করতে পারবো আমি তত বেশি ইনকাম করতে পারবো।
অ্যাফিলিয়েট অর্থ কি?
অ্যাফিলিয়েট এর অর্থ বা মানে এক কথায় “অন্ধ ভক্তি” যেমন কোনো একটি সমিতি বা প্রতিষ্ঠান এর সাথে সম্বন্ধযুক্ত হওয়া বা অধিভুক্ত হওয়া।
এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুবিধা
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হল প্যাসিভ ইনকামের সম্ভাবনা থাকে। একবার আপনি একটি পণ্য বা পরিষেবার প্রচারের সামগ্রী তৈরি করে ফেললে, এটি প্রকাশিত বা পাবলিশ হওয়ার অনেক পরও আপনার জন্য ইনকাম জেনারেট করা চালিয়ে যেতে পারে। এছাড়া অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং আপনার আয়ের ধারাকে বৈচিত্র্যময় করতে এবং আপনার পছন্দের কাজ করার সময় অর্থ উপার্জন করতে সুযোগ করে দেয়।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুবিধা ও অসুবিধা
সুবিধা
- অ্যাফিলিয়েট থেকে প্যাসিভ ইনকাম করা যাই।
- ব্লগ বা ইউটুবে না থাকলেও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা যাই।
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ কম ট্রাফিকে বেশি টাকা ইনকাম করা যাই।
- টাকা না থাকলেও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করা যাই।
- অল্প সময় কাজ করে অনেক টাকা ইনকাম করা সম্ভব।
- তোমার পছন্দের পণ্যটি প্রচার করে ইনকাম করতে পারবে।
অসুবিধা
- সঠিক অ্যাফিলিয়েট পণ্যটি বেছে নেওয়া কঠিন।
- অনেক খেত্তে অ্যাফিলিয়েট একাউন্ট টি বন্ধ হয়ে যায়।
- পণ্যটি বিক্ক্রয় না হওয়া পর্যন্ত টাকা পাবে না।
- একদম নতুনদের ইনকাম শুরু হতে সময় লাগে।
এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে গেলে আপনাকে কিছু জিনিস মনে রাখতে হবে। যেমন; ধরুন অ্যাফিলিয়েট নতুন নির্বাচন করা অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামের উপরে কিছু রিচার্জ করা। প্রোডাক্ট সিলেক্ট করা, এবং আপনি কোন নেটওয়ার্ক থেকে আপনার অ্যাফিলিয়েট সিলেক্ট করবেন সেটি তারপরে আপনাকে সেই অ্যাফিলিয়েট নেটওয়ার্কে জয়েন হতে হবে। তারপরে আপনি শুরু করতে পারবেন এইসব জিনিস গুলো জানতে আপনি নিচে দেওয়া টিপস গুলো একবার ভালো করে জেনে নিন :
১. আপনার নীচ বা কুলুঙ্গি নির্বাচন করুন :
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করার প্রথম ধাপ হল আপনার নীচ বা কুলুঙ্গি বেছে নেওয়া। আপনার নীচ এমন কিছু হওয়া উচিত যা সম্পর্কে আপনি বেশি অগগ্রহ এবং সেটির উপর আপনার বিশেষ জ্ঞান থাকতে হবে। যেমন ধরুন আমার জ্ঞান ব্লোগ্গিং ও টেকনোলজির উপর তো এক্ষেত্রে আমি ডোমেইন, হোস্টিং, ওয়ার্ডপ্রেস থিম, কোনো সফটওয়্যার বা টুলস এর অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করবো। সুতারং আপনার যদি টেকনোলজির উপর জ্ঞান না থাকে যদি জামা কাপড়, হেলথ বা স্বাস্থ্য উপর জ্ঞান থাকে। তাহলে আপনি সেই নীচ বা ক্যাটাগরি কে বেছে নিন। এটি করলে আপনি ১০০% আপনার দর্শকদের সাথে শেয়ার করে উচ্চ-মানের Content তৈরি করা সহজ হয়ে উঠবে, যেখান থেকে আপনি অনেক অর্থ উপার্জন করতে পারবে, এটা হলো সবথেকে বড়ো একটা টাস্ক।
২. অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম এর উপর গবেষণা :
একবার আপনি আপনার নীচ বা কুলুঙ্গি বেছে নিলে, এবার আপনাকে অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামগুলির উপর গবেষণা করার সময়। আপনি আপনার কুলুঙ্গি সম্পর্কিত পণ্য বা পরিষেবাগুলি অনুসন্ধান করে তাদের একটি ও অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম আছে কিনা সেটা দেখে নিন তার পর এটি করতে পারেন। আপনি অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামগুলি খুঁজে পেতে ShareASale, কমিশন জংশন এবং Amazon Associates এর মতো অ্যাফিলিয়েট নেটওয়ার্কগুলি ব্যবহার করতে পারেন ওই পণ্যটি পাচার করার জন্য বা তার অ্যাফিলিয়েট এ জয়েন হওয়ার জন্য ৷
৩. অ্যাফিলিয়েট পণ্য বা সার্ভিস নির্বাচন
প্রচারের জন্য অ্যাফিলিয়েট পণ্য বা পরিষেবাগুলি বেছে নেওয়ার সময়, আপনার ব্র্যান্ড এবং দর্শকদের সাথে মেলে বা দর্শকের প্রয়জন এমন একটি অ্যাফিলিয়েট পণ্য বা সার্ভিস কে বেছে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ৷ কারণ ধরুন আমার এই ব্লগে আমি ব্লোগ্গিং সম্পর্কে লিখি সে খেত্তে আমি ডিজিটাল পণ্য হোস্টিং, ডোমেইন, ও থিম এর অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করি কারণ আপনি এখানে এসেছেন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শিখতে তো আপনি তার রিলেটেড পণ্য বা পরিষেবা কে কিনবে কিন্তু আমি যদি এখানে জাম কাপড় বা স্বাস্থর কোনো প্রোডাক্ট নিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করি তাহলে কি পণ্যটি কেউ কিনবে? কেউ কিনবে না। সুতারং আপনাকে অব্শ্যই আপনার যে নীচ এ ব্লগ, ইউটুব বা সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট আপনি সেই নীচ বা কুলুঙ্গির অ্যাফিলিয়েট পণ্য বেছে নিন। এছাড়া আপনি কমিশন হার এবং পণ্য জনপ্রিয়তা বিবেচনা করে নিন।
৪. অ্যাফিলিয়েট নেটওয়ার্ক সম্পর্কে বোঝা
অ্যাফিলিয়েট নেটওয়ার্ক হল এমন প্ল্যাটফর্ম যা অ্যাফিলিয়েট বিজ্ঞাপনদাতা বা কোম্পানিদেরকে অ্যাফিলিয়েট প্রকাশকদের সাথে সংযুক্ত করে, যেমন (আমি বা আপনি)। অ্যাফিলিয়েট নেটওয়ার্ক গুলো তারা আপনার বা অ্যাফিলিয়েট বিজ্ঞাপনদাতাদের সেল ট্র্যাকিং, লিংক ক্লিক রিপোর্টিং এবং কমিশন বা পেমেন্ট পরিচালনা করে, এছাড়া আপনার জন্য একাধিক অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম পরিচালনা করা সহজ করে তোলে। যেমন ShareASale, PartnerStack, CJ (commission junction), Amazon এছাড়া আরো অনেক। জানুন কিছু জনপ্রিয় অ্যাফিলিয়েট নেটওয়াক বাংলা ব্লগের জন্য।
৫. অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে জয়েন বা আবেদন করা
একবার আপনি একটি অ্যাফিলিয়েট নেটওয়ার্ক টি বেছে নিয়ে প্রোগ্রাম টি বেছে নিলে, আপনাকে ওই অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে জয়েন হওয়ার জন্য আবেদন করতে হবে। তারপর আপনাকে সেই অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম অপ্প্রভ করবে আপনার অ্যাপ্লিকেশন প্রক্রিয়া প্রোগ্রামের উপর নির্ভর করে, তবে আপনাকে সাধারণত আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগ, ইউটুব, ও সোশ্যাল মিডিয়াতে আপনার পণ্যের প্রচারমূলক পদ্ধতির সম্পর্কে তথ্য বা জ্ঞান প্রদান করতে হবে এবং তার সাথে আপনার অ্যাফিলিয়েট লিংকটি শেয়ার করতে হবে। তারপর ওই লিংকে ক্লিক করে কেউ পণ্যটি কিনলে তুমি তার পরিবর্তে কিছু কমিশন উপার্জন করবেন, এটি হলো আপনার অ্যাফিলিয়েট সেল বা অ্যাফিলিয়েট থেকে ইনকাম এভাবে আপনি পণ্যটি যত পরিমাণ সেল করতে পারবেন তত পরিমাণ কমিশনার উপার্জন করতে পারবেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কৌশল কী?
১. আপনার শ্রোতা বা দর্শক কে টার্গেট করা
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে সফল হতে হলে সবার প্রথম আপনার দর্শকদের জানতে হবে। তারা কারা? তারা কি সম্পর্কে জানতে ইস্কুক? তাদের কোন সমস্যা সমাধানের প্রয়োজন?আপনি আপনার শ্রোতাদের একবার বুঝতে পারলে, আপনি এমন কন্টেন তৈরি করতে পারেন যা তাদের সাথে অনুরণিত বা জড়িত এবং তাদের আগ্রহের পণ্যগুলি আপনি প্রচার করেন৷
২. আপনার কনটেন্ট এর কৌশল
আপনার কনটেন্ট সামগ্রীর কৌশলটিতে আপনি কোন ধরনের কন্টেন তৈরি করবেন, এবং আপনি কত ঘন ঘন সেটি প্রকাশ করবেন এবং কোথায় আপনি এটি প্রচার করবেন তা নির্বাচন করা উচিত। এক্ষেত্রে একটি ব্লগ, ইউটুব, সোশ্যাল মিডিয়া, ইমেল মার্কেটিং এবং আরও অনেক কিছু তে আপনাকে অন্তর্ভুক্ত বা প্রচারের উপায় থাকতে পারে। এর মধ্যে থেকে যে কোনো একটাকে আপনার উপায় হিসাবে বেছে নিন।
৩. অ্যাফিলিয়েট প্রচারের জন্য পণ্য নির্বাচন করা
অ্যাফিলিয়েট প্রচারের জন্য অ্যাফিলিয়েট পণ্য নির্বাচন করার সময়, আপনার দর্শকদের চাহিদা এবং আগ্রহ বিবেচনা করুন। আপনার ব্র্যান্ড ব্লগ ইউটুব বা সোশ্যাল মিডিয়া দর্শকের সাথে মেলে এমন পণ্যগুলিও প্রচারের জন্য বেছে নেওয়া উচিত।
৪. উচ্চ-মানের কন্টেন তৈরি করুন :
আপনার অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং পধতি বা তাড়াতাড়ি সাফল্যের জন্য উচ্চ-মানের কন্টেন তৈরি করা অপরিহার্য। এক্ষেত্রে আপনার বিষয়বস্তু তথ্যপূর্ণ, আকর্ষক এবং কোনো একটি কারণের উপায় হওয়া উচিত। এছাড়া সেটি যেকোনো সার্চ ইঞ্জিনগুলির বা প্লাটফ্রমের জন্য দৃশ্যমানতা সর্বাধিক ভালো ও সহজ উপায় বার করার জন্য অপ্টিমাইজ করা উচিত।
৫. কল-টু-অ্যাকশন বা ক্লিক বাটনের মাধ্যমে বিক্রয় করা
কল-টু-অ্যাকশন বা ক্লিক বাটন (CTAs) এটি হল আপনার অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর কৌশলের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটির মাদ্ধমে আপনার শ্রোতাদের পদক্ষেপ নিতে উত্সাহিত করে, তারা সেটিতে ক্লিক করে প্রডাক্টটি ক্রয় করা জন্য, বা আপনার একটি সদস্যতা হওয়ার জন্য। এছাড়া আপনার অ্যাফিলিয়েট সেল বাড়ানোর জন্য আপনার সমস্ত কন্টেন্ট কৌশলগতভাবে জুড়ে CTA গুলো নিশ্চিত করুন।
অ্যাফিলিয়েট পণ্যের প্রচার ও বিক্রি কিভাবে করবেন?
আপনার অ্যাফিলিয়েট পণ্যের প্রচার ও বিক্রয়ের জন্য আপনাকে একটি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা দরকার, কিভাবে করবেন জানতে নিচের টিপস গুলো মনোযোগ সহকারে ফলো করুন।
আপনার জন্য সঠিক প্ল্যাটফর্ম নির্বাচন করুন
যখন এটি অ্যাফিলিয়েট বিজ্ঞাপনের কথা আসে, আপনার কাছে বেছে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। যেমন আপনি একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগ, একটি YouTube চ্যানেল, একটি পডকাস্ট বা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলি বেছে নিতে পারেন৷ আপনার পছন্দ এবং যেখানে আপনার লক্ষ্য দর্শক সবচেয়ে বেশি সক্রিয় তা বিবেচনা করুন এবং সেই প্লাটফর্মটি নির্বাচন করুন ।
আপনার প্লাটফর্মটি সেট আপ করুন :
আমার ক্ষেত্ৰ আমি ব্লগ ও ইউটুব চ্যানেলের মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট পণ্যটি প্রচার করবো সুতারং আমি একটি ব্লগ ও একটি ইউটুব চ্যানেল কে সেটআপ করবো। তো আপনি যদি আপনার প্ল্যাটফর্ম হিসাবে একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগ চয়ন করেন তবে আপনাকে এটি ব্লগ সেট আপ করতে হবে৷ এর জন্য একটি ডোমেন নাম কিনুন, এবং একটি নির্ভরযোগ্য হোস্টিং প্রদানকারী কে বেছে নিন তবে আপনি যদি নির্ভরযোগ্য হোস্টিং খোঁজেন তাহলে আপনাকে বলবো Bluehost বা Hostinger থেকে হোস্টিং নিন। তারপর সেই হোস্টিং সার্ভারে ওয়ার্ডপ্রেস ইনস্টল করে ওয়েবসাইট বা ব্লগ তৈরী করুন৷ এছাড়া আপনার ব্র্যান্ড বা ওয়েবসাইট কে সুন্দর একটা ডিজাইন দিতে Elementor ব্যাবহার করে ওয়েবসাইটের ডিজাইন কাস্টমাইজ করুন। যেটি দেখে ব্যবহারকারী নিশ্চিত করতে পারে যে এটা আপনার ওয়েবসাইট।
আপনার সাইট কে অপ্টিমাইজ করুন :
আপনার অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সাফল্য লাভ করতে, আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগ কে অপ্টিমাইজ করুন। যেমন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং পণ্য সম্পর্কে কিছু কীওয়ার্ড দিয়ে আপনার ব্লগ বা সাইটে কনটেন্ট তৈরী করুন এবং সেটি অপ্টিমাইজ করুন, এছাড়া দ্রুত ব্লগ পোস্ট লোড হওয়ার সময় নিশ্চিত করুন এবং আপনার সাইটটিকে মোবাইল-ফ্রেন্ডলি তৈরী করুন। মানে আপনার সাইটে যদি কোনো দর্শক মোবাইল ডিভাইস এ ওপেন করে তাহলে সে যেন আপনার সাইট কে ভালো ভাবে ব্যাবহার করতে পারে, কোনো সম্যসা যেন দেখা না দেয়। আপনার সাইটের দৃশ্যমানতা বা দর্শক বাড়াতে আপনাকে SEO প্লাগইন এবং টুল ব্যবহার করুন এবং সাইটের সমস্ত কন্টেন এ SEO করুন।
কন্টেন্টের মধ্যে লিঙ্ক অন্তভুক্ত করুন :
আপনার সমস্ত কন্টেন্টের মধ্যে অ্যাফিলিয়েট লিঙ্কগুলিকে একীভূত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ সুতারং আপনার কন্টেন্টে অ্যাফিলিয়েট লিঙ্ক অন্তভুক্ত করুন তবে অত্যধিক প্রচারমূলক হওয়া থেকে এড়িয়ে চলুন, শুধু মাত্র আপনার শ্রোতাদের মূল্য বা ভ্যালু কনটেন্ট প্রদানের দিকে মনোনিবেশ করুন। আর আপনার কন্টেন্টের মধ্যে স্বাভাবিকভাবে অ্যাফিলিয়েট লিঙ্কগুলিতে প্রবেশ করান, এবং নিশ্চিত করুন যে সেগুলি প্রাসঙ্গিক এবং পাঠকের জন্য অভিজ্ঞতা যোগ করে৷
ইমেল লিস্ট বা তালিকা নির্মাণ করুন :
একটি ইমেল লিস্ট বা তালিকা তৈরি করার অত্তান্ত জরুরি অ্যাফিলিয়েট বিজ্ঞাপনের জন্য, এটি একটি মূল্যবান সম্পদ। সেই কারণে সব সময় দর্শকদের সাবস্ক্রাইব করতে উৎসাহিত করুন৷ এবং তাদেরকে একটি মূল্যবান ইনসেনটিভ অফার করুন, যেমন বিনামূল্যের ইবুক বা কোনো গিফট। আপনার তালিকা পরিচালনা করতে ইমেল বিজ্ঞাপন প্ল্যাটফর্মগুলি ব্যবহার করুন যেমন: HubSpot, Mailchimp, MailerLite ও অন্যান প্ল্যাটফর্ম এবং নিয়মিতভাবে অ্যাফিলিয়েট পণ্য প্রচারের সাথে আকর্ষক নিউজলেটার বা ইমেইল পাঠান৷
অ্যাফিলিয়েট বিজ্ঞাপন ব্যবসা বৃদ্ধি কিভাবে করবো
আপনার অ্যাফিলিয়েট বিজ্ঞাপনের ব্যবসা কে বৃদ্ধি করতে নিচে দেওয়া টিপস গুলো ফলো করুন :
একটি শক্তিশালী সোশ্যাল মিডিয়া উপস্থিতি তৈরি করা
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলি আপনার অ্যাফিলিয়েট পণ্যের কনটেন্ট ও প্রচারকে ব্যাপকভাবে প্রসারিত করতে পারে। এর জন্য এমন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলি নির্বাচন করুন যা আপনার লক্ষ্য ও দর্শকদের সাথে সারিবদ্ধ, এবং একটি সামঞ্জস্যপূর্ণ ব্র্যান্ড উপস্থিতি তৈরি করে৷ এছাড়া আপনার ফলোয়ার বা দর্শক কে আকর্ষক বিষয়বস্তু শেয়ার করুন এবং তাদের ইন্টারঅ্যাক্ট করুন।এছাড়া কৌশলগতভাবে আপনার অ্যাফিলিয়েট পণ্যের প্রচার করুন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং-এর জন্য SEO ব্যবহার করুন :
সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশান (SEO) আপনার অ্যাফিলিয়েট কনটেন্ট গুলিতে গুগল থেকে অর্গানিক সার্চ করা ট্র্যাফিক পাওয়ার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটির জন্য আপনি কীওয়ার্ড গবেষণা পরিচালনা করুন, আপনার কনটেন্ট গুলি ভালো মতো অপ্টিমাইজ করুন এবং সার্চ ইঞ্জিন দর্শকের জন্য আপনার সাইটকে গুগল বেশি দেখাতে উচ্চ-মানের ব্যাকলিঙ্ক তৈরি করুন। এর ফলে আরও বেশি অ্যাফিলিয়েট লিঙ্ক এ ক্লিক এবং পণ্য টি সেল বা বিক্রিয় হতে পারে।
আপনার দর্শকদের সাথে সম্পর্ক তৈরি করুন :
দীর্ঘমেয়াদী বা দীর্ঘ সময় ধরে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সাফল্যের জন্য আপনার দর্শকদের সাথে প্রকৃত সম্পর্ক গড়ে তোলা গুরুত্বপূর্ণ সে কারণে আপনি তাদের সাথে বন্ধুতের মতো সম্পর্ক গড়ে তুলুন। কমেন্ট, ইমেল এবং সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আপনার শ্রোতাদের সাথে জড়িত থাকুন। বিশ্বাস এবং বিশ্বাসযোগ্যতা প্রতিষ্ঠার জন্য মূল্য প্রদান করুন, তাদের প্রশ্নের উত্তর দিন এবং তাদের সমস্যার সমাধান করুন।
ট্র্যাকিং এবং ফলাফল বিশ্লেষণ করুন :
আপনার অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং প্রচেষ্টা লিংক ট্র্যাকিং এবং সেল বিশ্লেষণ এ আপনার কৌশল অপ্টিমাইজ করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে আপনার ক্লিক-থ্রু রেট মানে কত ক্লিকে কত সেল এটি, রূপান্তর এবং উপার্জন বাড়াতে বা চালু রাখতে ব্লগ কনটেন্ট, ইউটুব ভিডিও, ads ব্যবহার করুন। সফল প্রচারাভিযান এবং উন্নতির জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্র নিশ্চিত করুন, এটি আপনাকে আপনার পদ্ধতিতে approach করুন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ব্যবসা স্কেল বা গ্রও করা :
একবার আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ একটি মজবুত ভিত্তি তৈরী করতে পারলে, আপনার অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ব্যবসাকে স্কেল বা গ্র করার কথা বিবেচনা করুন। এবং অন্যান্য ভাবে ইনফুলন্সের দের সাথে সহযোগিতা করুন বা আপনার নিজস্ব পণ্য লঞ্চ করার সুযোগগুলি কাজে লাগান৷ এই ভাবে ক্রমাগত আপনার অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ব্যবসাকে প্রসারিত করুন এবং দীর্ঘমেয়াদী সাফল্য অর্জনের জন্য আপনার আয়ের প্রবাহকে বাড়িয়ে তুলুন।
বিখ্যাত অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ওয়েবসাইট
আপনি যদি বিখ্যাত অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সাইট এর খোঁজ করেন তাহলে এখানে বেশ কিছু জনপ্রিয় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সাইট রয়েছে যা Affiliate মার্কেটার ব্যাপকভাবে ব্যাবহার করেন। যেমন সবচেয়ে জনপ্রিয় :
অ্যামাজন অ্যাসোসিয়েটস : অ্যামাজনের অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম আপনাকে তাদের বিশাল পণ্যগুলিকে প্রচার করতে, আপনার রেফারেল লিঙ্কগুলির মাধ্যমে যোগ্য বা সঠিক ক্রয়ের উপর কমিশন উপার্জন করতে দেয়।
ShareASale: শেয়ার এ সেল হল একটি জনপ্রিয় অ্যাফিলিয়েট নেটওয়ার্ক যেখানে ব্যবসায়ীদের সাথে অ্যাফিলিয়েট দের সংযুক্ত করে। এটি বিভিন্ন নীচ বা কুলুঙ্গি জুড়ে বিভিন্ন ধরণের পণ্য এবং পরিষেবা সরবরাহ করে।
সিজে অ্যাফিলিয়েট (কমিশন জংশন): CJ অ্যাফিলিয়েট হল বৃহত্তম এবং প্রাচীনতম অ্যাফিলিয়েট নেটওয়ার্কগুলির মধ্যে একটি। এটি বিজ্ঞাপনদাতাদের বিস্তৃত পরিষেবা রয়েছে এবং বিভিন্ন কমিশন ও কাঠামো অফার করে।
ClickBank: ক্লিকব্যাংক হল একটি ডিজিটাল অ্যাফিলিয়েট মার্কেটপ্লেস এখানে বিস্তৃত পণ্যের অফার করে, বিশেষ করে ডিজিটাল এবং তথ্য পণ্যের নীচগুলিতে। অ্যাফিলিয়েটরা এই পণ্যগুলির প্রচার করে কমিশন উপার্জন করতে পারে।
Rakuten Advertising (LinkShare): রাকুতেন এডভার্টাইসিং হল একটি অ্যাফিলিয়েট নেটওয়ার্ক যেটি অ্যাফিলিয়েট প্রচারের জন্য বিস্তৃত পণ্য এবং পরিষেবা সরবরাহ করে। এটির একটি বিশাল বিশ্বজুড়ে উপস্থিতি এবং বিজ্ঞাপনদাতাদের একটি বিচিত্র রয়েছে৷
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কোর্স বা বই
এফিলিয়েট মার্কেটিং-এর উপর বেশ কিছু চমৎকার কোর্স বা বই রয়েছে যেগুলি আপনাকে সফল্যের ক্ষেত্রে সাহায্য করার জন্য অত্তান্ত মূল্যবান, এবং কৌশল প্রদান করে। এখানে তিনটি আমার জানা সেরা ও উচ্চ সম্মানিত কোর্স বা বই রয়েছে যা আপনাদের জন্য সুপারিশ করেছি :
অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম ম্যানেজমেন্ট
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
কীভাবে অর্থ উপার্জন করবেন
- কীভাবে আপনার নিজের $100,000+ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং অনলাইন ব্যবসা তৈরি করবেন বইটি লিখেছে Noah Gray এবং Michael Fox : এই বইটি একটি সফল অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ব্যবসা তৈরির জন্য ব্যবহারিক পরামর্শ এবং ধাপে ধাপে কৌশলগুলি প্রদান করে, যার মধ্যে আপনি লাভজনক নীচ বা কুলুঙ্গি খুঁজে পাওয়ার, বা কনটেন্ট তৈরি করা , এবং আপনার টার্গেটেড দর্শক খুঁজে পাওয়া পর্যন্ত।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
আশা করি আপনি যদি এই কোর্স বা বই গুলো কেনেন তাহলে আপনি খুব শিগ্গিরী অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শিখতে পারবে এবং এই কোর্স বা বই গুলি Amazon এ পাওয়াযাবে, তবে এক্ষেত্রে আপনাকে অর্থ ব্যায় করতে হবে। যদি আপনি অর্থ ব্যায় না করতে চান তাহলে আপনি এই ব্লগটি সাবিস্ক্রিব করে রাখুন, অন্যথায় আপনি ইউটুবে ভিডিও দেখতে পারো।
দেখুন : ভারতের ১০ সেরা অনলাইন শপিং সাইট।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে প্রশ্ন?
এফিলিয়েট মার্কেটিং কত প্রকার?
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বিভিন্ন ধরণের রয়েছে, যার প্রত্যেকটির নিজস্ব ও আলাদা পদ্ধতি এবং কৌশল রয়েছে। এখানে কিছু উদহারণ দেওয়া আছে যেমন: পে-পার-সেল (PPS) মানে আপনি পতি প্রোডাক্ট বিক্রয়ের উপর কমিশন পাবে, পে-পার-লিড (PPL) আপনি পতি লিড মানে ইমেইল বা ফোন নম্বর সাবমিট করতে হবে, পে-পার-ক্লিক বা কল (PPC) পতি দর্শক এর ক্লিক বা ফোন কল করতে হবে, টু-টায়ার অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, মাল্টি-লেভেল মার্কেটিং (MLM), ইনফ্লুয়েন্সার বিপণন, এবং নীচ বা কুলুঙ্গি-নির্দিষ্ট অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।
কয়টি প্রোডাক্ট নিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা হয়?
এটা বলা অসম্ভব কারণ আপনি একটি ব্লগ বা ইউটুব চ্যানেলে আনলিমিটেড পণ্য প্রচার করতে পারবে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট আছে যেমন : ইলেকট্রিক এবং টেকনোলজি, ফ্যাশন, হেলথ, হোম বা ঘর অ্যান্ড কিচেন, ই-বুক, ট্রাভেল এন্ড হসপিটাল, ফাইন্যান্স এন্ড ইন্সুরেন্স, অনলাইন সার্ভিস এন্ড সফটওয়্যার প্রোডাক্ট এর মধ্য থেকে আপনি যেকোনো একটি ক্যাটাগরিকে বেছে নিন এবং সেখান থেকে আপনি আনলিমিটেড প্রোডাক্ট প্রমোট করতে পারবেন। যেমন ধরুন আপনি যদি টেকনোলজি নিয়ে এফিলেট মার্কেটিং শুরু করেন তাহলে আপনি ল্যাপটপ, ক্যামেরা, মোবাইল ফোন, টিভি, আরো অন্যান্য টেকনোলজি ডিভাইস গুলো আছে সেগুলোর উপরে মার্কেটিং করতে পারবেন। এছাড়া আপনি সফটওয়্যার নিয়ে মার্কেটিং করতে পারেন। এর মধ্য থেকে আপনার পছন্দের অ্যাফিলিয়েট পণ্যগুলোকে বেছে নিন এবং আপনি সেই প্রোডাক্টগুলোকে প্রচার করতে থাকুন আপনার ব্লগ বা ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে। তবে আপনি যদি শুধুমাত্র একটি প্রোডাক্ট নিয়ে অ্যাফিলিয়েট করার কথা ভাবেন তাহলে আমি বলব আপনি একটি ভুল ভাবলেন, কারণ আপনি এখন নতুন সে ক্ষেত্রে সঠিক প্রোডাক্টটি নির্বাচন করা খুব কঠিন। সেই কারণে আপনি দুটো, তিনটি প্রোডাক্ট নিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করুন তারপরে যে প্রোডাক্টটি সবথেকে বেশি চলবে বাজারে বা বেশি বিক্রি হবে সেই প্রোডাক্টটি নিয়ে আপনি আরো বেশি সেল করাবার চেষ্টা করুন।
অ্যাফিলিয়েট পণ্যের লিংক কিভাবে পাবো?
অ্যাফিলিয়েট পণ্যের লিংক পাওয়ার জন্য সবার প্রথমে আপনাকে কোন একটি অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে জয়েন হতে হবে এবং সেখানে জয়েন হওয়ার পরে তাদের অ্যাফিলিয়েট ড্যাশবোর্ড লগইন করুন তারপর সেখানে আপনাকে অ্যাফিলিয়েট লিংক দেওয়া হবে যেমন আমি নিচে একটি ছবি দিয়েছি উদাহরণ সহ।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি কি উপায়ে করা যাবে?
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য দুটি উপায় আছে একটি হচ্ছে ফ্রি উপায় আর একটি হচ্ছে প্রিমিয়াম উপায় বা অর্থ খরচ। তো প্রথমটা বলবো ফ্রি উপায়ে আপনি একটি ব্লগের মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন ইউটিউবের মাধ্যমে, ইমেইলের মাধ্যমে, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে, ও ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন এছাড়া আরো অন্যান্য ভাবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন ফ্রি উপায়। দুই নম্বর পেইড বা অর্থ খরচ করে যে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সেটার উপায় হল আপনি Google এড, Facebook এড, কোরো এবং, লিনডেন অ্যাড চালিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন।
মোবাইল দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি সম্ভব?
১০০% মোবাইল দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্ভব তবে এক্ষেত্রে আপনি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ব্যাবহার করে যত পরিমান টাকা ইনকাম করতে পারবে তত পরিমাণ পারবে না, কিন্তু মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করা সম্ভব। মোবাইল দিয়ে কিভাবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করবেন এটা জানতে এখানে দেওয়া লিংকে ক্লিক করে পোস্টটি সম্পন্ন পড়ুন আর অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং প্রসেসটি Earnkaro থেকে চালু করে দিন আশা করি আপনি মোবাইল থেকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে খুব সহজেই ২০-৩০ হাজার টাকা পতি মাসে।অ্যাফিলিয়েট১০০% মোবাইল দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্ভব তবে এক্ষেত্রে আপনি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ব্যাবহার করে যত পরিমান টাকা ইনকাম করতে পারবে তত পরিমাণ পারবে না, কিন্তু মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করা সম্ভব।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কেন করবো?
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করলে আপনি প্যাসিভ ইনকাম করতে পারবেন, ঘরে বসে অল্প কাজ করে ইনকাম করতে পারবেন, অফিসের বসের বকুনি খেতে হবে না, এবং আপনি অনেক সময় অ্যাফিলিয়েট উইনার হলে আপনি একটি বোনাস পাবে এই জন্য আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করবেন। এছাড়া আপনি যদি মনে করেন আমি কেন করব কি করতে করবো আমি ঘুরে বেড়িয়ে দিন কাটাবো, তাহলে সেটা আপনার ব্যাপার এক্ষেত্রে আমার বলার কিছু নেই যে আপনি কেন করবেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা যায় এমন দুটি ইন্টারন্যাশনাল মার্কেট প্লেসের নাম?
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা যায় এমন দুটি ইন্টারন্যাশনাল মার্কেট প্লেসের নাম হলো ShareASale ও Commission Junction.
এফিলিয়েট মার্কেটিং যারা করে তাদের কি বলে?
এফিলিয়েট মার্কেটিং যারা করে তাদের বলে অ্যাফিলিয়েটার বা বিজ্ঞাপন দাতা।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে কত টাকা আয় করা যায়?
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর আয়ের কোন সীমা সংখ্যা নেয় কারণ আমার মতো একটা ছোট ব্লগার মাসে ১ হাজার থেকে ২ হাজার ডলার ইনকাম করি, এছাড়া আমার দেখা কিছু মার্কেটার আছে যারা মাসে ১০০ থেকে ২০০ লক্ষ ডলার ও তার বেশি ইনকাম করে এটিকে তারা ব্যবসা হিসাবে বেছে নিয়েছে। আমার অ্যাফিলিয়েট ইনকাম দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
কিভাবে আমাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করবো?
অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট শুরু করার জন্য সবার প্রথমে আপনাকে Amazon অ্যাসোসিয়েট একাউন্টে একটি একাউন্ট তৈরী করতে হবে তারপরে সেটা এপ্রুভ হলে সেখানে আপনাকে আপনার ইউজার নেম এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করতে হবে। তারপরে আপনি সেখান থেকে আপনার অ্যামাজন অ্যাসোসিয়েট অ্যাফিলিয়েট ড্যাশবোর্ড থেকে যেকোন প্রোডাক্টের লিংকটি কপি করতে পারবেন। সেই লিংকে আপনি আপনার ব্লগ, ইউটিউব, এবং সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে শেয়ার করে ওই পণ্যটি বিক্রয় করতে পারলে আপনি কমিশন উপার্জন করতে পারবেন এইভাবে আপনি অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট শুরু করতে পারবেন, আর আপনি যদি আরও বিস্তারিত জানতে চাইলে এখানে দেওয়া লিংকে ক্লিক করে সম্পূর্ণ জানুন।
কোন অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামটি লাভজনক?
আপনি যদি লাভজনক অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম খুঁজে থাকেন। তাহলে আমি আপনাকে বলব কিছু ডিজিটাল প্রোডাক্ট এর অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে যেমন: ধরুন হোস্টিং, থিম, SEO টুলস, সফ্টওয়ার বা প্লাগিন গুলোর উপরে অ্যাফিলিয়েট করুন। এছাড়া আপনি যদি আরো লাভজনক অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চান তাহলে সোনা, বাড়ি ঘর, জমি বা প্রপার্টির উপরে আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন এগুলো আপনার জন্য লাভজনক হতে পারে। তবে শুরুতে আমি বলবো আমাজন অ্যাফিলিয়েট করার জন্য।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ যারা অনলাইনে মার্কেটিং করে থাকেন তাদের কী বলা হয়?
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ যারা অনলাইনে মার্কেটিং করে থাকেন তাদের বলা হয় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার আর যারা এড দ্বারা মার্কেটিং করে তাদের বলে বিজ্ঞাপন দাতা বা ডিজিটাল মার্কেটার।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে কি কি লাগে?
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে গেলে আপনার কাছে একটি মোবাইল বা ল্যাপটপ সাথে ইন্টারনেট থাকার জরুরী এবং আপনার একটি অ্যাফিলিয়েট একাউন্ট ও আপনি কোন মাধ্যমে প্রচার করবেন? যেমন ব্লগ, ইউটিউব বা সোশ্যাল মিডিয়া এর মধ্য থেকে যেকোনো একটি প্ল্যাটফর্মে থাকা দরকার এগুলোই লাগে। আপনার দর্শক বেশি থাকলে এফিলিয়েট মার্কেটিং আজকের থেকেই শুরু করে আজ থেকে ইনকাম করতে পারবে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে কত টাকা লাগে?
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে কোনো টাকা লাগে। তবে আপনি যদি গুগল এড, বিং এড, ফেসবুক এড বা অন্যান এডস চালান তাহলে সেক্ষেত্তে টাকা লাগবে। কিন্তু এটা সম্পূর্ণ আপনার উপর নির্ভর করবে যে আপনি এডে কত টাকা খরচ করবেন ? যেমন; আপনি দিনে ১০০ টাকা থেকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত এড চালাতে পারবে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শেখার উপায়?
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শেখার জন্য আপনি এই ব্লগটি নিয়মিত ফলো করুন। ইউটুবে ভিডিও দেখুন, অ্যাফিলিয়েট কোর্স বা বই পড়ুন সাথে নিয়মিত প্যাকটিস করতে থাকুন। আশা করি আপনি ২ মাসের মধ্যে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শিখে যাবেন।
মার্কেটিং এ ভালো করার উপায় ?
মার্কেটিং ভালো করার জন্য আপনাকে সবসময় বিভিন্ন ধরণের কৌশল কে কাজে লাগিয়ে আপনার টার্গেটেড দর্শককে আকৃষ্ট করুন এবং প্রতিনিয়ত তাদের সাথে জুড়ে থাকুন।
কয়েকজন সফল অ্যাফিলিয়েট মার্কেটারের নাম ?
ইন্ডিয়া তে কয়েকজন সফল অ্যাফিলিয়েট মার্কেটারের নাম হলো : সুরাজ ঠাকুর (Surjeet Thakur), হার্শ আগারওয়াল (Harsh Agarwal), প্রদীপ চোপড়া (Pradeep Chopra), অমিত আগারওয়াল (Amit Agarwal), এবং কুনাল চৌধুরী (Kunal Choudhary
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ নতুনরা যে ভুল গুলো করে?
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং নতুনরা যে ভুল গুলো করে, সাধারণ ভুলের মধ্যে রয়েছে আপনার ক্যাটাগরি বা নীচ এর সাথে সম্পর্কহীন পণ্যের প্রচার করা, অত্যধিক অ্যাফিলিয়েট লিংক দিয়ে আপনার দর্শক দের স্প্যাম করা, আপনার অ্যাফিলিয়েট প্রচার বা প্রকাশে অবহেলা করা, আপনার ফলাফল ট্র্যাক এবং বিশ্লেষণ না করা এবং আপনার দর্শকদের সাথে সম্পর্ক তৈরি না করা, এছাড়া আরো অনেক কিছু আছে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর প্রভাব?
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং জড়িত বিভিন্ন স্টেক হোল্ডার দের উপর বিভিন্ন প্রভাব রয়েছে। এখানে কিছু অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের প্রভাব রয়েছে, যেমন: বেশি বিক্রয় এবং টাকা, বাজারের নাগাল, বিজ্ঞাপনে ব্যয়, বড়ো ব্র্যান্ড কে এক্সপোজার করা, সঠিক বিজ্ঞাপন চ্যানেল নির্বাচন করা, অ্যাফিলিয়েট দের জন্য অর্থ উৎপাদন, দর্শকদের সুবিধা, অ্যাফিলিয়েট পারফরম্যান্স ট্র্যাকিং এবং সমস্ত ডেটা চেক করা।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি হালাল?
আমি একজন মুসলিম হিসাবে আমি মনে করি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হালাল। কারণ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ আপনি কারো কাছে থেকে জোর করে বা অ্যাফিলিয়েট পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়ে টাকা নিতে হবে না। এখানে আপনি শুধু আপনার লিংকের মাদ্ধমে পণ্যটি বিক্রয় করার জন্য কোম্পনি থেকে আপনাকে কমিশন দেবে এবং যে ওই পণ্যটি কিনবে সে ওই কোম্পনীর নেয্য মূল্যে পাবে। এছাড়া অনেক সময় আপনার বা আমার অ্যাফিলিয়েট লিংক দিয়ে ওই কোম্পনীর প্রোডাক্ট বা সার্ভিস কে কিনতে কোম্পনী নেয্য মূল্যে থেকে আরো কম দামে পেয়ে থাকে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শিখতে পারবো?
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শেখার জন্য, আপনি এই নিবন্ধনটি সম্পূর্ণ পড়তে পারেন। অন্যথায় আপনি আমাদের এই ব্লগ ওয়েবসাইট-টি সাবস্ক্রাইব করে রাখতে পারেন। আর অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে যত নতুন নতুন নিবন্ধন আমরা শেয়ার করবো সেগুলো পড়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শিখতে পারেন। অথবা আপনি ইউটিউবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে ভিডিও দেখে পারেন বা কিছু তাকে ব্যায় করে কোর্স ক্রয় করে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শিখতে পারেন।
উপসংহার :
আপনি বিশ্বাস করেন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং অন্যের পণ্য বা পরিষেবার প্রচার করে প্যাসিভ ইনকাম জেনারেট করার একটি সুবর্ণ সুযোগ প্রদান করে। তাই আপনি আপনার নীচ বা ক্যাটাগরী কে নির্বাচন করে, কৌশলগত ভাবে কনটেন্ট পরিকল্পনা তৈরি করুন এবং একটি শক্তিশালী অনলাইন প্লাটফ্রম তৈরি করে, আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করলে সফল হতে পারেন।
আপনার দর্শকদের চাহিদাকে পূরণ করতে, উচ্চ-মানের কনটেন্ট তৈরি করুন এবং তাদের সাথে খাঁটি সম্পর্ক তৈরি করতে ভুলবে না। একটি ভাল অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং পরিকল্পনার মাধ্যমে, আপনার আর্থিক লক্ষ্যগুলি অর্জন করতে পারেন এবং একটি সফল অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ব্যবসা তৈরি করতে পারেন৷